সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মিত্র বাহিনীকে কতটুকু স্মরণে রেখেছি

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

মিত্র বাহিনীকে কতটুকু স্মরণে রেখেছি

বিজয়ের মাস প্রায় শেষের দিকে। বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। দীর্ঘ সংগ্রাম ও সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা অর্জন করি। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দেশব্যাপী পালিত হয়েছে। জাতীয় প্যারেড হয়েছে ঢাকায়। বিজয় দিবসের উৎসব এখন জেলা-উপজেলা ছাড়িয়ে গ্রাম পর্যায়ে চলে গেছে। ডিসেম্বর মাসজুড়ে লাল-সবুজের পতাকা আর পোশাকে অন্যরকম হয়ে ওঠে বাংলাদেশের চেহারা। অপূর্ব এক অনুভূতি এনে দেয় প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে। মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের একজন হিসেবে ভাবতেও ভালো লাগে। হৃদয়-প্রাণ যেন জুড়িয়ে যায়। আবার নিজের অজান্তেই দুই চোখ ভরে কেন জানি অশ্রুও নেমে আসে। শঙ্কাও যে মনে আসে না তা নয়। ৪৯ বছরে কত কিছুই তো দেখলাম। সব কিছু মিলিয়ে একাত্তরের ডিসেম্বর ছিল বাঙালি জাতির জন্য বেস্ট অব দ্য টাইম; ওয়ার্স্ট অব দ্য টাইম। এত বড় অর্জন সহজ কিছু ছিল না। যত বড় অর্জন তত বড় ত্যাগ ও বিসর্জন বাঙালি জাতিকে স্বীকার করতে হয়েছে, দিতে হয়েছে। এই অর্জনের সর্বশ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব বাংলাদেশের মানুষের, যার সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই অর্জনের পথে বঙ্গবন্ধু বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন এবং প্রতিবারই আপস নয় মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে সেটিকে জয় করেছেন বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।

বাহাত্তর সালে পাকিস্তানি কারাগার থেকে প্রত্যাবর্তনের পর তিনি একবার বলেছিলেন স্বাধীনতা অর্জন করা যত কঠিন ছিল তার চেয়ে বহুগুণ কঠিন হবে স্বাধীনতাকে রক্ষা করা। স্বাধীনতা রক্ষার সংকল্পে অটুট থাকার কারণেই ১৯৭৫ সালে নির্মমভাবে তিনি সপরিবারে নিহত হলেন। স্বাধীনতা রক্ষার সংকল্পে অটুট ছিলেন বলেই রাষ্ট্রের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা জেলের অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা হত্যা করে চার জাতীয় নেতাকে। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সেই খুনিদের সুবিধাভোগী ও পৃষ্ঠপোষকদের কবল থেকে বাংলাদেশ আবার বের হয়ে এসেছে। তবে ওই অপশক্তির কবল থেকে এত ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ পরিপূর্ণভাবে মুক্ত হয়েছে তা এখনো বলা যাবে না। পঁচাত্তরের পর ক্ষমতায় আসা দুই সামরিক শাসক এবং বিএনপি ও জামায়াত-বিএনপি সরকার সব চেষ্টা করেছে যাতে জাতির পিতার নাম-গন্ধ নিশানা বাংলাদেশের কোথাও না থাকে। এত বড় জিঘাংসা তো কেবল পাকিস্তানিদের থাকতে পারে। যে জাতি রাষ্ট্র নিজেদের ইতিহাসের নায়ক মহানায়ক এবং গৌরবোজ্জ্বল ঘটনাবলির স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ করে না, তাদের পথ চলাকে আলোহীন অন্ধকারের গলির মধ্য দিয়ে চলার সঙ্গে তুলনা করা হয়। মনীষীরাই বলেছেন, পথচলার সময় পিছন থেকে নিক্ষেপিত আলোর দ্বারা সামনের পথ আলোকিত হয়। দেরিতে হলেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আজ সারা বাংলায় স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। তার স্মারকচিহ্ন আজ গ্রাম বাংলা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। শেখ মুজিবের চিন্তা চেতনা, কর্ম ও প্রতিভা এবং সর্বোপরি তার ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল জীবনের রথ হতে পারে সারা বিশ্বের বঞ্চিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের জন্য মুক্তির প্রেরণা। এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা এবং সমগ্র জাতির গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতির স্মারক হিসেবে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সাভারে প্রতিষ্ঠা করেন জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এটিই আমাদের একমাত্র স্মৃতি স্মারক বা স্মৃতিসৌধ, যেখানে দেশের মানুষ এবং বিদেশি পর্যটকরা আগ্রহভরে আসেন, ঘোরেন এবং দেখেন। সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের দেশ, ৩০ লাখ শহীদ, ২৩ বছর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস, আর তার জন্য মাত্র একটাই স্মৃতিসৌধ। ভাবা যায় না, জাতি হিসেবে আমরা এত ক্ষুদ্র নই। জাতীয় স্মৃতিসৌধ একটাই থাকবে। তার মানে এই নয় যে, দেশব্যাপী আর কোনো বড় স্মৃতিসৌধ থাকতে পারবে না। এরকম যত বেশি হবে ততই সেটি আমাদের গৌরবকে মহিমান্বিত করবে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে যুদ্ধক্ষেত্র, শহীদ সমাধিস্থল ও গণকবর চিহ্নিত, সংরক্ষণ ও কিছু স্মারকচিহ্ন তৈরি হয়েছে। এগুলোর অনেক জায়গাই আমি গিয়েছি এবং সেগুলো বোঝার চেষ্টা করেছি। কী দেখেছি, তা এখানে না লেখাই ভালো। তবে কী কী লক্ষ্য অর্জন করার জন্য এগুলো করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে তার কয়টি লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে বলে মনে হয় এবং তা কীভাবে, সেটি কি কেউ বলতে পারবেন। কেউ কি তার কোনো মূল্যায়ন করেছেন। আমার মনে হয়েছে এই কাজগুলো যারা করেছেন তারা শুধুই দায়িত্ব পালনার্থে সরকারি হুকুম বাস্তবায়ন করেছেন। তাদের আন্তরিকতার কোনো ছাপ কোথাও পাওয়া যায় না।

জাতি হিসেবে নিশ্চয়ই আমরা এতটা মেধাহীন নই। অনেক মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধক্ষেত্রে শহীদ হয়েছেন, অনেকের লাশও পাওয়া যায়নি। যারা যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে ফিরে এলেন তাদের মধ্যেও আমার অনুমান অর্ধেকের বেশি ইতিমধ্যে মারা গেছেন। এই যুদ্ধফেরত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কি কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় এবং জেলা-উপজেলায় আলাদা সমাধিক্ষেত্র তৈরি করা যেত না, যেখানে প্রতিটি কবরে মুক্তিযোদ্ধার নাম-পরিচয় খোদাই করা থাকত। সেরকমভাবে করতে পারলে এবং তা সংরক্ষণ করা গেলে এই সমাধি ক্ষেত্রগুলোই এক সময়ে হতে পারত নতুন প্রজন্মের তীর্থস্থান, যেমনটি আমরা দেখতে পাই দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের জন্য ব্রিটিশ কমনওয়েলথ থেকে তৈরি কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের সমাধি ক্ষেত্র। এটি দেখার জন্য প্রতিনিয়ত সেখানে বাংলাদেশের মানুষ ভিড় করেন। নিজ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করা হলে নিশ্চয়ই সেটা আরও আকর্ষণীয় হবে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতীয় প্যারেডের প্রবর্তন করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর সরকার। পাকিস্তানিদের পরাজয় এবং আমাদের বিজয়ের স্মৃতিকে স্মরণ ও তুলে ধরার জন্য এই জাতীয় প্যারেডের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য অপরিসীম। কিন্তু পঁচাত্তরের পর জিয়াউর রহমান, এরশাদ এবং পরবর্তীতে বিএনপি সরকার বিজয় দিবসের জাতীয় প্যারেড বন্ধ করে দিলেন। তারা জাতীয় প্যারেডের আয়োজন করলেন ২৬ মার্চ। দুটি দিবসের মর্মার্থ ও মাহাত্ম্যের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। দুই দিনই দিবসের মর্মার্থ অনুযায়ী আলাদা আলাদা আঙ্গীকে জাতীয় প্যারেড হতে পারে। কিন্তু বিজয় দিবসের প্যারেড বন্ধ করে কেন। আসি অন্যান্য স্মৃতি সংরক্ষণের কথায়। ২০১০ সালে হাই কোর্ট থেকে একটি আদেশ জারি হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তি সংগ্রাম ও যুদ্ধের সব স্মারকচিহ্ন সংরক্ষণ এবং তা দেশের নতুন প্রজন্ম ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য তুলে ধরার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই আদেশের বাস্তবায়ন গত ৯ বছরে কতটুকু হয়েছে তা কেবল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গেলেই বোঝা যায়। শিখা চিরন্তন করা হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রথম সরকারের সময়, হাই কোর্টের আদেশের অনেক আগে। আন্ডারগ্রাউন্ডে একটি ছোট জাদুঘর এবং একটি গ্লাস টাওয়ার হয়েছে। পাকিস্তানিদের সারেন্ডারের জায়গা, একাত্তরের ৭ মার্চ ও বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্থান, ইন্দিরা গান্ধী মঞ্চে ইত্যাদি যেগুলো হাই কোর্টের আদেশের মধ্যে আছে তার কোনো কিছুই আজ পর্যন্ত হয়নি। বলা হয়েছিল এসব কিছু মিলে আমাদের সংগ্রাম ও যুদ্ধের এমন একটি সামগ্রিক স্মৃতি স্মারক হবে যা দেখে আমাদের নতুন প্রজন্মসহ বিদেশি পর্যটকরা আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা পেয়ে যাবেন। এত সময়ে আমাদের নিজেদের কথা বললাম। এখন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিকের কথা বলি এবং যার জন্যই মূলত আজকের লেখাটি।

একাত্তরে আমাদের একান্ত সক্রিয় ও সরাসরি বন্ধু রাষ্ট্রের ভূমিকায় ছিল একমাত্র ভারত। অনেক দেশ আমাদের কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে হয়তো সহযোগিতা করেছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে তার কোনো কিছুই তুলনা হয় না। রাষ্ট্র হিসেবে ভারত সরকার, সমগ্র জনগণ, বিশেষ করে বাঙালি জনগোষ্ঠী এবং সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগিতা ও অবদান অতুলনীয়, অবিস্মরণীয়। ভারতের কত সংখ্যক সৈন্য বাংলাদেশের জন্য জীবন দিয়েছে তার সঠিক হিসাব অফিশিয়ালি প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু যে কোনো বিশ্লেষণে তা কয়েক হাজার হবে। তারপর জনগণ ও সরকারের ত্যাগ ও ভূমিকা তো রয়েছেই। প্রায় এক কোটি শরণার্থীর আশ্রয়, খাদ্য, চিকিৎসা তারা প্রায় এক বছর চালিয়েছে। কলকাতায় বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের অবস্থান ও পরিচালনার দায় ও ভার দুটোই ভারত সরকারকে বহন করতে হয়েছে। বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সমর্থন আদায়ের জন্য ভারত সরকারের ভূমিকা, বিশেষ করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা অসামান্য। ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ ভারতের পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব গৃহীত হলো বাংলাদেশের মানুষের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের পাশে ভারত থাকবে। তারপর থেকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে ভারতের পক্ষ থেকে যা যা করা হয়েছে তার একটা খতিয়ান তৈরি করা হলে সেটা কয়েক হাজার পৃষ্ঠা হবে। আমরা বাঙালি, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা চেয়েছি, রক্ত দিয়েছি, সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করেছি বলেই আজ আমরা স্বাধীন। কিন্তু ভারতের যে অবদান সেটি সেদিন যদি ওইভাবে না পেতাম তাহলে মাত্র ৯ মাসে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতাম না। আরও অনেক বেশি ধ্বংসযজ্ঞ হতো। হয়তো কয়েক কোটি লোকের মৃত্যু হতো, নিহত হতো। তাই সঙ্গত কারণেই কথা আসে, প্রশ্ন ওঠে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর সমাগত। আমরা কি এতদিনে মিত্র বাহিনী এবং সামগ্রিকভাবে ভারতের অবদানকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য কোনো স্মৃতি স্মারক বা স্তম্ভ তৈরি করেছি। কিছুই করিনি। জাতি হিসেবে আমরা তো অকৃতজ্ঞ নই। এটা শুধু কৃতজ্ঞতা বা অকৃজ্ঞতার কথা নয়। কথা বন্ধুত্বের নিদর্শন রক্ষা করা। বন্ধুত্বের নিদর্শন রক্ষা করা না হলে বিপদের সময় বন্ধু পাওয়া যায় না। একই ধরনের ঘটনা না হলেও বিশ্বের সব দেশই এরকম যুদ্ধের সময়ের মিত্র বাহিনীর স্মৃতি সংরক্ষণ করে চলেছে। বিজয়ের মাস আমরা নিজেদের জন্য অনেক অনুষ্ঠান করছি। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে তো নয়ই সামাজিকভাবেও আমরা পৃথকভাবে ভারতের জনগণকে একবারেও স্মরণে আনছি না। বিজয়ের সারাটা মাসে তাদের প্রতি একটু কৃতজ্ঞতা ও সম্মান আমরা জানাচ্ছি না। মিত্র বাহিনীর কয়েক হাজার সেনাসদস্য নিহত হলো, তাদের জন্য একটা স্মৃতিস্তম্ভ এতদিনেও আমরা করতে পারিনি। করার কোনো উদ্যোগও নেই। তাদের স্মৃতির উদ্দেশে একবার প্রার্থনাও আমরা করি না। এমন একটি জায়গা আমরা তৈরি করিনি যেখানে বিজয়ের মাসে এই দুই দেশের সরকারের প্রতিনিধি, জনগণ, মুক্তিযোদ্ধা, ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য যারা একাত্তরে বাংলাদেশে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে এবং তারপর সর্বোপরি দুই দেশের সব শ্রেণি ও পেশার বর্তমান প্রজন্ম একসঙ্গে দাঁড়িয়ে একাত্তরের স্মৃতি স্মরণ করতে পারে।

এমন স্মৃতি স্মারক বহনকারী কোনো প্রতিষ্ঠানও আমরা তৈরি করিনি। মিত্র বাহিনীর সৈন্যরা বাংলাদেশের পথে-ঘাটে, প্রান্তরে, পাট ও ধানখেতে জীবন দিয়েছে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে। অথচ সেই বন্ধুত্বের কোনো চিহ্ন ও স্মারক নেই। বিজয়ের মাসের উৎসবে, আনন্দে, স্মরণে, বরণে সেদিনের পরম বন্ধু ভারত ও মিত্র বাহিনী কোথাও নেই।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

সর্বশেষ খবর