মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

শেয়ারবাজারের উত্থান

এ ধারা জিইয়ে রাখতে হবে

লাগাতার ধস ছিল যে শেয়ারবাজারের আগের কয়েক সপ্তাহের নিয়তির লিখন সে বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এক বৈঠকের পর কেটে গেছে পুঁজিবাজারের ওপর আস্থার সংকট। রবিবার সপ্তাহের প্রথম দিনে ঘটেছে সাত বছরের মধ্যে বড় উত্থান। এ দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৩২ পয়েন্ট। সূচকটি চালু হওয়ার ৭ বছরের মধ্যে এক দিনের ব্যবধানে এটি সর্বোচ্চ উত্থান। সূচকের এ উত্থানে ডিএসইর বাজার মূলধন এক দিনে বেড়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। একই সঙ্গে সূচক বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও। ডিএসইএক্স সূচক ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ৪ হাজার ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করে। এর আগে ২০১৫ সালে সূচকটি সর্বোচ্চ ১৫৫ পয়েন্ট বেড়েছিল। প্রায় ১ বছর ধরে শেয়ারবাজার মন্দাবস্থায় রয়েছে। বিগত দুই মাসে চরমে পৌঁছায় মন্দাবস্থা। বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস ওঠে একের পর এক দর পতনের ঘটনায়। এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী গত ১৬ জানুয়ারি শেয়ারবাজারের শীর্ষ নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং কয়েকটি নির্দেশনা দেন। যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করে। এ ছাড়া স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালকদের শেয়ার কেনার ঘোষণা, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে প্রথম কোনো বাংলাদেশিকে নিয়োগ ও তারল্য সংকট নিরসনে সরকারি চার ব্যাংকের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারে ইতিবাচক ভূমিকা ফেলে। শেয়ারবাজারের এ উত্থান বিনিয়োগকারীদের হতাশার গহ্বর থেকে টেনে তোলার কাজটিই করেছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকটই ছিল দর পতনের জন্য দায়ী। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। শেয়ারবাজারে সরকারি ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বাজারে ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে তার ধন্বন্তরী হয়ে কাজ করেছে। যে কারণে পুঁজি বাজারে হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে উড়ন্ত গতি। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে আস্থা ফিরে এসেছে তা ধরে রাখতে বাজারের মূল সমস্যাগুলোর সমাধানে যতœবান হতে হবে। বাজারের প্রাণবন্ত অবস্থা জিইয়ে রাখতে ব্যাংকিং খাতের সঙ্গে বাজারের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। শেয়ারবাজারে বহুজাতিক কোম্পানির আগমন নিশ্চিত করার উদ্যোগও নেওয়া দরকার। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা করাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর