শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভুঁইফোড় সংগঠন

দুর্বিনীতদের সামাল দিন

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নামে গড়ে উঠেছে একের পর এক ভুঁইফোড় সংগঠন। গড়ে উঠেছে লীগ নামধারী অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করেও সংগঠন গড়ে তোলা হচ্ছে যথেচ্ছভাবে। সন্ত্রাস ও সংঘাতের বরপুত্ররা মুক্তিযুদ্ধের নাম ব্যবহার করে এর পবিত্রতা ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নামে ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে ওঠাকে নিছক ক্ষমতাসীন দলের বিষয় বলে ভাবার অবকাশ নেই। কারণ ভুঁইফোড় এসব সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তুলছে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, গুন্ডামি ও প্রতারণার উদ্দেশ্যে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ, স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাবমূর্তির জন্য তা বিড়ম্বনা সৃষ্টি করলেও দুর্বৃত্তদের কিছু আসে যায় না। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধান্ধাবাজি আর চাঁদাবাজির মতলবেই সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে এরা গজিয়ে উঠছে। দল যখন ক্ষমতায় থাকে না তখন এদের দেখা মেলে না। ক্ষমতায় এলেই ওরা গড়ে তোলে নিত্যনতুন লীগ। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে একের পর এক সংগঠন আচমকা যেন মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে। নামসর্বস্ব এসব সংগঠনের পেছনে ‘লীগ’ শব্দ জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, শেখ রাসেল ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যের নামও ব্যবহৃত হচ্ছে যথেচ্ছভাবে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের নাম ব্যবহার করেও নিজেদের জানান দিচ্ছে অনেক সংগঠন। কয়েক মাস ধরে নানা অপকর্মের কারণে বারবার আলোচনায় আসছে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠনের নাম। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ সংগঠনের ব্যানারে কর্মসূচি, সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলার মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ডাকসু সহসভাপতি নুরুল হক নূর ও তাঁর সঙ্গে থাকা কর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ আবার আলোচনায় এসেছে। ভুঁইফোড় এ সংগঠনগুলোকে সামাল দেওয়া সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের কর্তব্য বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত। কারণ এসব দুর্বিনীত সরকার ও সরকারি দলের নাম ব্যবহার করে তাদের সব অর্জনকেই কলঙ্কিত করছে। জনমনে সৃষ্টি করছে বিভ্রান্তির পাশাপাশি বিতৃষ্ণা; যা কাম্য হওয়া উচিত নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর