বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

নির্বাচনী সহিংসতা

সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

সিটি নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষুণ্ন হচ্ছে সন্ত্রাসী ও মাস্তানদের কেউ কেউ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর এযাবৎ যেসব হামলা বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে তার সব কটির তীর সাধারণ্যে পেশিজীবী হিসেবে পরিচিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঢাকার সিটি নির্বাচন হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গণসংযোগের সময় মিরপুরে উত্তর সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলার ঘটনায়। এতে তাবিথ আউয়াল, বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী, দুজন সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে মিরপুরের আনন্দনগর তেলের মিলের সামনে হামলার শিকার হন তাঁরা। তাবিথের অভিযোগ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মুজিব সরোয়ার মাসুমের নেতৃত্বে তাঁদের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় মামলা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাবতলী পর্বত সিনেমা হল থেকে তাবিথ আউয়াল মিছিল নিয়ে আনন্দনগরের তেলের মিল এলাকায় এলে পেছন থেকে হঠাৎ শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। একপর্যায়ে হামলাকারীরা তাবিথকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় দলের নেতা-কর্মীরা তাঁকে ঘিরে বেষ্টনী তৈরি করলেও নিক্ষিপ্ত ইট ও কিল-ঘুষিতে তাবিথ আউয়াল মুখ ও মাথায় আঘাত পান। তাবিথের ওপর প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায় নির্বাচনকালীন শান্তি-শৃঙ্খলা সম্পর্কে জনমনে আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। বিএনপি কর্মীরা নিজেরা এমন ঘটনা ঘটাতে পারেন- সরকারি দলের এমন আবিষ্কারে দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। ঢাকার সিটি নির্বাচনের জয়-পরাজয়ের ওপর কোনো দলের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা কিংবা কোনো দলের ক্ষমতায় আসা নির্ভরশীল নয়। স্বীকার করতেই হবে, স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকেন উন্নয়ন ইস্যুর কারণে। নির্বাচনী প্রচারণায় বিরোধীদলীয় প্রার্থীর ওপর হামলা প্রকারান্তরে তাঁর প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টিতেই মদদ জুগিয়েছে। অর্বাচীনদের হঠকারী আচরণ সরকারি দলের সুনামের জন্য বিড়ম্বনা

সৃষ্টি করছে। আমরা আশা করব, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর