বুধবার, ১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

নৌপথে মাদক পাচার

আইন প্রয়োগকারীদের সক্ষমতা বাড়ান

মাদকবিরোধী লড়াই ছিল বিদায়ী ২০১৯ সালে দেশবাসী ও সরকারের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। এ লড়াইয়ে সরকারের দৃঢ় মনোভাব ছিল লক্ষণীয়। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সারা বছরই ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সক্রিয়। তাদের সঙ্গে গুলিবিনিময়ে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসার দায়ে আটক করা হয়েছে বিপুলসংখ্যককে। তার পরও এ ক্ষেত্রে কতটা অগ্রগতি ঘটেছে তা প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। মাদক ব্যবসায়ীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়াতে সাগরপথেই তৈরি করছেন নিত্যনতুন ‘মাদক পাচারের রুট’। শুধু তাই নয়, গভীর সমুদ্রে তাঁরা যাতে পথভ্রষ্ট না হন সেজন্য ব্যবহার করছেন গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম। পাচারকারীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করছেন স্যাটেলাইট ফোন! মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবার চালান নৌপথেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় সাজসরঞ্জাম না থাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সাগরে অভিযান পরিচালনা করতে পারছে না। তার পরও তারা অপ্রতুল সাপোর্ট নিয়ে একের পর এক অভিযান চালাচ্ছে। বেশ কিছু অভিযান সফলও হয়েছে। মাদক পাচারকারীরা মাদক পরিবহনের জন্য ব্যবহার করছেন হাইস্পিড বোট। মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান সেন্ট মার্টিন এলাকায় প্রবেশের পর হাইস্পিড বোটে তুলে দেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কিংবা সোর্সদের বিভ্রান্ত করতে নির্দিষ্ট রুটের মধ্যে এক বা একাধিকবার বোট পরিবর্তন করা হয়। এ বোট নিয়ে যাওয়া হয় নির্ধারিত গন্তব্যে। এরই মধ্যে ইয়াবা পাচারের কয়েকটি নৌরুটের সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মাদক বিশেষত ইয়াবা পাচারে পাচারকারী দলের সদস্যরা সর্বাধুনিক নৌযান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করায় তাদের সামাল দেওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ অবস্থার মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও আধুনিক সাজসরঞ্জাম ও যানবাহনে সজ্জিত করার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর