সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

অপরাধীরাও নির্বাচন প্রার্থী

নির্বাচন কমিশ্বনকে কঠোর হতে হবে

স্থানীয় সরকারকে বলা হয় জনগণের সরকার। এ সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের সুখ-দুঃখ, কল্যাণ-অকল্যাণ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা, সিটি করপোরেশ্বন সব নির্বাচন সম্পর্কেই এটি একটি সত্যি। স্বভাবতই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যারা নির্বাচিত হন তারা ভালো লোক হলে এলাকাবাসীর কল্যাণ নিশ্চিত হয়। আর ভালো লোকদের বদলে সত্যিকারের খারাপ যারা তারা নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ করলে বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে ওঠে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, দেশের স্থানীয় সরকারগুলোতে চিহ্নিত অপরাধীরা ক্রমেই আস্তানা গড়তে সক্ষম হচ্ছে। নির্বাচনে সন্ত্রাসী, অপরাধী ও কালো টাকার মালিকদের অংশ্বগ্রহণের কারণে সৎ ও সুশিক্ষিত ব্যক্তিরা ইচ্ছা থাকলেও নির্বাচনের ধারে কাছে যেতে ইতস্তত করেন। ঢাকা সিটি করপোরেশ্বনের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে  প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অনেকেরই চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অপরাধী হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। বাংলাদেশ্ব প্রতিদিনের প্রতিবেদনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বহু সংখ্যক প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে অন্তত দুই ডজন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকান্ডসহ টেন্ডারবাজি, ফুটপাথ থেকে শুরু করে নানা ধরনের চাঁদাবাজি, জমি দখল, বাড়ি দখল, প্রতিপক্ষের ওপর আঘাত, সরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ, মাদক বিক্রিতে সহায়তা, সন্ত্রাসী লালনসহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশ্বন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে অনেকেই রয়েছেন সন্ত্রাসে জড়িত অভিযুক্তদের এ তালিকায়। আবার আওয়ামী লীগের সমর্থন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বেশ্ব কয়েকজনও রয়েছেন বিতর্কিতদের তালিকায়। স্বাভাবিকভাবেই কাউন্সিলর নির্বাচনে বিতর্কিতরা প্রার্থী হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর ভোটাররা নিজেদের ইচ্ছায় ভোট দিতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে সংশ্বয় সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন আদৌ শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশ্বয়। এ দুর্ভাগ্য রোধে নির্বাচন কমিশ্বন ও আইন প্রণেতারা সচেতন হবেন এমনটিই কাক্সিক্ষত।

সর্বশেষ খবর