সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সব নবীর দাওয়াত ছিল আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠা

মুহম্মাদ আশরাফ আলী

আল্লাহ মানুষের কাছে তাঁর হুকুম-আহকাম হেদায়াত পৌঁছে দেওয়ার জন্য যাদের মনোনীত করেন তাঁরা নবী বা রসুল হিসেবে অভিহিত। মানুষের মধ্য থেকেই নবী-রসুলকে মনোনীত করা হয়। শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তাঁর হুকুম আহকাম ও হেদায়াত বান্দাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য যে ব্যবস্থা বা পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাকে রিসালাত বলা হয়। পৃথিবীতে অসংখ্য নবী-রসুল আগমন করেছেন। যাদের সংখ্যা এক লাখ ২৪ হাজার মতান্তরে দুই লাখ ২৪ হাজার। পবিত্র কোরআনে ২৫ জন নবী-রসুলের নাম উল্লেখ আছে। রিসালাত আল্লাহর বিরাট দান। যাকে ইচ্ছা তিনি তাঁকে তা দান করেন। বলে বা চেয়ে দাবি করে এ মর্যাদার অধিকারী হওয়া যায় না। প্রত্যেক নবীর দাওয়াত ছিল একই। আল্লাহর দীনকে প্রতিষ্ঠিত করা। তাঁদের কোনো একজনকে অস্বীকার করলে সবাইকে অস্বীকার করা বোঝায়। নবী রসুলদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘প্রত্যেক জাতির মধ্যে রসুল পাঠিয়েছি, যিনি এই বলে তাদের আহ্বান জানিয়েছিলেন, আল্লাহর বন্দেগী কর এবং তাগুতের আনুগত্য পরিহার কর। এরপর তাদের মধ্য থেকে কাউকে আল্লাহ হেদায়াত দান করলেন আর কারও ওপর গোমরাহী চেপে বসল। সুতরাং তোমরা জমিনে পরিভ্রমণ কর আর দেখ মিথ্যাবাদীদের পরিণাম কী হয়েছিল। (১৬-সূরা নাহল : ৩৬)।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হজরত আদম (আ.) থেকে নিয়ে ঈসা (আ.) পর্যন্ত যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রসুলকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাদের কেউ ছিলেন এলাকাভিত্তিক কিংবা জাতিভিত্তিক কিন্তু রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন পুরো বিশ্ববাসীর জন্য নবী। নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত এসে নবুয়ত শেষ হয়ে গেছে। কিয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবী আসবেন না। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুয়ত সমগ্র বিশ্বের জন্য এবং যতদিন দুনিয়া থাকবে ততদিনের জন্য তার নবুয়ত থাকবে। আল্লাহর কাছে তারাই নাজাত পাবে যারা নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর ইমান এনে তাঁর আনুগত্যের অনুসারী হয়ে জীবনযাপন করবে। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরআন মাজিদ নিয়ে আসার পর তাওরাত, জাবুর ও ইঞ্জিল কিতাবের প্রতি  আমল করা যাবে না।

                লেখক : ইসলামী গবেষক।

 

সর্বশেষ খবর