রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
চিঠিপত্র

একজন মুক্তিযোদ্ধার খোলা চিঠি

আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের জন্য অস্ত্র ধরেছিলাম। ট্রেনিং নিতে পাড়ি দিয়েছিলাম ভারতের আগরতলার ছড়িলাম ট্রেনিং ক্যাম্পে। সেখান থেকে দেশে ফিরে এসে যুদ্ধকালীন মুজিববাহিনীর ডিপুটি কমান্ডার জয়নাল আবেদিনের সঙ্গে যোগ দিয়ে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ, হাজীরপাড়া, মান্দারী ও নোয়াখালীর ওদারহাট এলাকায় যুদ্ধ করেছি। রণাঙ্গনের সঙ্গী ছিলেন উপজেলা কমান্ডার মাহবুবুল আলম, সাংগঠনিক কমান্ডার সিরাজ উল্লাহসহ আরও অনেক বন্ধু। বর্তমানে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণ করার জন্য ‘জামুকা’সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে চক্কর কেটে জীবন ক্ষয় করছি। আমি একা নই। আমার মতো হাজার হাজার (সঠিক) মুক্তিযোদ্ধা নিজেদের নাম গ্যাজেটভুক্ত করানোর জন্য এভাবেই দিনের পর দিন জামুকার দুয়ারে ঘুরছেন। এ মিছিলে যুক্ত হচ্ছেন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজনরাও। সেই ২০১৪ সালে নাম গ্যাজেটে অন্তর্ভুক্ত করানোর আবেদন করেছি। কিন্তু তা ২০২০ সালে এসেও অন্তর্ভুক্ত হয়নি। আদৌ আমার জীবদ্দশায় তা হবে কিনা, জানি না। সরকারের কাছে আমি ও আমার মতো মুক্তিযোদ্ধার নিবেদন- উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করা হোক। আশা করছি, মহান ‘মুজিববর্ষে’ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের এ দাবি পূরণ হবে। রক্ত দিয়ে স্বাধীন করা বাংলার কাছে আমরা ভিক্ষা চাইছি না, আমাদের ন্যায্য অধিকার চাইছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

মো. আবুল হাশেম (মুক্তিযোদ্ধা) তিতারকান্দি, সদর, লক্ষ্মীপুর।

সর্বশেষ খবর