বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

উগ্রবাদবিরোধী লড়াই

জাতীয় ঐকমত্যের বিকল্প নেই

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ একটি বিশ্বজনীন সমস্যা। দুনিয়ার কোনো জাতিই এ সমস্যা থেকে মুক্ত নয়, নিরাপদ থাকার প্রশ্নই ওঠে না। স্বভাবতই সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের নোংরা দৈত্যকে প্রতিহত করতে পৃথিবীর সব জাতির, সব ধর্মের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য বিড়ম্বনা সৃষ্টিকারী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সোমবার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট আয়োজিত দুই দিনের উগ্রবাদবিরোধী জাতীয় সম্মেলন, ২০১৯-এর উদ্বোধনী ভাষণে বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সব দেশের জন্যই এটি ভয়ঙ্কর হুমকি। কোনো দেশের একার পক্ষে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। জঙ্গি ও উগ্রবাদ নির্মূলে বিশ্বকে এক কাতারে এসে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি এটা প্রতিরোধে জাতীয় পর্যায়ে সম্মিলিত প্রয়াস ও সব পক্ষের সমন্বিত কার্যক্রম প্রয়োজন। সারা বিশ্বে ঐকমত্য রয়েছে- এ উগ্রবাদ বা জঙ্গিবাদ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা সভ্যতার শত্রু, মানবতার শত্রু। উগ্রবাদ সারা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে স্পিকার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। এ নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশের ভূখ- কোনো সন্ত্রাসবাদের জন্য ব্যবহার হতে দেওয়া হবে না। কেউ অপরাধ করেও পার পাবে না। কারণ দেশ থেকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত নীতির আলোকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এবং সমন্বিতভাবে কার্যক্রম চালাতে হবে। উগ্রবাদ নির্মূলে সমাজের দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূর করতে হবে। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় সন্ত্রাসবিরোধী প্রচার চালাতে হবে। উগ্রবাদবিরোধী জাতীয় সম্মেলনে স্পিকারের উদ্বোধনী বক্তব্য খুবই সময়োপযোগী ও তাৎপর্যের দাবিদার। আমরা আশা করব, এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী আলেম-ওলামাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ তথা উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পরামর্শ দেবেন। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্য অটুট রাখতে যা অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর