শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সগিরা মোরশেদ হত্যাকান্ড মানবিকতার চরম অবক্ষয়

এ কে এম শহীদুল হক

সগিরা মোরশেদ হত্যাকান্ড মানবিকতার চরম অবক্ষয়

সগিরা মোরশেদ নিহত হন ১৯৮৯ সালে। তিনি BIDS (Bangladesh Institute of Development Studies)-এর একজন Research Fellow ছিলেন। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকালে তিনি রিকশাযোগে রাজারবাগের বাসা থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে যাচ্ছিলেন তার মেয়েকে আনতে। পথিমধ্যে মোটরসাইকেল আরোহী দুই ব্যক্তি তার রিকশা থামিয়ে তাকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করে। ওইদিনই রমনা থানায় মামলা হয়। মামলা নম্বর ৪৫ ধারা ৩৯৪/৫১১/৩০২ দন্ডবিধি। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ইন্সপেক্টর এ বি এম সুলতান আহমেদ মামলার তদন্ত শেষে ৩ সেপ্টেম্বর, ’৯০ সালে মিন্টু নামে একজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন।

তখন গণমাধ্যমে এই চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনায় অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। অনেকেই এ ঘটনাটি ছিনতাই বলে মেনে নেয়নি। এটা হত্যাকান্ড বলে তাদের আশঙ্কা ছিল। ঘটনায় সন্দিগ্ধ ব্যক্তির নামও কোনো কোনো প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়। কিন্তু পুলিশ তদন্ত শেষে ছিনতাইয়ের প্রচেষ্টায় হত্যা হয়েছে মতামত দিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ইন্সপেক্টর এ বি এম সুলতান আহমেদ একজন দক্ষ তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। গোয়েন্দা বিভাগে থাকাকালে তিনি অনেক সূত্রহীন খুন ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছিলেন। তিনি ভদ্র ও অমায়িক ব্যক্তি ছিলেন। ঈ কারণে তিনি সগিরা মোরশেদ হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারলেন না সে প্রশ্ন অনেকেরই ছিল। প্রায় ৩০ বছর পর পিবিআই কর্তৃক মামলার রহস্য উদ্ঘাটনের পর আজ সে প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেছে।

জনৈক মারুফ রেজার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্রিমিনাল রিভিশন কেসে গত ২৭ আগস্ট, ১৯৯২ সালে হাই কোর্ট আদেশ দেয় ক্রিমিনাল রিভিশন কেস নি®পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সগিরা মোরশেদ হত্যা মামলার বিচারকার্য স্থগিত থাকবে। জানা যায়, কোনো কোনো মিডিয়া রিপোর্টে মারুফ রেজা এ ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন বলে সন্দেহ পোষণ করেছিল। ৩০ বছরের মধ্যে মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়নি। পিবিআই-সূত্রে জানা যায়, পুলিশ পাঁচবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য। কিন্তু সফল হয়নি। প্রায় ৩০ বছরেও হাই কোর্টে ক্রিমিনাল রিভিশন মামলা নি®পত্তি হয়নি। সর্বশেষ চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ে সাব ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজুকে মামলার ব্যাপারে ব্রিফ করেন। মোতাহার হোসেন সাহেব মামলার গুরুত্ব অনুধাবন করেন। এরপর ইত্তেফাকে এ মামলা-সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও চ্যানেল ২৪-এ টকশো প্রচারিত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্ট ২৬ জুন, ২০১৯ সালে পিবিআইকে পুনঃ তদন্তের নির্দেশ দেয়।

১৭ জুলাই, ২০১৯ সালে হাই কোর্টের আদেশ পেয়ে পিবিআই তদন্ত শুরু করে। তদন্তে পিবিআই মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়। হত্যা পরিকল্পনাকারীরা সগিরা মোরশেদের নিকটাত্মীয় ছিলেন। তাঁর (ভিকটিমের) স্বামী আবদুস সালাম চৌধুরীর আপন ভাই ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী সৈয়দাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন এ হত্যাকান্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী। অত্যন্ত মামুলি কারণে সগিরা মোরশেদকে হত্যা করা হয়। দুই আপন ভাই অর্থাৎ ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও আবদুস সালাম চৌধুরীর পরিবার একই বিল্ডিংয়ে বসবাস করতেন। সগিরা মোরশেদ ও তাঁর স্বামী আবদুস সালাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। জানা যায়, ডা. হাসানের স্ত্রী শাহীন এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। শাহীন সগিরা মোরশেদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঈর্ষা করতেন এবং তাঁর স্বামী ডা. হাসানের কাছে সগিরা মোরশেদ সম্পর্কে নানারকম নেতিবাচক তথ্য দিয়ে তাঁকে খেপিয়ে তুলতেন। তুচ্ছ ঘটনা ও রেষারেষির কারণেই হাসান-শাহীন দম্পতি সগিরা মোরশেদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

হত্যায় দুজন অংশগ্রহণ করেন। শাহীনের ভাই রেজোয়ান এবং ডা. হাসানের রোগী ও তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনকারী মারুফ রেজা। মারুফ রেজা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক ছিলেন। তিনি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদুল হাসানের আত্মীয়। রেজোয়ানের দায়িত্ব ছিল মারুফ রেজাকে সগিরা মোরশেদকে চিনিয়ে দেওয়া। ডা. হাসানের সঙ্গে মারুফ রেজার ২৫ হাজার টাকার চুক্তি হয়। ঘটনার পর ডা. হাসান মারুফ রেজাকে চুক্তি মোতাবেক কোনো টাকা দেননি বলে মারুফ রেজা গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশকে জানিয়েছেন।

পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তদন্তকালে দেখতে পায় গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত সঠিক ছিল না। ঘটনা ঘটিয়েছেন দুজন। অথচ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিল একজনের বিরুদ্ধে। তাহলে আর একজন অপরাধী কে? চার্জশিটভুক্ত আসামি মন্টু প্রকৃতপক্ষে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তো তিনি নিশ্চয়ই অন্য আসামির পরিচয় বলে দিতেন। এতেই প্রমাণিত হয় তদন্তে প্রকৃত আসামিকে শনাক্ত করা হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা এমন একটি ¯পর্শকাতর নির্মম হত্যাকান্ডের তদন্ত সঠিকভাবে করেননি। তদারকি কর্মকর্তাদের ভূমিকাও ইতিবাচক ছিল না। তাঁদেরও জবাবদিহির মধ্যে আনয়ন বাঞ্ছনীয়। তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর সুলতান কয়েক বছর আগে মৃত্যুবরণ করেছেন। এটা প্রতীয়মান হয় যে, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদুল হাসানের প্রভাবের কারণেই মামলার তদন্ত সঠিকভাবে করা সম্ভব হয়নি যেহেতু খুনি মারুফ রেজা মন্ত্রী মহোদয়ের আত্মীয় ছিলেন।

পিবিআইর সাফল্য অনেক। পুলিশের অন্য ইউনিট কর্তৃক তদন্ত শেষে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেছিল এমন কিছু কিছু মামলা পিবিআই পুনঃ তদন্ত করে মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মামলা তদন্ত তদারকির জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মনিটরিং টিমের সভায় সভাপতিত্ব করার সময় আমার মনে হলো সিআইডির পাশাপাশি পুলিশের আরও একটি তদন্ত ইউনিট গঠন করা দরকার। সে চিন্তার ফসলই আজকের পিবিআই। পিবিআই অনুমোদনের সরকারি আদেশ হয় ১৮ অক্টোবর, ২০১২। বিধি হয় ৫ জানুয়ারি, ২০১৬ সালে। কিন্তু কার্যক্রম ফেব্রুয়ারি, ২০১৫-তেই পুরোদমে শুরু হয়। উন্নত পাঠক্রম তৈরি করে পিবিআই অফিসারদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। পিবিআই-প্রধানের তদারকিতে এই ইউনিটের কর্মকর্তারা এখন তদন্তে বেশ দক্ষ, পেশাদার ও কর্তব্যনিষ্ঠ। পিবিআইর ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

আসামি ডা. হাসান, তাঁর স্ত্রী শাহীন, স্ত্রীর ভাই রেজোয়ান এবং ভাড়াটিয়া খুনি মারুফ রেজাকে পিবিআই গ্রেফতার করেছে। তাঁরা সবাই হত্যাকান্ডের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একজন ভাই অন্য ভাইয়ের স্ত্রীকে কীভাবে হত্যা করতে পারেন? শাহীন তিন সন্তানের মা ছিলেন। সগিরা মোরশেদেরও তিন কন্যাসন্তান ছিল। আট বছর, পাঁচ বছর ও দুই বছর। একজন মা কীভাবে অন্য একজন মাকে হত্যা করে তাঁর শিশু সন্তানদের মাতৃহীন করতে পারেন। মাতৃহীন শিশুর কান্নাও হত্যাকারী মা শাহীনের হৃদয়কে নাড়া দেয়নি। সগিরা মোরশেদের মৃত্যুর পরও ডা. হাসান ও তাঁর স্ত্রী শাহীন শিশু সন্তানদের দেখাশোনা তো করেনইনি বরং বৈরী সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন যাতে সালাম চৌধুরী মামলা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করেন।

অন্য এক মামলায় গাইবান্ধার সংসদ সদস্য লিটন হত্যায় আসামি লে. কর্নেল (অব.) আবদুল কাদেরসহ সাতজনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। লে. কর্নেল আবদুল কাদের দীর্ঘদিন সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছেন। চিকিৎসক ছিলেন। অবসরের পর বগুড়ায় ক্লিনিক দিয়ে চিকিৎসা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। তাঁর স্ত্রীও চিকিৎসক। সংসদ সদস্যও ছিলেন। তিনি কীভাবে একজন এমপিকে হত্যা করে নিজে পুনরায় এমপি হতে চাইলেন?

সগিরা মোরশেদ ও সাংসদ লিটনের হত্যাকান্ড মানবতার চরম অপমৃত্যুর নিদর্শন। তুচ্ছ ব্যক্তিস্বার্থে এ ধরনের নৃশংস ও মানবতাবিরোধী হত্যাকান্ড শুধু জঘন্য অপরাধই নয়, এটা মানবতার জন্য কলঙ্ক। সগিরা মোরশেদের স্বামী সালাম চৌধুরীরা তিন ভাই, দুই বোন। শিশু বয়স থেকেই মা-বাবার আদরে একই সঙ্গে তাঁরা বেড়ে ওঠেন। তাঁদের মধ্যে কত স্মৃতি, কত হৃদ্যতা, কত ¯েœহ ও কত ভালোবাসা ছিল। বিয়ের পরে পৃথকভাবে ঘরসংসার করে ভাই-বোনদের মধ্যকার ভালোবাসা, অনুভূতি, স্মৃতি, আবেগ সব কি হারিয়ে গেল? হৃদয় থেকে সব কিছু মুছে গিয়ে কি হৃদয় পাষাণ হয়ে গেল? কিন্তু কেন? এর জন্য দায়ী কে? ঘরে আসা অন্য পরিবারের মেয়েটি? আমাদের সমাজে এ ধরনের কথাই প্রচলিত আছে। কিন্তু এটাই কি ঠিক? একজন পুরুষ তাঁর স্ত্রীর কথায় তাঁর নিজের বিবেক-বিবেচনা, জ্ঞান-বুদ্ধি, শিক্ষা-দীক্ষা ও মনুষ্যত্ব-মানবিকতা, ভালোবাসা-অনুরাগ সবকিছু বিসর্জন দিয়ে নিজে একজন অমানুষ হয়ে যাবেন? মানবতার এ অবক্ষয়কে শুধু নারীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া যুক্তিসংগত নয়। এ ধরনের সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য নারী-পুরুষ উভয়েই দায়ী। ন্যায়-নীতি বিসর্জন দিয়ে আত্মকেন্দ্রিক প্রাপ্তি ও লাভবান হওয়ার অন্ধ মোহই একজন মানুষকে অমানুষ করে তোলে। সামাজিক সচেতনতা ও মানবিক মূল্যবোধের উন্নতি ছাড়া এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো উপায় দেখি না।

সগিরা মোরশেদ হত্যা মামলাটির বিচারকার্য প্রায় ৩০ বছর উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত ছিল। মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হলে হয়তো বাদীর আবেদন অথবা বিচারিক আদালতের পর্যবেক্ষণে মামলাটির পুনঃতদন্তের আদেশ আসত। তাহলে বাদীকে বিচারের জন্য দীর্ঘ ৩০ বছর মানবিক পীড়া নিয়ে অপেক্ষার দুর্বিষহ দিনগুলো কাটাতে হতো না। মামলার বিচারকার্য উচ্চ আদালত কর্তৃক স্থগিতাদেশ দেওয়া হলে নিম্ন আদালত, পুলিশ ও মামলার বাদী সবাই হতাশ হয়ে পড়েন। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা কঠিন হওয়ায় তাঁরা উদ্যোগ নিতেও আগ্রহী হন না। মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলা পুরোপুরি আদালতের এখতিয়ারে চলে যায়। বিশেষ প্রয়োজন কিংবা আদালতের নির্দেশ ছাড়া তদন্তকারী সংস্থা তখন আর বিশেষ কোনো দায় নিতে চায় না। কোর্ট পুলিশ আদালতকে সহায়তা করে। মামলার বিচারকার্য স্থগিতাদেশ ও হাই কোর্টে দীর্ঘদিন ডেথ রেফারেন্স মুলতবির বিষয়টি পুলিশের তরফ থেকে আমি তৎকালীন মাননীয় প্রধান বিচাপতি এস কে সিনহার জ্ঞাতসারে এনেছিলাম। তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে সব ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারের কথা শুনেছিলেন এবং তাঁদের উদ্দেশ্যে মূল্যবান বক্তব্য দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন বিষয়গুলো তিনি দেখবেন। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর প্রতি উচ্চ আদালতের বিশেষ নজরদারি আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। বিচারপ্রার্থীর ত্বরিত ও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার পবিত্র দায়িত্ব। সংশ্লিষ্ট সবাই সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করবেন- এটাই জনগণের প্রত্যাশা।

               লেখক : সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ।

সর্বশেষ খবর