মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইথিওপিয়া হতে পারে স্থিতিশীল আফ্রিকার বাতিঘর

নাঈমুজ্জামান মুক্তা

কয়েক দিন ধরেই অপেক্ষা করছিলাম কখন ইথিওপিয়া যাব আর কখন সেখানকার মানুষের গল্প শুনব। এ কারণেই সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিয়ে এখন আমি ইথিওপিয়ায়। পাশে বসা গাইড এনটেনের কাছে জানতে চাইলাম কীভাবে ৪ হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্যের লীলাভূমি রহস্যঘেরা, মায়াময় এই দেশটি আফ্রিকার অন্য দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা আর সম্প্রীতির রাজধানী হয়ে উঠল। সত্যি কথা বলতে কী, আফ্রিকার দেশগুলোর মনোযোগ এখন ইথিওপিয়ার দিকে। সম্প্রতি সারা দুনিয়ার মানুষ ও গণমাধ্যমের কাছে ইথিওপিয়া এখন আবে আহমেদের নামে পরিচিত। আবের শান্তিতে নোবেল অর্জন আমাকে পুলকিত করেনি! কেননা এটি দুনিয়ার সবচেয়ে বিতর্কিত পুরস্কারের একটি। যোগ্যদের বাইরেও এ পুরস্কার যুদ্ধবাজ নেতা, ধর্ম ব্যবসায়ী, সুদখোর, শিশুর হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে। আমার উদ্দেশ্য, আফ্রিকার এই নতুন বাতিঘর, ইথিওপিয়ার অরমো সম্প্রদায়ের প্রথম প্রধানমন্ত্রী আবে আহমেদ কীভাবে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তার দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তা স্বচক্ষে দেখা। দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অপুষ্টি আর জাতিগত হানাহানির দেশ বলতে যে ইথিওপিয়ার ছবিই সবার সামনে ভেসে উঠত; একজন আবে আহমেদ আলী বদলে দিলেন সেই চেনা গল্প! আফ্রিকার এ দেশটি এখন সারা দুনিয়ার গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক কর্মীদের দৃষ্টি কেড়েছে! নেতা আবে আহমেদের বর্তমান ইথিওপিয়ার শাসনভার রয়েছে চারটি জাতিগত গোষ্ঠী নিয়ে গড়া জোট  Ethiopian People’s Revolutionary Democratic Front (EPRDF)-এর ওপর। এ চারটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম Oromo People’s Democratic Organization (OPDO), যার নেতা আবে আহমেদ আলী।

২০১০ সালে রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে ২০১৫ সালে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য, ২০১৬ সালে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী এবং ’১৮ সালে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী! অভূতপূর্ব বিস্ময়কর গতিতে এগিয়ে চলা রাজনৈতিক ক্যারিয়ার! যদিও কিশোরবেলা থেকেই রাজনীতিসচেতন আবে ১৯৯০ সালে সরকারবিরোধী যে গণআন্দোলন হয়েছিল তার সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ’৯৫ সালে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে যোগ দিয়ে রুয়ান্ডায় কাজ করেছেন। পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়ে পিএইচডি ও ট্রান্সফরমেশনাল লিডারশিপের ওপর মাস্টার্স করেছেন আবে। ২০০৭ সালে গড়ে তোলেন Ethiopian Information Network Security Agency. প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই দ্রুততার সঙ্গে কতগুলো যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন। দেশের অন্যসব দলের সঙ্গে হিংসার পরিবর্তে ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন! ক্ষমতা গ্রহণের পরে মে মাসে সব রাজনৈতিক বন্দী এবং ৭ হাজার ৬০০  সাধারণ কয়েদিকে মুক্তি দেন। আবে আহমেদের জন্ম ১৯৭৬ সালে। আমার চেয়ে মাত্র পাঁচ বছর পরে! এ বয়সেই এই যুবক এমন রূপকথার জন্ম দিয়েছেন! প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কিছুদিন পর তিনি EPRDF-এর প্রধান নেতার পদ ছেড়ে দেন। তার গৃহীত কার্যক্রম নিজের দল, জোট, বিরোধী দল, দেশের সাধারণ মানুষ এবং আফ্রিকাসহ অন্য দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষকে আশাবাদী করে তুলেছে। গত ২৩ অক্টোবর আদ্দিসে এক সমাবেশে বিরোধী ও দলের ভিতরের একদল নেতাকে কটাক্ষ করে আবে আহমেদ বলেছেন, ‘আপনাদের প্রতিদিন হুইস্কি প্রয়োজন হয় তাও আবার স্কচ না হলে হয় না অথচ ইথিওপিয়ার সাধারণ মানুষের নিরাপদ খাবার পানি জোগাড় হচ্ছে না!’ ইথিওপিয়ার মানুষের জীবনের চাহিদা খুবই সামান্য অথচ সেটুকুও জোগাড় হচ্ছে না! এ নিয়ে খুব একটা অনুযোগ নেই! মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে একদল তাদের খেপিয়ে তুলতে চেষ্টা করে কিন্তু পরক্ষণেই এরা বোঝেন, যেই লাউ সেই কদু! আশ্চর্য এই যে, কৃষক-শ্রমিকের অধিকার নিয়ে কথা বলা একদল তথাকথিত মার্কসবাদী দীর্ঘদিন ইথিওপিয়ার ক্ষমতায় থাকলেও কৃষক-শ্রমিকের জীবন সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। পার্টির ভিতর একদল নেতার জীবন ফুলেফেঁপে উঠেছে এবং এই নেতাদের দুর্নীতির টাকা ইথিওপিয়ায় বিনিয়োগ হয়নি, পাচার হয়েছে বিদেশে। এ গল্পটা আমাদেরও পরিচিত। সম্ভবত পিছিয়ে পড়া সব দেশের গল্প প্রায় একই। অনেকটা আমাদের দেশেও যেমন করে লুটেরা নেতারা তাদের লুটের ভাগ অনুগত কর্মীদের কিছুটা দিলেও মাদক ও ক্যাসিনোয় আসক্ত করে কর্মীকে দেওয়া লুটের ভাগ আবার ফিরিয়ে নেন; কেননা মাদক ও ক্যাসিনোর মালিক সেই নেতারাই! তেমন করেই আফ্রিকার মতো বিভিন্ন দেশে ক্ষমতাধর পরাশক্তির দেশগুলো তাদের তাঁবেদার শাসক বসায় এবং এই তাঁবেদাররা শোষণ-লুটপাট করে যে বিত্তবৈভব গড়ে সেগুলো তাদের প্রভুরা তাদের দেশে নিয়ে যায়।

প্রাসঙ্গিক কারণে বলতে হচ্ছে, দীর্ঘকাল মার্কসবাদীরা ইথিওপিয়ার ক্ষমতায় থেকে তাদের দলে ক্ষুদ্র একটা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে সমাজে বিশাল বৈষম্য সৃষ্টি করছে। রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কৃষক বীজ, সার, প্রয়োজনীয় কীটনাশক পাবে। শিক্ষার সুযোগ, কর্মসংস্থান ইত্যাদি করা হবে, হয়েও ছিল! কিন্তু তা কেবল দলের ক্ষুদ্র সুবিধাভোগী অনুসারীদের জন্য। কেননা সীমিত সম্পদে সুবিধার প্রতিযোগিতায় দলের সাধারণ সমর্থকরা পিছিয়ে পড়েছেন, বঞ্চিত হয়েছেন। কেন্দ্রে অভিযোগ করে লাভ হয়নি, কেননা নিরীহ ওই কর্মীর চেয়ে কেন্দ্রের কাছে ক্ষমতাধর স্থানীয় নেতার প্রয়োজন অনেক বেশি! আমাদের সঙ্গে এদের অভিজ্ঞতার আশ্চর্য রকম মিল! শান্তির সন্ধানে গিয়ে প্রথম দিনেই হোঁচট খেলাম! দক্ষিণ প্রদেশ থেকে হাওসা আলাদা হতে চায়, আর এই আন্দোলনে অরমোদের দাঙ্গায় ৬৭ জন প্রাণ হারান!  এখানে বলে রাখি, ইথিওপিয়ায় ৮৮টি জাতিগোষ্ঠী রয়েছে এবং এর প্রতিটি তাদের স্বকীয়তা বজায় রেখে স্বশাসিত হতে চায়। ইথিওপিয়ার উন্নয়নের জন্য ঐক্য প্রয়োজন। কিন্তু বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যই ইথিওপিয়ার বড় চ্যালেঞ্জ! তারা এক ইথিওপিয়াকেও ভয় পায়। কারণ এক ইথিওপিয়া গড়তে গিয়ে কমিউনিস্টদের সৃষ্ট দানবীয় হত্যাযজ্ঞের বেদনাময় স্মৃতি তাদের তাড়িয়ে বেড়ায়। আদ্দিস আবাবা হোটেল শেরাটনে ৩১ অক্টোবর সকালে National Jobs Summit শুরু হয়। গণমাধ্যমকর্মী পরিচয়ে দেশের বাইরে এটাই আমার প্রথম কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া। বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে বিশেষ মর্যাদাও পেলাম। ইথিওপিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী Ato Demeke Mekonnen এ সামিটের উদ্বোধন করেন। এক বছরের মধ্যে ৪০ লাখ কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়ে এর যাত্রা হলো। অনেক উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য, তাতে সন্দেহ নেই! আমার সঙ্গে স্থানীয় কাগজ The Reporter-এর সাংবাদিক Samuel Getachew এবং Hana Gebresilassie বসে ছিলেন। তাদের কাছে জানতে চাইলাম ‘এমন বড় লক্ষ্যমাত্রা কী মনে কর?’ মুহূর্ত সময় না নিয়ে তাদের উত্তর- ‘সামনে নির্বাচন, এটাকে তার প্রচারাভিযান ধরতে পারো!’ সে যা হোক, অন্তত একটা মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এর যাত্রা হলো। কর্মসংস্থান ইথিওপিয়ার এক নম্বর অগ্রাধিকার। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে Jobs Creation Commission নামে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি করা হয়েছে। Master Card Foundation এখানে সহায়তা দিচ্ছে। মূলত কৃষি, গবাদিপশু পালন, ক্ষুদ্র ব্যবসা, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পর্যটন এসব ক্ষেত্রে কাজ করবে বলে আয়োজকরা জানালেন। আশা করি শেষ পর্যন্ত শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি যেন না হয়!

প্রসঙ্গক্রমে বলি, ২৩ অক্টোবর ঢাকা থেকে দুবাইয়ে এসে আদ্দিস আবাবার ফ্লাইট ধরি। প্রচুর যাত্রী বিমানে। আশ্চর্যের বিষয়, ৭০% যাত্রীই ছিলেন নন-আফ্রিকান, চেহারা দেখেই তা অনুমান করলাম! আমার পাশের সিটে বসা ভদ্র মহিলা অস্ট্রিয়ান, কাজ করেন মিরান্ডা গেইটস ফাউন্ডেশনে। ইথিওপিয়ায় তার কাজ স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে। আমি যে হোটেলে উঠেছি তার প্রায় অর্ধেক ইউরোপীয়, বাকি অর্ধেকের বেশি চাইনিজ, অল্প কিছু ইন্ডিয়ান। এর অধিকাংশ ব্যবসা ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজতে এসেছেন! কিছু আছেন                   আন্তর্জাতিক সংস্থার। সকালে নাস্তার টেবিলে আগ বাড়িয়েই বিভিন্ন জনের সঙ্গে আলাপ করে যা বুঝলাম, এখানে অবকাঠামো বিশেষত রেল ও সড়ক নির্মাণ এবং সেবা খাতে হাসপাতাল ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী তারা।

একসময় আফ্রিকা শ্রমশক্তি ও বনভূমির জন্য মুনাফাখোরদের মনোযোগে ছিল, এখন এদের মাটির নিচে জমে থাকা খনিজ সম্পদ লুণ্ঠনে মরিয়া পশ্চিমা সমাজ! এদের মধ্যে জাতিগত দাঙ্গা লাগিয়ে রাখা, এইডস-ইবোলার মতো ব্যাধি আক্রান্ত বলে ব্র্যান্ডিং করা গেলে এদের জন্য শান্তি মিশন পাঠানো জায়েজ করা যায়! শান্তি প্রতিষ্ঠায় পশ্চিমা দেশগুলো ও তাদের তাঁবেদার প্রতিষ্ঠানগুলো আফ্রিকায় কাজ করতে পেরে বেশ একটা তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারে।

অথচ আশ্চর্য, এখানকার অধিকাংশ মানুষ বড় মানবিক, উদার, সহনশীল। জীবনে এদের চাহিদা খুবই সামান্য! খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে পোশাক-পরিচ্ছদ, গৃহসামগ্রী, গাড়ি-ঘোড়া কোনো কিছুতেই বাহুল্য নেই, বিলাসিতা নেই। পরশ্রীকাতরতাও নেই! বিলাসিতা বলতে আট ঘণ্টার বেশি কাজ করতে মোটেও আগ্রহ নেই। সন্ধ্যায় পাড়ার টংঘরে একটু পানাহার আর প্রাণ খুলে হৈচৈ, ব্যস! এ রকম একটা অতিনিরীহ সমাজকে ধীরে ধীরে অকর্মণ্য ও পরনির্ভর করে তুলেছে তথাকথিত আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো। পশ্চিমাদের তাঁবেদার হিসেবে পরিচিত জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের মতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ তালিকায়। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনীতিসচেতন মানুষের সঙ্গে আলাপ করে বুঝলাম, তীব্র আত্মমর্যাদাসম্পন্ন আফ্রিকানরা সব সময় চেয়েছে নিজেদের সমস্যা নিজেরা সমাধান করতে। পশ্চিমা সমাজ তা হতে দেয়নি।

প্রসঙ্গে আসি, বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে যা বুঝলাম, বিদেশি বিনিয়োগে সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও কতগুলো বিধিবিধানের জন্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তা! সমস্যার ধরনগুলো অনেকটা এ রকম- এখানে বিনিয়োগের জন্য প্রথমেই ইনভেস্টমেন্ট লাইসেন্স নিতে হয়। একজন ব্যবসায়ী ব্যবসার সব সাপ্লাইচেইন উল্লেখ করে পূর্ণাঙ্গ ব্যবসার ইনভেস্টমেন্ট লাইসেন্স নিলেন; কিন্তু যখন তিনি প্রতিষ্ঠান নির্মাণে কাঁচামাল আমদানি করতে যাচ্ছেন তখন কাস্টমস বেঁকে বসছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও কাস্টমসের সমন্বয়ের অভাব আছে। আছে ভিসার ক্ষেত্রেও জটিলতা। এখানে দক্ষ শ্রমিক ও ব্যবস্থাপকের ঘাটতি আছে। আবার বাইরে থেকে দক্ষ শ্রমিক বা ব্যবস্থাপক আনার ক্ষেত্রে তিন বছরের বাধ্যবাধকতা আছে। এদের সাফ বক্তব্য, ‘আমাদের লোককে শিখিয়ে নাও।’ কিন্তু বিনিয়োগকারীদের বক্তব্য, ‘কাকে শেখাব? এদের আগ্রহ থাকলে তো! শ্রমিককে না হয় শিখিয়ে নিলাম, কিন্তু চট করে ব্যবস্থাপক, ফোরম্যান তৈরি করব কীভাবে?’

এখানে ব্যবসায়ীদের একটা সংগঠন আছে তবে সরকারের সঙ্গে দেনদরবারে খুবই দুর্বল! এখানকার চেম্বারে কথা বলে যা বুঝলাম, ইতিমধ্যেই চীন, তুরস্ক, ইন্ডিয়া থেকে বিনিয়োগ হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশের ডিবিএল গার্মেন্ট সেক্টরে এখানে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

কিন্তু নানান আইনি জটিলতায় বিনিয়োগকারীরা গাঁটের পয়সা ভেঙে ব্যাংকের কিস্তি দিচ্ছেন; অন্যদিকে নতুন বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি নিতে ভয় পাচ্ছেন। এরই মধ্যে আসন্ন নির্বাচন ঘিরে নতুন উৎপাত শুরু হয়েছে- জাতিগত দাঙ্গা। যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা তথা শান্তির সুবাতাস দেখে বিনিয়োগকারীরা তাদের জাহাজ ভিড়িয়ে ছিলেন ইথিওপিয়ায়, বর্তমান অস্থিরতা তার পালে শঙ্কার হাওয়া দিচ্ছে! উত্তরণের পথ আবে আহমেদের ইথিওপিয়াকেই খুঁজতে হবে। এমন সম্ভাবনার দেশটিতে এখন দক্ষ মানবসম্পদের দারুণ সংকট। এরা মুখিয়ে আছেন বিনিয়োগের জন্য। আবে আহমেদের নতুন ইথিওপিয়া কি আমাদের জন্য নতুন কোনো সম্ভাবনা বা সুযোগ বয়ে আনতে পারে না? নাকি আমরা ধরেই নিয়েছি তা ‘সম্ভব নয়’? সম্ভাবনা খোঁজা দূরের কথা, ঠিক কোন কারণে International Organization for Migration (IOM)-এর নির্বাচনে ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল পদে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব আফ্রিকার ৫৪টি দেশের একটিরও সমর্থন নিতে ব্যর্থ হয়েছেন- এ প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি। এখনো এত উদাসীন কেন আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?

                লেখক : যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ পোস্ট।

 

সর্বশেষ খবর