বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সচিবালয় স্থানান্তর

আলাদা প্রশাসনিক রাজধানীর কথা ভাবুন

মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ সচিবালয়কে আগারগাঁওয়ে স্থানান্তরের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর আবদুল গনি রোডের বর্তমান সচিবালয়ে নতুন করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সচিবালয় স্থানান্তরের এ সিদ্ধান্ত সময়ের চাহিদাকেই তুলে ধরেছে। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে সচিবালয়ের কারণে ধারেকাছের সড়কগুলোর যানজট নিত্যকার ঘটনায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, লুই কানের নকশা অনুযায়ী আগারগাঁওয়ে যেখানে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হয় সেই স্থান ও চন্দ্রিমা উদ্যানের কিছু অংশ নিয়ে সচিবালয় স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে। নতুন সচিবালয়ে গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা, ফুড কোর্ট, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, উন্নত ড্রেনেজব্যবস্থাসহ যা যা থাকা দরকার সবই থাকবে। এক কথায় আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন সচিবালয় কমপ্লেক্স করা হবে। বর্তমান সচিবালয় কমপ্লেক্সের ভিতরে আর কোনো নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে না। তবে যেগুলো অনুমোদিত হয়ে গেছে সেগুলোর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে। একসঙ্গে সচিবালয়ের সব দফতর স্থানান্তর করা সম্ভব হবে না, ধীরে ধীরে করতে হবে। নতুন সচিবালয় স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমানটিতেই কাজ চালাতে হবে। সচিবালয় স্থানান্তরের বিষয়ে দ্বিমত পোষণের সুযোগ না থাকলেও এই স্থানান্তর কতটুকু সুবিধা দেবে, তা প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। রাজধানী ঢাকা ইতিমধ্যে জনসংখ্যা আর যানজটের ভারে অচল নগরীতে পরিণত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশের প্রশাসনিক রাজধানী স্থানান্তরের বিষয়টিও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। দেশের বৃহত্তম মহানগরীর ওপর চাপ কমাতে এখনই বিষয়টি ভাবা দরকার। নতুন প্রশাসনিক রাজধানী বদলানোর কথা না ভাবলে রাজধানীর পুরনো অংশের বদলে পূর্বাচলে সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা স্থানান্তরের বিষয়টি বিবেচনায় আনা উচিত। বর্তমান সচিবালয়ে নতুন করে কোনো স্থাপনা না গড়ার সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয় হলেও স্থানান্তরের বিষয়ে আরও পর্যালোচনা করে স্থান নির্ধারণ করা হবেÑ এমনটিই বাঞ্ছনীয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর