রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি

বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিন

নিত্যপণ্যের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা জেঁকে বসা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। চালের দাম বাড়ছে যৌক্তিক কারণ ছাড়াই। চাহিদার তুলনায় দেশে চালের মজুদ সন্তোষজনক। সরকারি গুদামগুলোয় ধান-চালের মজুদ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বিগত বোরো ও আমন মৌসুমে ধানের রেকর্ড ফলন হয়েছে। কিন্তু মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারসাজিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুমেও রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোয় চড়া সবজির দাম। দু-একটি বাদে ৩০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। দেশি নতুন পিয়াজে বাজার ছেয়ে গেলেও ১০০ টাকার নিচে মিলছে না কেজি। রসুন, আদা, এলাচ, জিরাসহ সব ধরনের মসলার দাম গত বছরের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও ঊর্ধ্বমুখী মাংসের দাম। বাজারভেদেও রয়েছে দামের ব্যাপক তারতম্য। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে তিন দফায় বেড়েছে মিনিকেট চালের দাম। প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় বেড়েছে প্রায় ২০০ টাকা। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য চালের দামও মানভেদে প্রতি বস্তায় বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। ডাল, আটা, তেল ও চিনির দামও মাসের ব্যবধানে বেড়েছে। টিসিবির তথ্যানুযায়ী, এক মাস আগের তুলনায় মসুর ডাল সাড়ে ৮ শতাংশ বেড়ে ৬৫-১৩০ টাকায়, খোলা সয়াবিন তেল ৬ শতাংশ বেড়ে লিটার ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৬৭ টাকায়, এক মাস আগে যা বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকায়। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও সবজির দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নামছে না। নতুন পিয়াজ বাজারে ওঠার পর গত বছরের এই সময়ের চেয়ে ১০-১২ গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি গরিব ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থার বিষয়টি অনেকাংশে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন অতীতের তিনটি সরকার এ ব্যাপারে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে কেন দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে সে ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত। নিজেদের সুনামের স্বার্থেই সরকারের নীতিনির্ধারকদের যত্নবান হতে হবে।

সর্বশেষ খবর