শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ই-পাসপোর্ট যুগে বাংলাদেশ

প্রবাসীরা হয়রানি থেকে রক্ষা পাবেন

মুজিববর্ষের প্রথম মাসেই ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের শতাধিক দেশে ইতিমধ্যে ই-পাসপোর্ট চালু রয়েছে। ই-পাসপোর্ট চালুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ১১৯তম দেশ। এদিক থেকে এটি আহামরি কিছু না হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই প্রথম ই-পাসপোর্ট যুগে পা রাখল। বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ই-পাসপোর্ট কর্মসূচি ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ই-পাসপোর্টকে মুজিববর্ষে জাতির জন্য একটি উপহার বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা সন্দেহাতীতভাবে ডিজিটাল বিশ্বে বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদা আরও সমুন্নত করবে এবং বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। ই-পাসপোর্টে এমবেডেড ইলেকট্রনিক মাইক্রো প্রসেসর চিপ থাকবে। যেখানে পাসপোর্ট গ্রহীতার সব তথ্য, স্বাক্ষর, ছবি, চোখের কর্ণিয়া ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিল্ড অবস্থায় সুরক্ষিত থাকে। প্রবাসীদের দেশ-বিদেশে যাতায়াত সহজীকরণের লক্ষ্যে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছেন, দেশের অভ্যন্তরে ৬৪ জেলায় ৬৯টি পাসপোর্ট অফিস, ৩৩টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, বিদেশে অবস্থিত ৭৫টি বাংলাদেশ মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের মাধ্যমে পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে। ‘ই-পাসপোর্টের সঙ্গে ই-গেটও সংযোজিত হচ্ছে। ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট সংযোজিত হলে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট সেবা সহজ, স্বচ্ছন্দময় ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে।’ বাংলাদেশের ১ কোটি মানুষ বিদেশে কর্মরত। যাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতি প্রাণভোমরা হিসেবে ভূমিকা রাখছে। বিশ্ব অর্থনীতির মঙ্গা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি মার খায়নি রেমিট্যান্স আয়ের কারণে। ই-পাসপোর্ট প্রবর্তনের ফলে সবচেয়ে লাভবান হবেন প্রবাসীরা। এ পাসপোর্টে পাসপোর্টধারী সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়ার সুযোগ থাকায় তারা হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পাবেন। এদিক থেকে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন একটি বড় সাফল্য। বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়।

সর্বশেষ খবর