শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
বিচিত্রতা

করলার পুষ্টিগুণ

করলার পুষ্টিগুণ

করলা নামের এ সবজিটির রয়েছে বহুগুণ। করলায় যথেষ্ট পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন আছে। এমনকি ব্রকলি থেকেও দ্বিগুণ বিটা ক্যারোটিন রয়েছে এতে। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে ও চোখের সমস্যা সমাধানে বিটা ক্যারোটিন উপকারী। করলায় প্রচুর আয়রন রয়েছে। আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। পালংশাকের দ্বিগুণ ক্যালসিয়াম ও কলার দ্বিগুণ পটাসিয়াম করলায় রয়েছে। দাঁত ও হাড় ভালো রাখার জন্য ক্যালসিয়াম জরুরি। ব্লাডপ্রেসার মেনটেইন করার জন্য ও হার্ট ভালো রাখার জন্য পটাসিয়াম প্রয়োজন। করলায় যথেষ্ট ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি ত্বক ও চুলের জন্য একান্ত জরুরি।

ভিটামিন সি আমাদের দেহে প্রোটিন ও আয়রন জোগায় এবং ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তোলে। ফাইবারসমৃদ্ধ করলা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। করলায় রয়েছে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স, ম্যাগনেসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, জিঙ্ক, ফসফরাস। ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েটে করলা রাখুন। করলায় রয়েছে পলিপেপটাইড পি, যা ব্লাড ও ইউরিন সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে করলার রস ও করলা সেদ্ধ খেতে পারেন।  নানা রকমের ব্লাড ডিজঅর্ডার যেমন স্ক্যাবিজ, রিং ওয়র্মের সমস্যায় করলা উপকারী। ব্লাড পিউরিফিকেশনে সাহায্য করে। স্কিন ডিজিজ ও ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে। করলাপাতার রসও খুব উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে, নানা ধরনের ইনফেকশন থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। এনার্জি ও স্ট্যামিনা বাড়িয়ে তুলতেও করলা পাতার রস সাহায্য করে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল খাওয়ার অভ্যাস থেকে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে, সে-সমস্যায় করলা পাতার রস দারুণ কাজে দেয়। ব্লাড ডিজঅর্ডারজনিত সমস্যায় লেবুর রস ও করলা পাতার রস মিশিয়ে খেতে পারেন। করলা পাতার রসে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও সোরিয়াসিসের সমস্যা, ফাংগাল ইনফেকশনও প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

                -আফতাব চৌধুরী

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর