সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বাসে ধর্ষণ ও হত্যা

অপরাধীদের কঠিন শাস্তি কাম্য

যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের প্রবণতা ভয়াবহভাবে বাড়ছে। প্রতিদিনই ঘটছে এ ধরনের অপরাধ। যার একটি ক্ষুদ্র অংশ্ব কেবল সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ্ব পাচ্ছে। বাস বা যানবাহনে যৌন হয়রানি এ দেশে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। সভ্যতার সংকট একের পর এক যৌন অপরাধের অবতারণা ঘটাচ্ছে। ঢাকার ধামরাইয়ে বাসের মধ্যে এক তরুণী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে বাস চালক ফিরোজ ওরফে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে ধামরাইয়ের হিজলীখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে একটি ঝোপের মধ্য থেকে ওই তরুণীর লাশ্ব উদ্ধার করে পুলিশ্ব। গ্রেফতার ফিরোজ (৩০) রাজবাড়ীর পাংশা থানার আমানত খানের ছেলে। ধামরাই উপজেলার জেঠাইল গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থেকে কালামপুর এলাকার প্রতীক সিরামিকস নামে একটি কারখানার শ্রমিক বহনকারী বাসের চালক। নিহত ১৯ বছর বয়সী তরুণীর বাড়ি ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নে। বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন তিনি। শুক্রবার ভোরে ওই তরুণীকে তার মা বাড়ির পাশ্ব থেকে একটি বাসে উঠিয়ে দেন কারখানায় যাওয়ার জন্য। সন্ধ্যায় মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজ করতে যায়। রাতেই স্বজনরা কাওয়ালিপাড়া-বালিয়া সড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে তার লাশ্ব পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ্ব রাতে গিয়ে লাশ্ব উদ্ধার করে। ওই তরুণীর গলায় আঘাতের দাগ রয়েছে। তাকে বাসের ভিতর ধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ্ব। আটককৃত বাসচালক পোশাক শ্রমিক এই তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে। গত রবিবার একই দিনের পত্রিকায় দুই কর্মজীবী নারীকে ধর্ষণের দায়ে এক বাড়িওয়ালাকে গ্রেফতারের খবর প্রকাশিত হয়েছে। মাত্র কয়েকদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে কুর্মিটোলায় ধর্ষণ করা হয়েছে রাস্তার পাশের ফুলগাছের ঝোপে। যানবাহনে যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণের ঘটনায় বাসচালক ও হেলপাররা ব্যাপকভাবে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাও ঘটছে কখনো কখনো। যৌন অপরাধীদের কঠিন শাস্তিই এ ধরনের অপরাধ থেকে নিবৃত্ত করতে পারে। এ জন্য দ্রুত বিচারের বিষয়টি গুরুত্বের দাবিদার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর