রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট

অচলাবস্থা নিরসনের উদ্যোগ নিন

শ্রমিক ধর্মঘট নৌপথে নৌযান চলায় সংকট সৃষ্টি করছে। বলা নেই কওয়া নেই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া শ্রমিক সংগঠনগুলোর মজ্জাগত অভ্যাস বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। তবে নৌযান শ্রমিকদের আটটি সংগঠনের জোট বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন জানিয়েছে, ১১ দফা দাবি আদায়ে তারা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছে। লঞ্চ মালিক ও সরকারের প্রতিনিধিরা শুধু তাদের আশ্বাসই দিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু তা বাস্তবায়ন না করায় শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নামতে বাধ্য হয়েছেন। এ অভিযোগের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও যাত্রী পরিবহন সংস্থা বলছে, নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে যাওয়া অযৌক্তিক। কারণ তাদের মূল দাবিগুলো মেনে নিয়ে লঞ্চ মালিকপক্ষ ২০১৬ সালে নৌযান শ্রমিকদের সঙ্গে পাঁচ বছরের একটি চুক্তি করেছিল। সে চুক্তির মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হবে। এ বিষয়ে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষীয় দাবি খ-ন করে বলা হয়, ওই সময় ১৫টি দাবির মধ্যে শুধু বেতন স্কেল ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছিল। বাকি ১৪টি দাবি পূরণ করা হয়নি। এ বিষয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বুধবারের সভায় নৌপরিবহন খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক দেওয়ার বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা করে আগামী মার্চের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর আগে শতভাগ খাদ্যভাতা ও সুপেয় পানির খরচ আদায়সহ ১৫ দফা দাবিতে গত ২৬ নভেম্বর থেকে টানা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন নৌযান শ্রমিকরা। পরে শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে ২৭ নভেম্বর দুপুরে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়। অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও যাত্রী পরিবহন সংস্থা ধর্মঘটের জন্য শ্রমিকদের দোষারোপ করলেও শ্রম মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যে স্পষ্ট হয়েছে, শ্রমিকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতাই তাদের আবারও ধর্মঘটে যেতে বাধ্য করেছে। আমরা আশা করব, নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট অবসানে তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়া হবে। এর মধ্যে নিয়োগপত্র দানের দাবি খুবই যৌক্তিক এবং তা এড়িয়ে যাওয়ার অবকাশ নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর