শিরোনাম
সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিএনপিকে জামায়াত ছাড়তে হবে

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

বিএনপিকে জামায়াত ছাড়তে হবে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলস সম্প্রতি ঢাকা সফর করে গেছেন। এই সফরের সময় ৬ নভেম্বর বারিধারায় মার্কিন দূতাবাসের অভ্যন্তরে অ্যালিসের সঙ্গে বৈঠক করেন আমীর খসরু মাহমুদ ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। পত্রিকার খবর অনুসারে বৈঠকের কথা বিএনপি নেতারা স্বীকার করলেও সেখানে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার কিছু খোলাসা করে বলেননি। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সঙ্গে কাজ করতে চায় এবং তার জন্যই নাকি বিএনপির নেতাদের কাছে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন অ্যালিস। অ্যালিসের প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি কী বলেছে তার কিছু পত্রিকার খবরে পাওয়া যায়নি। তবে কিছু কিছু সূত্র থেকে জানা যায়, জামায়াত সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের মোহ ভঙ্গ ঘটেছে এবং আগামীতে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে মিত্রতার বন্ধন সম্পর্কে কী ভাবছে সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়। এ খবরটি যদি সত্যি হয় তাহলে বুঝতে হবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গির বড় পরিবর্তন ঘটেছে। এর মানে হলো, এতদিন বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে খেলাটি খেলেছে তার অবসান হতে চলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতদিন জামায়াতকে মডারেট ইসলামিক দল হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে। জামায়াতের শেকড় ও সব অপকর্ম সম্পর্কে জানা থাকা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন জামায়াতকে এতদিন আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে আসছে সে এক বিরাট প্রশ্ন। তবে এই সময়ে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, বিশেষ করে ইন্দো প্যাসিফিক এলাকায় ভূরাজনীতির নতুন মেরুকরণ ও সমীকরণে চীনের বিপরীতে প্রাধান্য বজায় রাখতে হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভারতের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সমর্থন প্রয়োজন। এ কারণেই আমি আমার আগের লেখায়ও বলেছি, অত্র অঞ্চলে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো ইস্যুতে যদি দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা মতপার্থক্য সৃষ্টি হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তার বৃহত্তর স্বার্থের খাতিরে ভারতের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে। এই কথাটি বিশেষ করে প্রযোজ্য বাংলাদেশকে ঘিরে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে। তাই বাংলাদেশকে ঘিরে ভারত-মার্কিন অবস্থান সব ক্ষেত্রেই ভারতই শেষ কথা বলবে। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ২০১০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সামরিক নীতি ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই উপরোক্ত সমীকরণটি ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছিল। অন্যান্য সবার মতো যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত ভালো করেই জানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাকিস্তানের এক্সটেনশন বা বর্ধিত অংশ হচ্ছে জামায়াত। সে কারণেই গোলাম আযমের মৃত্যুতে পাকিস্তানে গায়েবি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় পাকিস্তানের পার্লামেন্টে জামায়াত নেতাদের পক্ষে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশকে আর পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত করা যাবে না বুঝতে পেরে সেই জিয়াউর রহমানের কৃপায় পুনর্জন্মের পর থেকে বিএনপির কাঁধে চড়ে অত্যন্ত সুকৌশলে বাংলাদেশ নামের খোলসে এখানে আরেকটি পাকিস্তান সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছে জামায়াত। তারই একটা প্রাথমিক স্বরূপ দেখা গেছে ২০০১-২০০৬ মেয়াদে জামায়াত-বিএনপির যৌথ সরকারের সময়। তখন জামায়াত-বিএনপি সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের গহিন জঙ্গলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর জন্য প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র-গোলাবারুদসহ সব রকমের সহযোগিতা প্রদানের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আসল কাজটি করে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই, যার সব ব্যবস্থা করে দেয় জামায়াত-বিএনপি সরকার। ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফরে এলে বেগম খালেদা জিয়া হোটেলে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তখন নরেন্দ্র মোদি জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চান এবং আরও জানতে চান ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলার যদি পুনরায় অধিকতর তদন্ত হয় তাহলে বিএনপি সহযোগিতা করবে কিনা। উত্তরে বেগম খালেদা জিয়া কী বলেছিলেন সে খবর বের হয়নি। তবে ভবিষ্যৎ করণীয় ঠিক করতে হলে এসব প্রশ্নের উত্তর বিএনপিকে দিতে হবে। ভ্রান্ত ও পরিত্যক্ত সাতচল্লিশের চেতনা এবং ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়িয়ে অন্ধ ভারত বিরোধিতাই এতদিন ধরে বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক সম্বল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ভারত বিরোধিতা, এতটাই বিদ্বেষমূলক যে, একাত্তরে আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জনে ভারতের সহযোগিতা নিয়ে বিএনপি পাকিস্তানের সুরেই কথা বলে। একই সঙ্গে কী আশ্চর্য যে, বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তান যেমন শত্রু মনে করে বিএনপিও তেমনটাই করে। বর্তমানে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূরাজনীতির বাস্তবতায় জামায়াতনির্ভর এবং একতরফা ভারতবিরোধী ও ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি বিএনপির জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে জিয়াউর রহমানের আমল এবং তারপর বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের দুই মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনায় বিএনপির এমন কোনো জাতীয় অর্জন নেই যেটিকে তারা মানুষের কাছে রাজনৈতিক সম্বল হিসেবে তুলে ধরতে পারে। শুধু প্রতিপক্ষের দোষত্রুটি তুলে ধরে এবং গোয়েবলসীয় প্রপাগান্ডা চালিয়ে এই তথ্য বিপ্লবের যুগে মানুষের সমর্থন পাওয়া যাবে না, এটা ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে। তারপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল সব অধ্যায়কে তারা গ্রহণ না করে বরং সেটিকে সংকুচিত, বিকৃত এবং আড়াল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে সেই জিয়াউর রহমানের আমল থেকে। তাহলে রাজনীতি করার মতো কোনো উপাদান তো বিএনপির জন্য আর অবশিষ্ট থাকে না। শুধু বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি নিয়ে একান্ত দলীয় বলয়ের বাইরে সাধারণ মানুষের সমর্থন পাওয়া যাবে না, সেটাও ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে। তবে বিএনপির একটা শক্তির জায়গা হলো কম বেশি প্রায় শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ বিএনপির একান্ত সমর্থক। এই ৩০ ভাগের মধ্যে আবার প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ হলো ওইসব পরিবারের সদস্য যারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল এবং যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরুদ্ধ রাজনীতি বহাল থাকা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবে না। একাত্তরের লেগেসিতে জনসংখ্যার একটা বড় অংশের সমর্থন বিএনপির দিকে থাকলেও আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূরাজনীতির বাস্তবতায় এবং বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের বৃহত্তর অংশ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধাভাজন হওয়ায় দলীয়ভাবে বড় ধরনের পরিবর্তন বিএনপি যদি আনতে না পারে তাহলে আর কোনো দিন ক্ষমতায় যাওয়া তো দূরের কথা রাজনৈতিক অঙ্গনেও সুবিধা করতে পারবে না। এই বাস্তব উপলব্ধিটি টপ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বিএনপির অনেক নেতার মধ্যে দেখা যাচ্ছে। তবে তারা প্রকাশ্যে এখনো সেটি বলতে পারছে না। বিএনপির দলীয় বলয় ও সমর্থকদের বড় অংশ যারা এখনো প্রবলভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী, তারা মনে করে, জেনারেল জিয়ার পরিবার বিএনপির নেতৃত্ব থেকে সরে গেলে তাদের ওই পাকিস্তানপন্থি রাজনীতির সুযোগ বাংলাদেশে আর থাকবে না। তাই দেখা যায়, যাই হোক না কেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার প্রতি এই অংশের অন্ধ সমর্থন সব সময় বিদ্যমান থাকছে। ফলে দেখা যায়, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার বাইরে কেউ কিছু করতে চাইলে তৃণমূল থেকে প্রবলভাবে বাধা আসে। সুতরাং দল হিসেবে বিএনপি এখন সেই চিরন্তন প্রশ্নের সম্মুখীন ‘টু বি অর নট বি’, অর্থাৎ হবে কি হবে না। অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রাজনীতির সমীকরণে যোগ-বিয়োগের বাধ্যবাধকতা এবং একই সঙ্গে নীতি আদর্শের জায়গায় যে ধরনের বড় পরিবর্তন দরকার, সেটি বর্তমান নেতৃত্ব বজায় রেখে করা সম্ভব নয়। আবার নেতৃত্ব পরিবর্তনে প্রবল বাধা আসছে দলের ওই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বৃহত্তর অংশের কাছ থেকে, যারা দলের অভ্যন্তরে সংখ্যাগরিষ্ঠ। এই দ্বন্দ্বের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আর এগোতে পারবে না। বিগত কয়েক বছর ধরে বিএনপি নেতাদের একবার ভারত তো আরেকবার আমেরিকার কাছে ধরনা দেওয়া এবং দলের অভ্যন্তরে কোন্দল, মতপার্থক্য, বিশৃঙ্খলা এবং একের পর এক রাজনৈতিক ব্যর্থতার দিকে তাকালে যে কেউ আমার উপরের বিশ্লেষণের সঙ্গে একমত পোষণ করবেন। বিগত নির্বাচনে লন্ডনে বসে তারেক রহমানের মনোনয়ন বাণিজ্য এবং জামায়াতকে ২২টি আসনে ধানের শীষ প্রদান দলের অনেক নেতা-কর্মী ভালোভাবে নেননি তা এখন ক্রমশই নেতাদের মুখ থেকে বের হয়ে আসছে। ২০০১-২০০৬ মেয়াদে নিজেদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার পরও জামায়াতকে ক্ষমতার অংশীদার করে যে মহাভুল করেছে সেটি বিএনপি স্বীকার না করলে সবাই বুঝতে পারছেন। সে সময়ে জামায়াতকে ওইভাবে ক্ষমতায় না আনলে আজ বিএনপিকে এরকম তলাহীন গর্তে পড়তে হতো না। চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ সংসদ সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও তাকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী করায় ভারতসহ বাংলাদেশের মানুষ এবং বিশ্বের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কতখানি প্রভাব রয়েছে বিএনপির ওপর। এই মুজাহিদ ও নিজামীরা মন্ত্রীর গদিতে বসে পাকিস্তানের সুরে সুর মিলিয়ে প্রকাশ্যে বলতে থাকলেন, একাত্তরে এখানে কোনো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি, ওটা ছিল পাকিস্তানের গৃহযুদ্ধ। বাংলাদেশের মন্ত্রীদের মুখ থেকে অন রেকর্ড এমন কথা বলার জন্যই সংসদ সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও মুজাহিদকে মন্ত্রী করা হয়। এরপরও বিএনপি যখন বলে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল তখন মানুষের কাছে সেটি হাস্যকর মনে হয়। মিথ্যাচার আর প্রপাগান্ডা চালিয়ে ৪১ বছর সত্যকে ঢেকে রাখা গেলেও এখন তা আর সম্ভব হচ্ছে না। সম্ভব যে হচ্ছে না সেটি সদ্য পদত্যাগকারী দুজন সিনিয়র নেতার কথাবার্তা থেকে বোঝা যায়। জেনারেল মাহবুব এবং মোরশেদ খান সম্প্রতি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করেছেন সিলেটের জনপ্রিয় নেতা ও বর্তমান মেয়র আরিফুল হক। আরও কিছু তৃণমূল পর্যায়ের নেতা বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন বিএনপি এখন স্কাইপি পার্টি হয়ে গেছে, সেখানে রাজনীতি করার পরিবেশ আর নেই। বিএনপির একজন প্রবল সমর্থক ও উপদেষ্টা কিছুদিন আগে বলেছেন, জামায়াতকে তালাক দিয়ে বিএনপিকে মাঠে নামতে হবে। বিশ্বায়ন ও কানেকটিভিটির বাস্তবতায় মধ্যযুগীয় ধর্মভিত্তিক পশ্চাৎপদ রাজনীতি নিয়ে ঘরে-বাইরে কোথাও সুবিধা করা যাবে না। লেখার শুরুতে যেমনটি বলেছি বাংলাদেশ সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসছে। ভারত আমাদের একান্ত প্রতিবেশী এবং একাত্তরের পরম বন্ধু। ভৌগোলিক ঐতিহাসিক, নৃতাত্ত্বিক এবং সাংস্কৃতিক ও বহুবিধ বন্ধনে প্রকৃতভাবে আমরা একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ। সব কিছু মিলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ সমীকরণের সঙ্গে সব দলের নীতি আদর্শে ব্যাপক সংস্কার আনতে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় বিএনপিকে যে কোনো ফর্মে টিকে থাকতে হলে জামায়াত এবং তার সঙ্গে ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতিকে বিদায় জানাতে হবে, ফিরে আসতে হবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের রাজনীতিতে।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

সর্বশেষ খবর