বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
বিচিত্রতা

গণচীন

চীনের আয়তন প্রায় ৯৬ লাখ বর্গ কিলোমিটার। স্থলভূমির আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র। চীনের ভূমিরূপ বিশাল ও বৈচিত্র্যময়। দেশটির অনুর্বর উত্তরাংশে অরণ্য স্টেপ তৃণভূমি এবং গোবি ও তাকলামাকান মরুভূমি যেমন আছে, তেমন এর আর্দ্র দক্ষিণাংশে আছে উপক্রান্তীয় অরণ্য। হিমালয় ও কারাকোরাম পর্বতমালা, পামির মালভূমি ও থিয়েন শান পর্বত শ্রেণি চীনকে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়া থেকে ভৌগোলিকভাবে আলাদা করেছে। ইয়াংসি নদী (বিশ্বের তৃতীয় দীর্ঘতম) ও পীত নদী (বিশ্বের ষষ্ঠ দীর্ঘতম) তিব্বতের মালভূমি থেকে উৎসারিত হয়ে আগের জনবহুল অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাগরে পড়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের তটরেখার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার (৯ হাজার মাইল)। বোহাই সাগর, পীত সাগর, পূর্ব চীন সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগর এর সামুদ্রিক সীমানা নির্ধারণ করেছে। চীনের উত্তরে রয়েছে মঙ্গোলিয়া; উত্তর-পূর্বে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া; পূর্বে চীন সাগর; দক্ষিণে ভিয়েতনাম, লাওস, মিয়ানমার, ভারত, ভুটান, নেপাল; দক্ষিণ পশ্চিমে পাকিস্তান; পশ্চিমে আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান ও কাজাখস্তান। এই ১৪টি দেশ বাদে চীনের পূর্বে পীত সাগরের পাশে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান; দক্ষিণ চীন সাগরের উল্টো দিকে আছে ফিলিপাইন। চীনারা তাদের দেশকে চুংকুও নামে ডাকে, যার অর্থ ‘মধ্যদেশ’ বা ‘মধ্যবর্তী রাজ্য’। ‘চীন’ নামটি বিদেশিদের দেওয়া; এটি সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকের সিন রাজবংশের নামের বিকৃত রূপ। চীনে বিশ্বের জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশের বাস। এর ৯০%-এরও বেশি হলো চৈনিক হান জাতির লোক। হান জাতি বাদে চীনে আরও ৫৫টি সংখ্যালঘু জাতির বাস। এর মধ্যে আছে তিব্বতি, মঙ্গোল, উইঘুর, সুয়াং, মিয়াও এবং আরও অনেক ছোট ছোট জাতি। হান বা হুণ জাতির লোকদের মধ্যেও অঞ্চলভেদে ভাষাগত পার্থক্য দেখা যায়। যদিও শিক্ষাব্যবস্থায় ও গণমাধ্যমে পুতোংহুয়া নামের একটি সাধারণ ভাষা ব্যবহার করা হয়, আঞ্চলিক কথ্য ভাষাগুলো প্রায়ই পরস্পর বোধগম্য নয়। তবে চিত্রলিপিভিত্তিক লিখন পদ্ধতি ব্যবহার করে বলে সব চীনা উপভাষাই একইভাবে লেখা যায়; এর ফলে চীনজুড়ে যোগাযোগ সহজ হয়েছে।

                জাফর খান

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর