বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জলবায়ু পরিবর্তন

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষা জরুরি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যাওয়ার স্বার্থে জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যার সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের আগে ‘ভালনারেবল নেশন্স কপ-২৫ লিডার্স সামিটে’ বক্তব্য দানকালে ওই তাগিদ দেন। জলবায়ু পরিবর্তন যখন মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে তখন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যাওয়ার তাগিদটি খুবই প্রাসঙ্গিক। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের জীবন ও পরিবেশ, বাস্তুশাস্ত্র ও প্রাকৃতিক সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতি করছে। ১৯৯২ সালে আর্থ সামিটের পর থেকে আমরা গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাসে খুব বেশি অগ্রগতি অর্জন করতে পারিনি, এর নির্গমন এখনো অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে। এ প্রবণতা পৃথিবীকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমিত ক্ষমতা ও নির্দিষ্ট ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে সবচেয়ে বেশি প্রতিকূল অবস্থায় পড়েছে। জলবায়ুর ক্ষয়ক্ষতির জন্য কোনো অবদান না রাখলেও ক্ষতির ধাক্কাটা বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে সামলাতে হচ্ছে। এটি একটি অবিচার। অবশ্যই বিশ্ব সম্প্রদায়কে এ বিষয়টি স্বীকার করতে হবে। ২০০৯ সালের নভেম্বরে মালেতে ফোরামের প্রথম সভার পর বৈশ্বিক জলবায়ু দৃশ্যপটের যথেষ্ট পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষত বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোয় জাতীয়ভাবে গ্রহণ করা অভিযোজনমূলক উদ্যোগে সহায়তা করার জন্য খুব কমই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন উদ্দেশ্যে গঠন করা তহবিলগুলোয় পর্যাপ্ত মূলধনের অভাব রয়েছে। মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বাস্তব অবস্থার সঠিক চিত্র ফুটে উঠেছে। স্বীকার করতেই হবে জলবায়ু পরিবর্তন মানবজাতির জন্য এক ভয়াবহ বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে। যুদ্ধ-হানাহানি-সংঘাতের চেয়েও জলবায়ু পরিবর্তনের আপদ্ বেশিসংখ্যক মানুষকে বাস্তুচ্যুত করছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও মরুকরণের বিপদ সম্পর্কে বিশ্বসমাজ দায়বোধের পরিচয় দিতে পারছে না। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য যে দেশগুলোর দায় বেশি যুক্তরাষ্ট্রসহ সেই পশ্চিমা দেশগুলো দায় এড়ানোর প্রতারক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে“ে যা দুর্ভাগ্যজনক এবং অবশ্যই এ অবিমৃশ্যকারিতার অবসান হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর