শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি

এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে

বিদায়ী বছরে রাজধানীতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে আগের বছরের মতোই ৬ শতাংশ। তবে ন্যায্যমূল্য ও সেবার দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, যা আগের বছর বৃদ্ধি পেয়েছিল ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জীবনযাত্রার ব্যয় ও ভোক্তাস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রাসঙ্গিক বিষয়ের ওপর প্রতিবেদন ২০১৯-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে চালের মূল্য ছিল সহনীয় ও নিম্নমুখী। তবে বছর শেষে চাল, আটা, ডিম, শাক-সবজিসহ কিছু পণ্যের মূল্য ছিল ঊর্ধ্বমুখী। পিয়াজ, এলাচ, রসুন ও আদা ছাড়া অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বহুলাংশে স্থিতিশীল ছিল। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রতিবেদন প্রকাশকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, কারা কারণে-অকারণে মূল্যবৃদ্ধি করছে তাদের খুঁজে দৃশ্যমান শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দেশে চালের দাম বাড়ছে আর কৃষক ধানের দাম পায় নাÑ এমন অবস্থা অপ্রত্যাশিত। সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ভোক্তাদের স্বার্থের দিক তুলে ধরতে ভোক্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানায় ক্যাব। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে পিয়াজ ছিল সর্বাধিক আলোচিত পণ্য। বছরের শুরুতে এর দাম ছিল প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা। নভেম্বরে তা বেড়ে খুচরা বাজারে ২৫০ টাকা বা তারও বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। উৎপাদন মৌসুম শুরুর পরও ডিসেম্বরের শেষে পিয়াজের দাম ছিল ১০০ টাকার কাছাকাছি। ক্যাবের প্রতিবেদনে বিদায়ী বছরে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, ছোটখাটো ত্রুটি বাদে তা বাস্তবের কাছাকাছি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সবচেয়ে প্রতিকূল অবস্থায় পড়েছে নিম্নবিত্তের জনগোষ্ঠী। নিম্নমধ্যবিত্তদের জন্যও টিকে থাকা চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বিশেষত রাজধানী ঢাকা দুনিয়ার অন্যতম বসবাসের অযোগ্য নগরী শুধু নয়, ব্যয়বহুল নগরীতেও পরিণত হচ্ছে। ঢাকায় ঘর ভাড়া, চিকিৎসা, শিক্ষা, যাতায়াত ব্যয় সমমানের দেশগুলোর চেয়ে বেশি। চাল-সবজিসহ সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও কৃষক তার সুফল পাচ্ছেন না বললেই চলে। বিশেষত ধান-চালের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষক চাষাবাদে উৎসাহ হারাচ্ছেন। কৃষক ও ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দামে বিরাট ফারাক রয়েছে এবং তা ভোগ করছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থেই এই অন্যায্য অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।

সর্বশেষ খবর