বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ুক ইসলামের মর্মবাণী

মুফতি হেলাল উদ্দিন হাবিবী

বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ুক ইসলামের মর্মবাণী

‘তাবলিগ’ শব্দটি আমাদের সবার কাছে পরিচিত। এর আভিধানিক অর্থ পৌঁছানো। ইসলামের শাশ্বত বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াকে তাবলিগ বলে। মহান রব্বুল আলামিন এ ধরণিতে লক্ষাধিক পয়গম্বর পাঠিয়েছেন। সবাই তাঁর একাত্মবাদের তাবলিগ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ধরাপৃষ্ঠে আগমন করে সম্পূর্ণ প্রতিকূলতার মাঝেও শান্তি, কল্যাণ ও একাত্মবাদের প্রচার করেছেন। বিশ্বময় ছড়িয়ে দিয়েছেন ইসলামের মর্মবাণী; যার ফলে আইয়ামে জাহেলিয়া পরিণত হয়েছিল সোনালি যুগে। বিদায় হজের ভাষণে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন, ‘আমার পক্ষ থেকে একটি বাণী হলেও পৌঁছে দাও।’ তাঁর এ নির্দেশ পালনে সাহাবায়ে কিরাম, তাবেয়িন, তাবে-তাবেয়িন, মনীষীরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ইসলামের তাবলিগ করে গেছেন। সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করাই ছিল তাঁদের মিশন, ভিশন। মহান রব্বুল আলামিন স্বয়ং তাঁর প্রিয় বান্দাদের শান্তি ও কল্যাণের দিকে তাবলিগ করে আল কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘আর আল্লাহ শান্তির ঘর তথা জান্নাতের দিকে আহ্বান করেন এবং যাকে ইচ্ছা সরল পথ প্রদর্শন করেন।’ সূরা ইউনুস, আয়াত ২৫। আল্লাহ তাঁর প্রিয় বন্ধু মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিশ্বময় দাওয়াতের নির্দেশ প্রদান করে বলেন, ‘আপনি বোঝাতে থাকুন, নিশ্চয় বোঝানো ইমানদারদের উপকারে আসবে।’ সূরা জারিয়াত, আয়াত ৫৫। অন্যত্র ইরশাদ করেন, ‘হে নবী! আপনি আপনার রবের দিকে জ্ঞানগর্ভ কথা ও উত্তম উপদেশ দ্বারা দাওয়াত দিন এবং তাদের সঙ্গে বিতর্ক করুন উত্তম পন্থায়।’ সূরা নাহল, আয়াত ১২৫। প্রিয় পাঠক! যারা মানুষকে শান্তি, কল্যাণ ও একাত্মবাদের দাওয়াত দেয় এবং ইসলামের দিকে আহ্বান করে, তাদের প্রশংসা করে রব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, ‘তার চেয়ে উত্তম কথা কার যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, নেক আমল করে এবং বলে আমি মুসলমান।’ সূরা হা-মিম সিজদা, আয়াত ৩৩।

 

লেখক : খতিব, মাসজিদুল কোরআন জামে মসজিদ, কাজলা যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর