বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নকল ভেজাল প্রসাধনী

প্রশাসনের কড়া নজর কাম্য

পুরান ঢাকার চকবাজার ও কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে নকল প্রসাধনী তৈরির অপরাধে সাতজনকে কারাদ- এবং ৪৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানে ধ্বংস করা হয়েছে ১৯ কোটি টাকার নকল ও ভেজাল প্রসাধনী। র‌্যাব-১০-এর সহযোগিতায় শনি ও রবিবার টানা দুই দিনের এ অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযানে ১১টি নকল ও ভেজাল প্রসাধনীর কারখানা এবং গোডাউন সিলগালা করা হয়। বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী যারা ব্যবহার করেন খবরটি তাদের জন্য উদ্বেগজনক। বিদেশি প্রসাধনীর জন্য বেশি অর্থ ব্যয় করেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের ঠকতে হচ্ছে। কারণ দেশেই তৈরি হচ্ছে এসব নকল প্রসাধনী এবং ব্যবহৃত হচ্ছে উচ্চমাত্রার ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ। এমনকি বিদেশ থেকেও আসলের বদলে নকল প্রসাধনীর আমদানি ঘটছে। ইতিপূর্বে শুল্ক গোয়েন্দাদের আটক বিদেশি নকল প্রসাধনীতে বিষাক্ত রাসায়নিকের অস্তিত্ব মিলেছে। রাজধানীতে বিদেশি নামিদামি

ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী আটকের পর ফরেনসিক ল্যাবের পরীক্ষায়ও ক্ষতিকর রাসায়নিকের সন্ধান মিলেছে। বাজারে যেসব বিদেশি প্রসাধনী পাওয়া যায়, তার একাংশের মোড়ক দেখে বোঝার উপায় নেই, এটা আসলে স্থানীয়ভাবে তৈরি নকল পণ্য। এসব পণ্যের কৌটা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এমনকি প্যাকেজিংটাও বাইরে থেকে আনা হয়। এখানে শুধু ছোট্ট একটা মেশিন দিয়ে রিফিল করা হয়। নকল প্রসাধনী ব্যবহারে স্কিন ক্যান্সারেরও আশঙ্কা থাকে। পাশাপাশি ত্বকে দানা, হাঁপানি, মাথাব্যথা, চোখ জ্বালাপোড়াসহ অন্যান্য রোগেরও উদ্ভব হয়। মানুষ প্রসাধনী ব্যবহার করে সুন্দর থাকার জন্য। কিন্তু নকল-ভেজাল বিদেশি প্রসাধনী ব্যবহার করে ভোক্তারা শুধু আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না, স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ ডেকে আনছেন। জনস্বার্থেই প্রসাধনী নকল-ভেজালের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল সব সংস্থাকে সক্রিয় হতে হবে। নকল-ভেজালের মতো জঘন্য অপরাধ দমনে অপরাধীদের

কঠিন সাজা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর