শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিদেশে অর্থ পাচার

কর ফাঁকি রোধে পদক্ষেপ নিন

রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পেছনের কাতারে। গত এক দশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাফল্য দেখালেও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের হতাশাজনক অবস্থানই তুলে ধরা হয়েছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে। তাতে বলা হয়েছে, স্বল্পোন্নত ৪৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের হার তুলনামূলক বেশি। তাদের মতে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে যে অর্থ পাচার হয়েছে তার পরিমাণ ৬৫ হাজার কোটি টাকা; যা ওই বছরের মোট আদায়কৃত রাজস্বের ৩৬ শতাংশের সমান। গত বুধবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ রাজধানীতে আঙ্কটাডের যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে তা নানা কারণে তাৎপর্যের দাবিদার। এতে বলা হয়েছে, গত এক দশকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাফল্য দেখালেও রাজস্ব আদায়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে পেছনের সারিতে। রাজস্ব আদায়ে এ পর্যন্ত যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার ভিত্তিতে ১ নম্বরের দশমিক ৬৭ নম্বর পেয়েছে বাংলাদেশ। কর খাত সংস্কারে ২৯টি স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম। আঙ্কটাড বলেছে, রাজস্ব আদায়ে পিছিয়ে পড়ার বড় কারণ অর্থ পাচার। রাজস্ব আদায় না বাড়ার কারণে বৈদেশিক ঋণের ওপর সরকারের নির্ভরতা বাড়ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা। এর ৩৬ শতাংশ অর্থাৎ ওই বছর দেশ থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকার বেশি পাচার হয়েছে, যা দিয়ে দুটি পদ্মা সেতু করা সম্ভব। আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে অর্থ পাচারের যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তা উদ্বেগজনক। এজন্য সরকার যে বছরে দুটি পদ্মা সেতু তৈরির মতো অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তা একটি বড় সত্যি। কারণ দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে পণ্যের দাম কম দেখিয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা প্রবল। এ প্রবণতা দেশের উন্নয়নকে শ্লথ করছে। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে বিদেশে অর্থ পাচার

কিংবা রাজস্বফাঁকির প্রবণতা রোধ করা দরকার।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর