বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ওষুধের দাম বাড়ছে

প্রশাসনের ঘুম ভাঙুক

কোনো কারণ ছাড়াই ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের ওষুধের দাম বাড়িয়ে চলেছে। এমনিতেই সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে অস্বস্তিতে রয়েছে। বিশেষ করে পিয়াজের দাম বলা নেই কওয়া নেই দুই মাসের ব্যবধানে ৬০০ ভাগ বৃদ্ধি অনেকের স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে। বয়সী লোকদের জন্য অপরিহার্য ওষুধের দাম বাড়ানোর মচ্ছব শুরু করেছে কোনো কোনো ওষুধ কোম্পানি। বিশেষ করে হাড় ক্ষয় রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হয় এমন ওষুধের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। অস্টিওপোরোসিসের ওষুধ হিসেবে বয়স্কদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আইব্যান্ড্রনিক অ্যাসিড জেনেরিক। দেশের অন্তত দেড় ডজন কোম্পানি এই ওষুধ তৈরি ও বাজারজাতকরণের অনুমোদন পেয়েছে সরকারের কাছ থেকে। এর মধ্যে তিনটি কোম্পানি ছাড়া বাকিগুলোর সবাই তৈরি করছে ১৫০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট ফরম্যাট। এত দিন এর প্রতিটি ট্যাবলেট বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। তবে হঠাৎ গত এক-দেড় মাসে এই ওষুধের দাম দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে গেছে। অপসোনিন ফার্মা লিমিটেডের ‘বনফিক্স’ ব্র্যান্ডের ওষুধটি ৫০০ থেকে চলতি মাসে ১২০০ টাকা হয়ে গেছে। একই জেনেরিকের ‘বন্ড্রোভা’ ব্র্যান্ডের হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধটির দাম বেড়ে এখন ১৯৬০ ও ল্যাবএইড ফার্মার ‘বোনাইড’ ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিক এজিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ও সিরাপ তৈরির অনুমতি রয়েছে শতাধিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের। ট্যাবলেট ও ক্যাপসুলগুলোর কোনোটি ৫০০ মিলিগ্রাম আবার কোনোটি ২৫০ মিলিগ্রাম। গত এক মাসের মধ্যে বেশির ভাগ কোম্পানিই গড়ে প্রতি ট্যাবলেটের দাম ২ থেকে ৫ টাকা বাড়িয়েছে। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের দামেও নিয়ন্ত্রণ নেই। উৎপাদন খরচের কয়েক গুণ নির্ধারণ করা হয় প্রতিটি ওষুধের দাম। চিকিৎসকদের কমিশন ও উপহার দেওয়ার জন্য ওষুধ কোম্পানিগুলো ওষুধের দাম বাড়ানোকে নিরাপদ মনে করছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম যেমন বাড়েনি তেমন এমন কোনো কারণ ঘটেনি যে কোনো কোনো ওষুধের দাম তিন গুণ করতে হবে। এ নৈরাজ্য বন্ধে ঔষধ প্রশাসনের দায়িত্ব থাকলেও তারা কানে দিয়েছি তুলো আর পিঠে বেঁধেছি কুলো নীতি গ্রহণ করেছে; যা শুধু গর্হিত নয়, নিন্দনীয় বললে অত্যুক্তি হবে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর