শিরোনাম
রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

নির্বাচন নির্বিঘ্ন হোক

দুর্বিনীতদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নগরবাসীকে যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তার পাঁচ শতাংশও যদি পূরণ হয় তবে ঢাকা মহানগরীকে আর বসবাসের অযোগ্য নগরী বলার সুযোগ থাকবে না। সেদিক থেকে বলা যায়, সিটি নির্বাচন ঘুরে দাঁড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। তবে এ নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তার একাংশের পরিচয় এতটাই অস্বচ্ছ যে তারা নির্বাচিত হলে ঢাকা মহানগরীকে কোথায় নিয়ে যাবেন এমন আশঙ্কাও জনমনে উঁকি দিচ্ছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার

জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউন্সিলর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী শতাধিক প্রার্থীকে নজরদারিতে রাখছে। অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতিপক্ষকে নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন ভোটের মাঠে। রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটায় নড়েচড়ে বসেছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। কাউন্সিলর প্রার্থীর অনেকেই অভিযোগ করেছেন তারা প্রতিনিয়ত প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধমকির মধ্যে রয়েছেন। প্রভাবশালী কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনুগত সন্ত্রাসীরা এ অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ইতিমধ্যে অভিযোগ পেয়ে ৫৭৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে শতাধিক প্রার্থীকে ডেকে সতর্ক করেছে পুলিশ। এ কারণে ডিএমপির প্রতিটি বিভাগে আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে। ভোটের দিন পর্যন্ত সন্দেহভাজন কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিশেষ নজরদারির মধ্যে রাখা হবে- এমন আভাস দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে। পুলিশ যাদের সতর্ক করেছে তার মধ্যে মতিঝিল বিভাগের ১৭, ওয়ারীর ১৫, রমনার ১৮, মিরপুরের ২১, উত্তরার ১৯, লালবাগের ১৪ জন রয়েছেন। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে সক্রিয় এলিট ফোর্স র‌্যাবও। পোশাকি টহলের পাশাপাশি চলছে গোয়েন্দা কার্যক্রম। নির্বাচনে লাগামহীন প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রার্থীদের একাংশ নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করলেও মূল হুমকি সৃষ্টি করেছেন দুর্বিনীত প্রার্থীরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তারা প্রতিপক্ষের সমর্থকদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দিতে পারেন। কেন্দ্র দখলের আশঙ্কাও কম নয়। সিটি নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে।

সন্ত্রাস ও অনিয়ম রোধে নিতে হতে জিরো টলারেন্স নীতি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর