বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইসলামের দৃষ্টিতে মানবাধিকার

মো. আবু তালহা তারীফ

ইসলাম মানুষের মর্যাদার ওপর অসাধারণ গুরুত্বরোপ করেছে। সৃষ্টিকুলের মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাবান হচ্ছে মানুষ। তাকে অন্যসব সৃষ্টির তুলনায় উত্তম কাঠামোয় সৃষ্টি করা হয়েছে এবং জগতের সব নিয়ামত ও শক্তি মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন করে তার সেবায় নিয়োজিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কি দেখ না, আল্লাহ আকাশম-লী ও ভূপৃষ্ঠে যা কিছু আছে সবই তোমাদের কল্যাণে নিয়ন্ত্রণাধীন রেখেছেন এবং তোমাদের প্রতি তাঁর প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অনুগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’ সূরা লুকমান, আয়াত ২০।

মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে মানুষে মানুষে সব ধরনের বৈষম্য বিলোপের কথা এসেছে। ইসলামও এরূপ বৈষম্যের বিপক্ষে। ইসলাম মানবজাতিকে জন্মগতভাবে সমানভাবে সমান মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছে। আল্লাহ বলেন, ‘ওহে মানবজাতি! আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন গোত্র ও বংশে, যাতে তোমরা একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পারো। আর তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক মর্যাদাবান যে অধিক মুত্তাকি।’ সূরা হুজুরাত, আয়াত ১৩।

মানুষের জীবন, স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ইসলামে বিবেচনা করা হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে মানবজীবন অতি পবিত্র এক সম্পদ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ যে জীবনকে হত্যা করা নিষিদ্ধ করেছেন, যথার্থ কারণ ছাড়া তোমরা তাকে হত্যা কোরো না।’ সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত ৩৩। ইসলাম মানবজীবন অসংগত কারণে হরণ করতে নিষেধ করেছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নর হত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীর প্রাণ হরণ করল।’ সূরা মায়েদা, আয়াত ৩২।

ইসলামী শাসনে ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ইনসাফ ও সাম্যনীতি ইসলামী বিচারব্যবস্থার অন্যতম মূল বৈশিষ্ট্য। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যখন মানুষের মাঝে বিচারকার্য পরিচালনা করবে তখন ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে করবে।’ সূরা নিসা, আয়াত ৫৮।

লেখক : খতিব, রোহিতপুর বোডিং মার্কেট জামে মসজিদ, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর