মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি

অস্বস্তিতে ভুগছে সাধারণ মানুষ

দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লাগামহীনভাবে বেড়েছে পিয়াজের দাম। বিদেশ থেকে বিমানে আমদানি করা সত্ত্বেও কমেনি ওই গুরুত্বপূর্ণ সবজির দাম। চাহিদার তুলনায় আমদানির পরিমাণ তুচ্ছ হওয়ায় বাজারে কোনো শুভ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। কর্তাব্যক্তিরা আশার কথা শোনাচ্ছেন, ১০ দিনের মধ্যে বড় আকারের পিয়াজ আমদানি হবে। আমদানি হলেই এই নিত্যপণ্যের কেজিপ্রতি দাম ৭০ টাকার নিচে চলে আসবে। মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ব্যবসায়ীরা আশার মুলা ঝুলিয়েছেন। বলেছেন দাম আরও কমবে। তবে গত দুই মাসের তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো, দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি যত বাড়ে দামও বাড়ে পাল্লা দিয়ে। শুধু পিয়াজ নয়, শীতের শুরুতে সব সবজির দাম যেখানে হাতের নাগালে থাকার কথা সেখানে প্রতিটি সবজির দাম গত বছরের এই সময়ের চেয়ে দু-তিন এমনকি চার গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, সবজি চড়া দামে বিক্রি হলেও কৃষক ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ এলাকা থেকে আসা সবজি পাঁচ গুণ বেশি দামে কিনছেন রাজধানীর ক্রেতারা। একদিকে কৃষক সবজির উৎপাদন খরচ তুলতে পারছেন না, অন্যদিকে আকাশচুম্বী দামের কারণে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। রাজধানীতে যেমনই হোক, গ্রামাঞ্চলে অবশ্য সবজির দাম এখন ক্রেতাদের নাগালে। ন্যায্য দাম না পাওয়ায় সবজি চাষিদের মধ্যে হতাশাও আছে। কৃষি অর্থনীতিবিদদের মতে, গ্রাম ও শহরের বাজারে পচনশীল সবজির দাম অর্ধেক ব্যবধান হতে পারে। সবজি এমন এক পণ্য যা কয়েক দিনের ব্যবধানে নষ্ট হয়ে যায়। এ হিসেবে বাজারের অর্ধেক দাম যদি কৃষক পান তাহলে বলতে হবে বাজার কার্যকর আছে। আর অর্ধেক দাম যদি কৃষক না পান, তবে বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভাবার বিষয়। পণ্য পরিবহনে বাধা দূর করার পরামর্শও দিয়েছেন তারা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সরকারের সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়। উন্নয়নের পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার এতকাল প্রশংসা পেয়েছে। হঠাৎ পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কেন ব্যর্থতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তা ভাবার বিষয়। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ সচেতন হবে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেবে- এমনটি প্রত্যাশিত।

 

সর্বশেষ খবর