বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

হাই কোর্টের প্রশংসনীয় নির্দেশ

আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসুক

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক প্রশান্তকুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারসহ ২০ জনের সব সম্পত্তি ক্রোক ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। স্মর্তব্য, পিকে হালদার প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁর চৌর্যবৃত্তিতে গভীর সংকটে পড়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। হাই কোর্ট কোম্পানিটি পরিচালনার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদকে নিয়োগ দিয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদেশে, পিকে হালদারকে দেওয়া ঋণসংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র এবং তিনিসহ ২০ জনের সম্পদের হিসাব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের আদেশের আওতায় পিকে হালদার ছাড়াও রয়েছেন কোম্পানির চেয়ারম্যান এম এ হাসেম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নুরুল আলম, পরিচালক জহিরুল আলম, নাসিম আনোয়ার, বাসুদেব ব্যানার্জি, পাপিয়া ব্যানার্জি, মোমতাজ বেগম, নওশেরুল ইসলাম, আনোয়ারুল কবির, প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, আবুল হাসেম, মো. রাশেদুল হক, পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, স্ত্রী সুস্মিতা সাহা, ভাই প্রিতুষকুমার হালদার, চাচাতো ভাই অমিতাব অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও পিকে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বলকুমার নন্দী। উল্লেখ্য, এম এম স্ট্র্যাকচারাল লিমিটেড কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের বিরুদ্ধে ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাদের বিনিয়োগকৃত ৮ কোটি টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য মামলা করে। এ মামলার শুনানি নিয়ে আদালত মঙ্গলবার পিকে হালদারসহ ২০ জনের সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দেয়। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু অসৎ পরিচালকের কারণে এ খাতের প্রতি মানুষের আস্থা দিন দিন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের অসততা ও লুটেরা মনোভাবের কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা দানা বেঁধে উঠছে। আমরা আশা করব, আদালত ব্যাংক ও আর্থিক খাতের লুটেরাদের শাস্তিবিধান শুধু নয়, এ খাতের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক নির্দেশনা দেবে।

সর্বশেষ খবর