বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ছোটদের পাবলিক পরীক্ষা

উত্তীর্ণদের অভিনন্দন

প্রাথমিক সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট এবং সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে বিদায়ী বছরের শেষ দিন মঙ্গলবার। এ বছর সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষায় প্রাথমিক সমাপনীতে ৯৫.৫০ শতাংশ ও ইবতেদায়িতে ৯৫.৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রাথমিকে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৮ ও ইবতেদায়িতে ১১ হাজার ৮৭৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় যথাক্রমে ৮৭.৫৮ ও ৮৯.৭৭ শতাংশ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে জেএসসিতে ৭৬ হাজার ৭৪৭ ও জেডিসিতে ১ হাজার ৬৮২ জন। জুনিয়র স্কুল ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় চলতি বছর শতভাগ উত্তীর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫ হাজার ২৪৩। ৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি। সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ আদৌ ছিল কিনা তা সংশয়ের বিষয়। এ বছর জেএসসি-জেডিসিতে ছাত্রের তুলনায় ২ লাখ ১০ হাজার ৪৫৩ জন বেশি ছাত্রী অংশ নিয়েছে। ফলাফলে ছাত্রের তুলনায় ২ লাখ ৫ হাজার ৮৮৭ জন বেশি ছাত্রী পাস করেছে। পাসের হারেও এগিয়ে আছে মেয়েরা। ছেলেদের পাসের হার ৮৭ দশমিক শূন্য ৩, অন্যদিকে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জিপিএ-৫-প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও অনেক এগিয়ে মেয়েরা। ছাত্রদের তুলনায় ১৩ হাজার ৩৩৭ জন ছাত্রী বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে। বোর্ডভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড এবং সর্বনিম্ন পাসের হার ঢাকা বোর্ডের। বরিশাল বোর্ডে ৯৭ দশমিক শূন্য ৫ ও ঢাকা বোর্ডে ৮২ দশমিক ৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৯৩, যশোরে ৯১ দশমিক শূন্য ৮, রাজশাহীতে ৯৪ দশমিক ১০, কুমিল্লায় ৮৮ দশমিক ৮০, দিনাজপুরে ৮৩ দশমিক ৯২, সিলেটে ৯২ দশমিক ৭৯ এবং প্রথমবারের মতো পরীক্ষা দেওয়া ময়মনসিংহ বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ২১ শতাংশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সরকার শিক্ষার্থীদের বছরের প্রথম দিনেই বিনামূল্যে বই সরবরাহ করছে, শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হচ্ছে বিপুল অর্থ। কিন্তু এ অর্থের একটা অংশ যে অপচয় হচ্ছে ৩৩টি স্কুলে কারও উত্তীর্ণ না হওয়া তারই প্রমাণ।

এ ব্যাপারে কড়া দৃষ্টি দিতে হবে। ছোটদের দুই পাবলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর