বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পরিবহন ড্রাইভার ও সহকারীদের নিয়োগপত্র প্রদান প্রসঙ্গ

কারার মাহমুদুল হাসান

পরিবহন ড্রাইভার ও সহকারীদের নিয়োগপত্র প্রদান প্রসঙ্গ

১. শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির ২৬ নভেম্বর, ২০১৯-এ অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত এক সিদ্ধান্তে বলা হয়- আইনে থাকলেও সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয় না। নিয়োগপত্র দেওয়া ও নেওয়া নিয়ে মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষের এক ধরনের অনীহা আছে। এখন থেকে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যে গাড়ির চালক ও সহকারীদের নিয়োগপত্র দেবে মালিকপক্ষ। শ্রমিক প্রতিনিধিরাও নিয়োগপত্র নিতে সম্মত হয়েছেন।

২. জাতীয় সংসদ ভবনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়কে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের চিঠি দিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। বৈঠকসূত্র জানান, পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়া ও ব্যক্তিমালিকানাধীন সড়ক পরিবহন শ্রমিককল্যাণ তহবিল বোর্ডের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার জন্য ওই বৈঠকে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের ডাকা হয়। বৈঠকে নিয়োগপত্র দেওয়া-নেওয়া নিয়ে মালিক ও শ্রমিকপক্ষ একে অন্যকে দোষারোপ করে। মালিক-পক্ষের দাবি- ড্রাইভার শ্রমিকরা ঘন ঘন কোম্পানি পরিবর্তন করেন। এ কারণে তারা নিয়োগপত্র নিতে অনীহা দেখান। অন্যদিকে শ্রমিক-পক্ষের দাবি- মালিকরা নিয়োগপত্র দিতে চান না।

৩. বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক এমপি বলেন, বৈঠকে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। আইনেই পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা বলা আছে। পরিবহনের রুট পারমিটের জন্য আবেদনের সঙ্গে চালকের নিয়োগপত্র দিতে হয়। কিন্তু মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষের অনীহার কারণে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বৈঠকে আলোচনার পর উভয় পক্ষ একমত হয়েছেন, মালিকেরা নিয়োগপত্র দেবেন এবং শ্রমিকরা নেবেন। শ্রম বিভাগ এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে চিঠি দেবে। সংসদীয় কমিটি শ্রম বিভাগকে বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদারক করতে বলেছে।

৪. শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সাম্প্রতিক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যুগান্তকারী এবং এ সিদ্ধান্ত কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে সড়ক-মহাসড়ক, ছোট-বড় শহরে অতিদ্রুত বিশৃঙ্খলা অর্ধেকে নেমে আসবে বলে আশা করা যায়। যান পরিবহন চালকদের নিয়োগপত্র প্রদানের বিষয়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা  উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সেমিনার-নিবন্ধে এতদ্সংশ্লিষ্ট লেখা বেশ কয়েকবার প্রকাশিত ও পঠিত হয়েছে। কিন্তু এত বড় একটি জরুরি বিষয়ে বছরের পর বছরব্যাপী কেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাহসের সঙ্গে কার্যকর মনোযোগ প্রদান করেননি তা ভাবার বিষয় বটে। প্রায় সাত বছর আগে দি ফাইন্যানশিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকায় এতদ্সংশ্লিষ্ট আমার একটি লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর সাবেক যোগাযোগ সচিব সৈয়দ রেজাউল হায়াত (তখন তিনি দি চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব লজিসটিকস্ অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট) এই মর্মে মন্তব্য করেছিলেন যে, নিয়োগপত্র প্রদান বিষয়টি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হলে বাংলাদেশে সড়ক-মহাসড়ক, রাজপথ-জনপথে দুর্ঘটনা অর্ধেকের অনেক নিচে নেমে আসতে বাধ্য। এর মাস কয়েক পর তিনি ইন্তেকাল করেন।

৫. গত ৯ মে, ২০১৯ সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিনে (টেলিফোনে আমাকে নেওয়া এক ইন্টারভিউ) ‘বেতনের আওতায় নিন চালকদের’ শিরোনামে সড়ক দুর্ঘটনা এবং তা কঠোরভাবে কমিয়ে আনা বিষয়ে আমার মতামত ও পরামর্শসংবলিত বক্তব্য প্রথম পৃষ্ঠায় বেশ গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলোচনায় বলেছিলাম- সড়কে অব্যবস্থাপনার মূল কারণ চালকদের কোনো বেতন কাঠামো না থাকা, মূলত সেই কারণে চালকদের মনের মধ্যে নিরন্তর আক্ষেপ ও অস্থিরতা থাকে সর্বক্ষণ। সেজন্য যাত্রী তোলার অসুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্যে ঠেলে না দিয়ে তাদের চাকরি কাঠামোতে আনতে হবে, দূরপাল্লা কিংবা নগর পরিবহন সব বাস, ট্রাক, লরি চালককে নিয়োগপত্র দিতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে আমি আরও বলেছিলাম, নিয়োগপত্রের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র, লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। নিয়োগপত্র ও সংযুক্ত এই কাগজের এক কপি বিআরটিএ, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, থানাসহ প্রয়োজনীয় জায়গাগুলোয় পাঠাতে হবে। এতে সড়কে আইন অমান্য করলে কিংবা দুর্ঘটনায় দায়ী থাকলে চালকদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। অধিকাংশ দুর্ঘটনার পর দেখা যায় গাড়ির চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। নিয়োগপত্রের আওতায় আনলে তাদের স্থায়ী ঠিকানায় খোঁজখবর করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে। সীমিতভাবে গুলশান থানা এলাকায় ‘ঢাকা চাকা’ চালকদের বেতন কাঠামোর আওতায় এনে সুষ্ঠুভাব পরিবহন সেবা প্রদান নিশ্চিত করা হয়েছে অনেকাংশে। অন্য পরিবহন কোম্পানিতেও এ পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা যায় কিনা তা চিন্তা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সম্মিলিতভাবে।

৬. যানবাহন চালক ও সহকারীদের নিয়োগপত্র নিশ্চিত করা গেলে গাড়ির (সব ক্যাটাগরির যন্ত্রচালিত গাড়ির) চালক স্বস্তির সঙ্গে গাড়ি চালাতে উৎসাহবোধ করবেন। তবে চালকদের নিয়োগপত্র প্রদান সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত ত্বরিত বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণ হবে কর্তৃপক্ষের তথা সরকারের প্রথম ও প্রধান কাজ এবং তারা কার্যকরভাবে ‘বারচাট’  প্রস্তুত করে তা করতে উদ্যোগী হলে বাংলাদেশের সড়ক-মহাসড়ক, রাজপথ, আঞ্চলিক ও জেলা সড়ক সর্বত্র দুর্ঘটনার হার অনধিক ছয় মাসের মধ্যে দ্রুত নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে বিশ্বাস করি।

৭. আর এ সম্পর্কিত কাজগুলো বাস্তবায়নার্থে সরকার ঢাকা এয়ারপোর্ট রোডে নবনির্মিত বিআরটিএ বহুতল ভবনে চার (ও তদূর্ধ্ব) চাকার সব ইঞ্জিনচালিত গাড়ির ড্রাইভারদের নিয়োগপত্র প্রদানসংক্রান্ত কাজগুলো পরিকল্পিতভাবে সম্পাদনের জন্য একটি মজবুত ‘কন্ট্রোল রুম’ খোলার ব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে ৩০ দিনের মধ্যে করতে পারেন। আর এই কন্ট্রোল রুম পরিচালনার জন্য প্রাথমিকভাবে সরকারের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব ও উপসচিবদের বাড়তি (উদ্বৃত্ত) স্টক থেকে ছয়টি প্রশাসনিক বিভাগের জন্য প্রতিটিতে যথাক্রমে দুজন করে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব ও উপসচিব (সে বিবেচনায় প্রতি বিভাগে ১২ জন) এবং শেষে ছয়টি সিটি করপোরেশনের প্রতিটি স্বত্ব কন্ট্রোল রুমের জন্য তিন ক্যাটাগরির মোট ১২ জন কর্মকর্তাকে নিয়োজিত করার ব্যবস্থা করে অনধিক আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এতদ্সংক্রান্ত কর্মকা- পরিচালনার সূচনা কাজের বাস্তবায়ন কাজ কার্যকর ও পরিকল্পিতভাবে শুরু করতে পারেন। আর এই একটি কাজ (নিয়োগপত্র প্রদান) যথাযথ ও পরিকল্পিতভাবে করতে পারলে সড়ক দুর্ঘটনা বর্তমানের তুলনায় ৫০-৬০ পার্সেন্টে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।

৮. রাজধানী ঢাকা থেকে জয়দেবপুর-নারায়ণগঞ্জ-সাভার-ডেমরা রুটে ১৯৯৭ সালে প্রিমিয়াম বাস সার্ভিস কার্যকরভাবে চালু হয়। তখন আমি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে যুগ্মসচিব (প্রশাসন), সৈয়দ রেজাউল হায়াত সচিব ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তৎকালীন বাস পরিবহন কাজে মূলত নিটোল পরিবহনসহ আরও কয়েকটি বাস পরিচালনা মালিক সমিতির মালিকপক্ষের কয়েকজন বড় মাপের সদস্যের সহযোগিতায় উপরোল্লিখিত চারটি রুটে ভালোমানের বাস প্যাসেঞ্জারপ্রতি ১৫ থেকে এসি ২০ টাকা করে/নন-এসি বাস সার্ভিস শুরু করা হয় এবং দেখা যায় অনধিক দুই মাসের মধ্যে প্রিমিয়াম বাসে যাতায়াত করার জন্য লাইন দিয়ে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তের যাত্রীরা প্রিমিয়াম বাসের সুশৃঙ্খল যাত্রী হওয়ার জন্য উদ্গ্রীব। একেকটি রুটে দৈনিক ১২-১৩টি ট্রিপ প্রতিটি প্রিমিয়াম বাস দিয়ে দিতে পারত। কিন্তু পরে দেখা যায় প্রিমিয়াম বাসগুলো যানজটের কারণে প্রতিদিন সাত-আটটির বেশি ট্রিপ দিতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় দুই বা আড়াই বছর পর প্রিমিয়াম বাস সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। তবে কর্তৃপক্ষ বা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যদি বিষয়টি বাস্তবসম্মত দৃষ্টিতে বিবেচনা করে ভাড়া ও আনুষ্ঠানিক কিছু বিষয়ে কার্যকর মনোযোগ দিতে এগিয়ে আসতেন তবে হয়তো আরও কয়েক বছর প্রিমিয়াম বাস সার্ভিস চালু রাখা সম্ভব হতো। সে যা-ই হোক।

৯. ঢাকার বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় (২ ডিসেম্বর, ২০১৯) ‘ঢাকায় নতুন সড়ক আইনে মামলা শুরু’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটিতে বলা হয়, নতুন ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ অনুযায়ী আইন লঙ্ঘনকারীদের মামলা দেওয়া শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। ডিএমপি ট্রাফিকের চারটি বিভাগের মধ্যে তিনটি সীমিত পরিসরে এ কার্যক্রম শুরু করেছে। গত ১ নভেম্বর থেকে আইনটি কার্যকর হলেও পুলিশ এত দিন আইন লঙ্ঘনকারীদের মামলা দেওয়া থেকে বিরত ছিল। নতুন আইন সম্পর্কে সচেতন করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল তারা।

১০. নতুন সড়ক পরিবহন আইনের বেশির ভাগ ধারায় জরিমানা ১০ থেকে ২০ গুণ বাড়ানো হয়েছে। আগে যেসব ধারায় এক মাসের কারাদন্ডের বিধান ছিল এখন তা দুই বছর পর্যন্ত হয়েছে। আইনের বেশির ভাগ ধারাতেই সর্বোচ্চ শাস্তি কত হবে তা আছে, সর্বনিম্ন শাস্তির উল্লেখ নেই।

১১. নতুন আইনে পুলিশের (ঢাকায়) ২৩টি ট্রাফিক অঞ্চলের প্রতিটিতে একটি করে টিম গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ টিমগুলো মামলা দেওয়ার কাজ করছে। ধীরে ধীরে এ কার্যক্রম বাড়ানো হবে। মামলা দেওয়ার ইলেকট্রনিক মেশিনগুলো প্রস্তুত হয়ে গেলে পূর্ণাঙ্গভাবে মামলা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। তবে ৩০ নভেম্বর, ২০১৯ থেকে রাজধানীর বিজয় সরণি মোড়ে উল্টো পথে আসা কয়েকটি মোটরসাইকেলকে ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের সদস্যরা মামলা দেন। জরিমানা করা হয় ৫ হাজার টাকা করে। এ তথ্য জানা গেল প্রকাশিত খবরটিতে। তবে অন্য দুই বিভাগে এ কাজ শুরু হয়েছে আগের দিন। ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগ এলাকায় ৩০ নভেম্বর মামলা দেওয়া শুরু করলেও ২৮ নভেম্বর থেকেই এ কাজ চালু করা হয়েছে এবং ১ ডিসেম্বর, ২০১৯ পর্যন্ত ১০-১২টি মামলা রুজু করা হয়েছে। ক্রমে সহনীয় পদ্ধতিতে ঢাকার সব অঞ্চলে এ আইন বাস্তবায়ন কার্যক্রমে জোরদার করা হবে জনস্বার্থে।

১২. ট্রাফিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন আইনে মামলা ও জরিমানার বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে যাতে জনসাধারণের কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয় সেজন্য তারা বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছেন। কেউ যথন আইন লঙ্ঘন করছেন তখন প্রথমত তার ভিডিওচিত্র ধারণ করা হচ্ছে। এরপর তাকে থামিয়ে আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি জানানো হচ্ছে। তিনি কীভাবে আইন লঙ্ঘন করেছেন, তাও বুঝিয়ে বলা হচ্ছে। এরপর সংশ্লিষ্ট ধারায় তাকে মামলা দেওয়া হচ্ছে। মূলত ট্রাফিক পুলিশের প্রতি যে এক ধরনের অনাস্থা তৈরি হয়েছে তা নিরসনেই এ পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা বাস্তবায়ন বিষয়ে সার্বিক আলোচনা করার প্রক্রিয়ায় ওপরে বর্ণিত অতিপ্রয়োজনীয় কিছু বিষয় সংশ্লিষ্ট ক্ষমতাবান কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হলো যাতে চালকদের নিয়োগপত্র প্রদান বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বাস্তবায়নে ক্রমবর্ধিত গতিতে তৎপর থাকে দ্রুত ও কার্যকরভাবে।

লেখক : সাবেক সচিব।

Email : [email protected]

 

সর্বশেষ খবর