সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু : স্বাধিকার সংগ্রামের একটি অধ্যায়

হোসেন আবদুল মান্নান

ভারতবর্ষ ভেঙে পৃথক একটি স্বাধীন দেশ্ব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হলে এর রাষ্ট্রভাষা কী হবে সে বিষয়ে জল্পনা-কল্পনা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় মূলত ১৯৪৭ সালের গোড়া থেকেই। মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাসভূমি বা স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের যে স্বপ্ন ও জেদ নিয়ে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ কৌশ্বলী ভূমিকা পালন করে আসছিলেন তাতে ক্রমাগত স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল যে ভারত স্বাধীন হবে তবে একক রাষ্ট্র হিসেবে বা অখ-তা নিয়ে তা টিকে থাকবে না। কংগ্রেস ছাড়াও জাতীয় ও আঞ্চলিক হিন্দু বা মুসলিম নেতাদের মধ্যেও এ বিতর্ক লেগেই ছিল স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের আত্মপ্রকাশ্ব ঘটলে এর দাফতরিক ভাষা কী হবে? কেউ কেউ উর্দু ভাষার পক্ষে আবার কেউ বাংলার পক্ষে নানাভাবে সমর্থন দিতে থাকে। কলকাতার বনেদি মুসলিম নেতৃবৃন্দ অবশ্য উর্দুকেই সমর্থন জোগায়। এ কথা সত্য যে, পূর্ব বঙ্গেই মূলত বাংলাভাষী মানুষের মধ্যে জোর দাবি উঠে রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে। শুরুতে পূর্ববঙ্গ থেকেই সভা সেমিনার ও লেখালেখির মাধ্যমে বাংলা ভাষার পক্ষে যৌক্তিক মতামত আসতে থাকে। এখানে উল্লেখ্য, নবগঠিত পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যা ছিল তখন ৬ কোটি ৯০ লাখ। পূর্ব বাংলার জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৪০ লাখ। জনসংখ্যার অনুপাতেও রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়ার দাবিদার। ভাষার প্রশ্নে সে সময় সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শ্বহীদুল্লাহ। তিনি একাধিক প্রবন্ধ ও কলামে তা যৌক্তিকতার সঙ্গে তুলে ধরেন। বাংলা ভাষার পক্ষে তিনি বিভিন্ন স্থানে জোরালো বক্তব্যও দেন। তাঁর বিখ্যাত উক্তি ‘আমরা হিন্দু বা মুসলমান কথাটি যত সত্য এর চেয়ে অধিক সত্য আমরা বাঙালি।’ এখানে কোনো ধর্ম, শ্রেণি, বর্ণকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে গণমানুষের মুখের ভাষাকে। পূর্ব বাংলার হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলে, কাজেই রাষ্ট্রভাষা অন্য কিছু হতে পারে না। সে সময় বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বাঙালি লেখক, কবি, সাহিত্যিকও বাংলা ভাষার অনুকূলে কলম ধরেছিলেন। যা ক্রমেই তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবকে প্রবলভাবে উদ্বুদ্ধ করতে থাকে।

১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসের পর পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাত্র ১৮০ দিন অতিবাহিত হয়। কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং সরাসরি ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন শেখ মুজিব। তিনি লক্ষ্য করলেন, কলকাতার অসংখ্য অগ্রজ ছাত্র নেতৃবৃন্দের অনেকেই রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে দৃঢ়তার সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারছেন না। কারণ বড় বড় মুসলিম নেতাও সে সময় জিন্নাহর সঙ্গে সুর মিলিয়ে পদ-পদবি বাগিয়ে নিচ্ছেন। তারা নিজের মায়ের ভাষা বিসর্জন দিয়ে উর্দুর পক্ষে সাফাই গাইছেন। তখন বঙ্গবন্ধুকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছিল তৎকালীন পাকিস্তান Constituent Assembly-তে কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস দলীয় সদস্য বাবু ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের অসাধারণ এক বক্তব্য। দৃঢ় প্রত্যয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রভাষা সেই ভাষাই হওয়া উচিত, যে ভাষায় রাষ্ট্রের বেশির ভাগ মানুষ কথা বলে। সেদিক থেকে বাংলাই আমাদের রাষ্ট্রের লিংগুয়া ফ্রাঙ্কা।’ বঙ্গবন্ধুর ভাষায়, ‘৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সাল। করাচিতে পাকিস্তান সংবিধান সভার (কন্সটিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি) বৈঠক হচ্ছিল। সেখানে রাষ্ট্রভাষা কী হবে সেই বিষয়ও আলোচনা চলছিল। মুসলিম লীগ নেতারা উর্দুকেই রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষপাতী। পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ্ব লীগ সদস্যেরও সেই মত। কুমিল্লার কংগ্রেস সদস্য বাবু ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত দাবি করলেন বাংলা ভাষাকেও রাষ্ট্রভাষা করা হোক। কারণ, সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা হলো বাংলা। মুসলিম লীগ সদস্যরা কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না। আমরা দেখলাম, বিরাট ষড়যন্ত্র চলছে বাংলাকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার।’ একই সময়ে অধ্যক্ষ আবুল কাশেমের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘তমদ্দুন মজলিস’ অনেকগুলো গ্রুপ বা দলকে একত্রিত করে ‘রাষ্টভাষা বাংলা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করেছিল। এতে অনেকেই সমর্থন দিয়েছিল। তবে ঢাকা থেকে জেলায় জেলায়, থানায় থানায়, গ্রামেগঞ্জে মাতৃভাষার দাবি ছড়িয়ে দেওয়ার কঠিন দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মাঝেও এ আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন। সে সময় তিনি সঙ্গে পেয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ কজন ছাত্র নেতাকে যেমন : মুহাম্মদ শামসুল হক, মহিউদ্দিন আহম্মদ, কামরুদ্দিন, অলি আহাদ, কাজী বাহাউদ্দিন আহমেদ, তাজউদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ তোয়াহা প্রমুখ। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু বলেন, “সভায় ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চকে ‘বাংলা ভাষা দাবি দিবস’ ঘোষণা করা হলো। জেলায় জেলায় আমরা বের হয়ে পড়লাম। আমি ফরিদপুর, যশোর হয়ে দৌলতপুর, খুলনা ও বরিশালে ছাত্রসভা করে ওই তারিখের তিন দিন আগে ঢাকায় ফিরে এলাম। দৌলতপুরে মুসলিম লীগ সমর্থক ছাত্ররা আমার সভায় গোলমাল করার চেষ্টা করলে খুব মারধর হয়, কয়েকজন জখমও হয়। এরা সভা ভাঙতে পারেনি, আমি শেষ পর্যন্ত বক্তৃতা করলাম।”

‘১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বাংলা ভাষার দাবিতে ধর্মঘট পালনকালে শেখ মুজিব ৬৯ জন সহকর্মীর সঙ্গে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভরত অবস্থায় গ্রেফতার হন। শেখ মুজিবসহ ছাত্রনেতাদের গ্রেফতারে সারা দেশের ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। সদ্য স্বাধীন পাকিস্তানে শুরু হয় শেখ মুজিবের গ্রেফতার হওয়া ও কারাভোগের জীবন। মুসলিম লীগ সরকার ছাত্রদের আন্দোলনের চাপে শেখ মুজিবসহ গ্রেফতার ছাত্র-নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তিনি ১৫ মার্চ মুক্তি লাভ করেন। মুক্তিলাভের পর ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ছাত্র-জনতার এক সভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় শেখ মুজিব সভাপতিত্ব করেন। সভাশেষে ছাত্রদের শোভাযাত্রা প্রাদেশিক পরিষদ অভিমুখে অগ্রসর হয়। মুখ্যমন্ত্রী তখন পেছনের দরজা দিয়ে পরিষদ কক্ষ ত্যাগ করেন।’

একটি ঘটনা-১৯৪৯ সালের প্রথম দিকে বঙ্গবন্ধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগরে তাঁর কলকাতার বন্ধু রফিকুল হোসেনের আমন্ত্রণে একটি হাইস্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানি নাগরিক আইসিএস অফিসার এন এম খান (নিয়াজ মোহাম্মদ খান) ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন। এন এম খান তখন খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক ছিলেন। তবে এক সময়ে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসডিও ছিলেন। অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে বিখ্যাত গায়ক আব্বাস উদ্দিন, সোহরাব হোসেন ও বেদার উদ্দিন আহমদ তাঁর সহযাত্রী ছিলেন। তাঁরা নৌকায় বঙ্গবন্ধুকে লোকগান শুনিয়েছিলেন। সে সময় প্রসঙ্গক্রমে শিল্পী আব্বাস উদ্দিন বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন, ‘মুজিব বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে বিরাট ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলা রাষ্ট্রভাষা না হলে বাংলার কৃষ্টি, সভ্যতা সব শেষ হয়ে যাবে। আজ যে গানকে তুমি ভালোবাস, এর মাধুর্য ও মর্যাদা নষ্ট হয়ে যাবে। যা কিছু হোক, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতেই হবে।’ বঙ্গবন্ধু কথা দিয়েছিলেন এবং কথা রাখতে আমৃত্যু চেষ্টা করেছেন। ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি খাজা নাজিম উদ্দিন ঘোষণা করেন, ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু।’ শেখ মুজিব তখন ঢাকা জেলে বন্দী। ফেব্রুয়ারিতে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছিলেন। সেখানে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের সুযোগ হয় এবং তিনি এই ঘোষণার বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করতে উৎসাহ দেন। ছাত্রদের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত বিক্ষোভের সমর্থনে এবং সরকারের নানাবিধ অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি অনশ্বন ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। এই উদ্যোগে তাঁর সহযোগী হন আর এক রাজবন্দী পিরোজপুরের মহিউদ্দিন আহমদ। ১৬ তারিখ এই দুই রাজবন্দীকে ঢাকা থেকে ফরিদপুর জেলে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁরা অনশ্বন ধর্মঘট শুরু করেন। ইতিমধ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি বর্বর হত্যাকান্ড ঘটে যাওয়ায় জনমনে সরকারের প্রতি ক্ষোভ বেড়ে যায়। ফলে সরকার ২৪ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিব ও মহিউদ্দিন আহমদকে মুক্তির ঘোষণা দেয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে শেখ মুজিব ফরিদপুর জেল থেকে ছাড়া পান। ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি ‘বাংলাদেশ্ব আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশ্বনে’ প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, “অনেকেই ইতিহাস ভুল করে থাকেন। ১৯৫২ সালের আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস আপনাদের জানা দরকার। আমি তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বন্দী অবস্থায় চিকিৎসাধীন। সেখানেই আমরা স্থির করি যে, রাষ্ট্রভাষা ও আমার দেশের ওপর যে আঘাত হয়েছে, ২১ ফেব্রুয়ারি তার মোকাবিলা করতে হবে। সেখানেই গোপন বৈঠকে সব স্থির হয়। এ কথা আজ বলতে পারি, কারণ আজ পুলিশ্ব কর্মচারীর চাকরি যাবে না। সরকারি কর্মচারীর চাকরি যাবে না। বলা হয়, ১৬ ফেব্রুয়ারি আমি জেলের মধ্যে অনশ্বন ধর্মঘট করব আর ২১ তারিখ আন্দোলন শুরু হবে। জেলে দেখা হয় বরিশালের মহিউদ্দিন সাহেবের সঙ্গে। তাকে বললাম আমরা এই প্রোগ্রাম নিয়েছি। তিনি বললেন, আমিও অনশ্বন ধর্মঘট করব। ১৬ ফেব্রুয়ারি আমরা অনশ্বন ধর্মঘট করলাম। এর দরুন আমাদের ট্রান্সফার করা হলো ফরিদপুর জেলে। সূচনা হয় ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের।’

উল্লেখ করা যায়, মূলত ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৪ সাল অবধি ধারাবাহিক ছাত্র-গণআন্দোলন ও সংগ্রামের ফলেই অবশেষে ১৯৫৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। পাকিস্তানের সংবিধানের ২১৪(১৪) অনুচ্ছেদ বলা হয়, পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হবে উর্দু ও বাংলা। বাংলা ভাষার প্রতি বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ আবেগ, অনুভূতি আর হৃদয়ের গভীরে অকৃত্রিম ভালোবাসা থাকার কারণেই ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫২ অবধি যে সব সহযোদ্ধা, রাজনৈতিক কর্মী ও বন্ধু ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন এবং প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের প্রতি তিনি আজীবন শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। যদিও তাদের অনেকেই পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে পাকিস্তানিদের পক্ষাবলম্বন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর কট্টর সমালোচক হিসেবে চিহ্নিত হন। কিন্তু স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে তিনি এদের কারও ন্যূনতম ক্ষতি করেননি। মাতৃভাষার প্রতি প্রগাঢ় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থেকেই জাতির পিতা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশ্বনে বাংলা ভাষায় প্রথম বক্তৃতা প্রদান করার গৌরব অর্জন করেন। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ নবীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ্বকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অন্যতম সদস্য দেশ্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।       

মাতৃভাষার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা আর অপরিসীম আস্থার শ্বক্তিতেই হয়তো তিনি বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলা আমার দেশ্ব।’ কবি রামনিধি গুপ্তের ‘মোদের গরব, মোদের আশা; আ মরি বাংলা ভাষা’ এই গানের বাণীর মতোই গোটা বাঙালি জাতি মাতৃভাষা বাংলার প্রতি যে আবেগ অনুভব করে তার প্রধান স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ ইতিহাস বিস্মৃত হওয়ার নয়।

তথ্যসূত্র :

* অসমাপ্ত আত্মজীবনী : শেখ মুজিবুর রহমান,

* বঙ্গবন্ধু কোষ

* পলাশী থেকে একাত্তর।

 

সর্বশেষ খবর