শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

দুর্নীতির সূচকে অগ্রগতি

আরও অনেক দূর এগোতে হবে

দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়েছে। মন্দ অবস্থার মধ্যে এটি সান্ত্বনার খবর হলেও বাস্তবে দুর্নীতির ক্ষেত্রে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ আগের বছরের মতো ২৬ স্কোরধারী দেশ। এ স্কোর পেয়ে বিশ্বের ১৪তম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তকমা পেয়েছে বাংলাদেশ। আগের বছরে অবস্থান ছিল ১৩তম। রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতির ক্রমানুসারে আমরা এক ধাপ উন্নতি করলেও আমাদের স্কোর বাড়েনি। স্কোরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্য কোনো দেশ হয়তো বেশি খারাপ করেছে, তাই আমরা এক ধাপ এগিয়েছি, এতে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। গত বছর দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের সময় মানুষের মধ্যে একটি প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এটা কতটা বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েই গেছে। তিনি বলেন, দুর্নীতির ভালো স্কোর করার মতো আইনি ও কাঠামোগত সক্ষমতা আছে। কিন্তু প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার জন্যই স্কোরে এগোতে পারছে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করেছে। দুর্নীতি থাকার ফলে এর সুফল মানুষ ঠিকমতো পাচ্ছে না। আর্থ-সামাজিক অনেক সূচকে অনেক দেশের চেয়ে ভালো করেছি আমরা। এই ভালোটা আরও ভালো হতো যদি আমরা সুশাসন নিশ্চিত করতে পারতাম, দুর্নীতি আরও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ একাধিকবার শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ইতিপূর্বে। যে অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে ১৪তম হওয়া নিঃসন্দেহে অগ্রগতি। তবে এ অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিশ্বপরিসরে তো বটেই, দক্ষিণ এশিয়ায় দুর্নীতিগ্রস্ততার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কেবল আফগানিস্তানের চেয়ে ভালো। ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তানের চেয়েও বাংলাদেশ পিছিয়ে- এটি লজ্জা ও অপমানের। আমরা আশা করব, এ লজ্জা ও অপমান ঝেড়ে ফেলতে সরকার সক্রিয় হবে। দুর্নীতিবিরোধী যে লড়াই তারা শুরু করেছে বিদায়ী বছরের শেষ ভাগে তা দ্রুততর করা হবে। সুশাসনকে মূর্তমান করার সেটিই প্রকৃষ্ট উপায়। সরকারের নেওয়া উন্নয়ন কার্যক্রমের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে

দুর্নীতির থাবা ঠেকাতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর