শিরোনাম
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিমানে রাহুমুক্তি

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততাও কাম্য

ট্রাভেল এজেন্সির বুকিং ফাঁদ থেকে বেরিয়ে এসে ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস অ্যাপস’-এর মাধ্যমে বিমানের টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক ঘটনা। অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিট কিনলে যাত্রীরা ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন। বিমানের টিকিট কিনতে গেলে ট্রাভেল এজেন্সির পক্ষ থেকে প্রায়ই বলা হতো টিকিট নেই, বিদেশি বিমানের টিকিট কিনতে উৎসাহিত করা হতো। এখন যাত্রীরা সে ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবেন। ১০ শতাংশ ছাড় থাকায় ভ্রমণে তাদের বিপুল অর্থ সাশ্রয় হবে। অন্যদিকে বিমানেরও এতে লাভই হবে। কারণ এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট বিক্রিতে প্রায় সমপরিমাণ কমিশনের পাশাপাশি অন্য খরচও হতো। এজেন্সিগুলোর কারসাজিতে টিকিট বিক্রি হতো সীমিত পর্যায়ে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সূত্রে বলা হয়েছে, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস অ্যাপস’ ব্যবহার করে যাত্রী নিজের মোবাইল থেকেই কিনতে পারবেন বিমানের সব গন্তব্যের টিকিট। মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন বিকাশ, রকেট কিংবা যে কোনো কার্ডের মাধ্যমে। গুগল প্লে স্টোর কিংবা অ্যাপল অ্যাপস স্টোর থেকে যে কোনো স্মার্টফোনে অ্যাপসটি ডাউনলোড করলে বিমানের ফ্লাইট-সংক্রান্ত সব তথ্য পাওয়া যাবে। যাত্রীদের অ্যাপসটি ডাউনলোড করে নিজস্ব প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এরপর সরাসরি ওয়ানওয়ে, রাউন্ডট্রিপ টিকিট, বুকিংয়ের পর টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা, রিজারভেশন স্ট্যাটাস চেকিংয়ের সুবিধা রয়েছে। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইনস বাংলাদেশ বিমানে টিকিট কিনতে গিয়ে প্রায়ই শোনা যায় টিকিট শেষ, অথচ খালি আসন নিয়ে ছেড়ে যায় বিমান! ট্রাভেল এজেন্টদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। বিক্রি না হলেও শুধু এই বুকিংয়ের জন্য জিডিএস কোম্পানিগুলোকে কমিশন দিতে হয় বিমানকে। এতে আর্থিক ক্ষতি হতো প্রতিষ্ঠানটির। ট্রাভেল এজেন্সির বুকিং ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হলেও অ্যাপসের মাধ্যমে বুকিং পদ্ধতিতে খোদ বিমানের ‘রূপকথার বাগদাদের চোরেরা’ যাতে হাত বসাতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ট্রাভেল এজেন্সিগুলো সারসাজি করার সুযোগ পেয়েছে দুর্নীতির এসব অবতারের যোগসাজশে। তারা যাতে এ ভালো উদ্যোগটি ব্যর্থ না করার সুযোগ পায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর