সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সিটি নির্বাচন

সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন

ঢাকার সিটি নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি থেকে পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জটিলতা থেকে মুক্তি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রথমত সরস্বতী পূজার দিনে নির্বাচন দেওয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে স্পর্শকাতর প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। তারিখ পরিবর্তনে সে সংকটের অবসান ঘটেছে। সরস্বতী পূজা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। অন্যদিকে ভোট কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে একই দিনে নির্বাচন ও পূজা হলে জটিলতার আশঙ্কা দেখা দিত। নির্বাচন কমিশন দেরিতে হলেও এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার পথে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা ইতিমধ্যে উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ত্রাসীরা পছন্দের প্রার্থীদের কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত করতে নানা কলাকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। এমনকি সন্ত্রাসীদের কেউ কেউ আত্মগোপন অবস্থায়ও ভয়ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের শীর্ষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, বিভিন্ন অপরাধে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দলে দলে মহড়া দিচ্ছে নিজ নিজ কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থনে। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা ভয়ঙ্কর অপরাধীদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা করায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে জনমনে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকায় হুমকি-ধমকি ছাড়াও হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার শিকার হয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থীও। অভিযোগ উঠেছে, রাজধানীতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় শীর্ষ সন্ত্রাসীরা সিটি নির্বাচনকে কাজে লাগাতে চাইছে। যে গ্রুপের বেশি কাউন্সিলর জয়ী হবে, ঢাকার নিয়ন্ত্রণও সেই গ্রুপের হাতে থাকবে-Ñ এমনই ভাবছে তারা। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কারাগার বা বিদেশে আত্মগোপনে থেকেও জড়িত রয়েছে এ নির্বাচনে। বিশেষ করে কিশোর গ্যাং নিয়েই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুশ্চিন্তাটা বেশি। এবারের সিটি নির্বাচনে কিশোর গ্যাং বেশি তৎপর বলে গোয়েন্দাদের কাছে খবর রয়েছে। তবে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের দাবি, এখন পর্যন্ত সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। নজরদারির মধ্যেই রয়েছে গোটা শহর। অপরাধীরা যাতে কোনো ধরনের তৎপরতা চালাতে না পারে, সে ব্যাপারে গোপনে ও প্রকাশ্যে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচন হলো জনগণের পছন্দের প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার উৎসব। সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি সে উৎসবে ব্যাঘাত ঘটাবে তা কাম্য হওয়া উচিত নয়। আমরা আশা করব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে। বজায় রাখবে সর্বোচ্চ সতর্কতা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর