শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

হাউজিং কমিশন

সময়ের চাহিদা পূরণে অবদান রাখবে

বাংলাদেশের আবাসন সমস্যার সমাধানে হাউজিং কমিশন গঠনের তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংকে। বাংলাদেশ দুনিয়ার অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক থেকে বিশ্বের সামনের কাতারের দেশ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ায় নগরায়ণের গতি দ্রুততর হচ্ছে। হু হু করে বাড়ছে শহরাঞ্চলের জনসংখ্যা। ঢাকা ইতিমধ্যে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মেগাসিটির তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। রাজধানীসহ বড় বড় নগরে আবাসন সংকট তীব্রতর হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে আবাসন খাতের সংকট নিরসনে ‘হাউজিং কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব সংবলিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে দাতাসংস্থা বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও দ্রুত নগরায়ণের বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রতি বছর চার লাখ ৩২ হাজার নতুন আবাসন ইউনিট দরকার। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আবাসন নির্মাণ যদি না হয়, তবে শহরগুলো হয়ে যাবে অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি, ঝুপড়ি আর বস্তির কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের হাউজিং কমিশন গঠন হচ্ছে জানিয়ে সংস্থাটি বলেছে, আবাসন খাতের সংকট নিরসনে ভারতে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ নামক সংস্থা গঠন হয়েছে ২০১৫ সালে। সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন হয়েছে। এমনকি অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যেও আবাসন খাতের সংকটে কমিশনের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে ন্যাশনাল হাউজিং টাস্কফোর্স। হাউজিং খাতের চাহিদা পূরণে বিশ্বব্যাংক বলেছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিতে উৎসাহিত করার জন্য মর্টগেজ মার্কেট গড়ে তোলা দরকার। সরকারি প্রতিষ্ঠান হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনকে সংস্কার করে অথবা নতুন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে এই মর্টগেজ মার্কেট গঠন করা যেতে পারে। আবাসন সমস্যার সমাধানে হাউজিং কমিশন গঠনে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশ সময়ের বিবেচনায় খুবই প্রাসঙ্গিক। এটি সম্ভব হলে আবাসন খাতে গতি সৃষ্টি হবে। নাগরিকদের পক্ষে সহজে ফ্ল্যাটের মালিক হওয়া সম্ভব হবে। ফ্ল্যাট নির্মাণে সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি খরচও কমবে। আমরা আশা করব প্রস্তাবটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর