শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

যানবাহনে এলপি গ্যাস

পরিবেশের জন্য স্বস্তিদায়ক

সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি এলপি গ্যাসের যুগে এখন বাংলাদেশ। যানবাহনের ক্ষেত্রে এই জ্বালানির ব্যবহার ইতিমধ্যে নীরবে শুরু হয়েছে। দেশের যান্ত্রিক যানবাহনগুলো একসময় শতভাগ নির্ভরশীল ছিল ডিজেল-পেট্রলের ওপর। তারপর আসে সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস বা সিএনজির যুগ। বলা যায়, কান্ডজ্ঞানহীনভাবে যানবাহনে সিএনজি গ্যাস ব্যবহারের পরিকল্পনা আঁটা হয়। দেশে মজুদ গ্যাসের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও স্টান্ডবাজি ও পকেট ভর্তির লক্ষ্যে নেওয়া হয় সিএনজি গ্যাস গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা। বর্তমানে ভয়াবহ গ্যাস সংকটের মুখে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ সিএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। জ্বালানি সংকটে সিএনজির বিকল্প হিসেবে এলপি গ্যাস আশার আলো হয়ে দেখা দিয়েছে। রাজধানীতেই বর্তমানে অর্ধশতাধিক এলপিজি স্টেশন চালু রয়েছে। দেশের নেতৃস্থানীয় এলপিজি কোম্পানিগুলো এ খাতে বিনিয়োগ শুরু করেছে। রাজধানীসহ সারা দেশের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো এলপি গ্যাস প্লান্টে রূপান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। যানবাহনের জ্বালানিতে সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস সিএনজির ব্যবহারে উৎসাহ দিতে সরকার রেলওয়ে ও সড়ক বিভাগের জমি এ খাতের বিনিয়োগকারীদের সহজ শর্তে লিজ দেয়। অথচ গত কয়েক বছর ধরে সিএনজির ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সিএনজির দাম বারবার বাড়িয়ে পেট্রল কিংবা অকটেনের সঙ্গে মূল্য পার্থক্য কমানো হয়েছে। ২০০০ সালে সিএনজির ব্যবহার শুরুর সময় প্রতি ঘনমিটার সিএনজি সাড়ে ৭ টাকা করে বিক্রি হতো, এখন দর ৪০ টাকা। সম্প্রতি দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে ২৫ ভাগ বৃদ্ধির আবেদন করেছে জ্বালানি কোম্পানিগুলো। সে হিসেবে সিএনজির দাম দাঁড়াবে ঘনমিটার ৪৮ টাকায়। এ প্রেক্ষাপটে সিএনজির বদলে অটোগ্যাস বা তরলীকৃত পেট্রলিয়াম গ্যাস এলপিজির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। ডিজেল-পেট্রল এমনকি সিএনজির তুলনায় সাশ্রয়ী হওয়ায় যান্ত্রিক যানবাহনে এ গ্যাসের ব্যবহারে ভোক্তারা লাভবান হবেন। জ্বালানি আমদানি খাতে ব্যয় কিছুটা হলেও কমবে। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হওয়ায় এলপি গ্যাসের প্রতি ভোক্তাদের পক্ষপাতিত্ব গড়ে উঠবে- এমনটিই স্বাভাবিক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর