বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা

এমন দায়িত্বহীনতা কাম্য নয়

এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে একাধিক কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা শুরু হয়েছে, যা পরীক্ষা-সংশ্লিষ্টদের একাংশের দায়িত্বহীনতারই নজির। বরিশাল ও ঠাকুরগাঁওয়ে ঘটেছে এমন অবাঞ্ছিত ঘটনা। একইভাবে এসএসসির প্রথম দিনে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ২০৩ ও ২০৪ নম্বর কক্ষে সরবরাহ করা হয় ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র। প্রশ্নপত্রে গরমিল মনে হওয়ায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের জানালে প্রায় ১৫ মিনিট পর প্রশ্ন পরিবর্তন করে দেন শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেছেন, ওই কক্ষের দায়িত্বরত শিক্ষকদের ভুলের কারণে এমন দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। বরিশালের হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা গ্রহণের সময় শিক্ষার্থীদের ২০২০ সালের বদলে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে অভিভাবকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। জগদীশ সারস্বত বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হালিমা খাতুন কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষা শেষে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করলে বিষয়টি নজরে আসে। জগদীশ সারস্বত বালিকা বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের আশঙ্কা এ অবস্থায় পরীক্ষার মূল্যায়ন হলে যেসব শিক্ষার্থী ২০১৮ সালের প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, পুরনো প্রশ্নপত্রে যারা পরীক্ষা দিয়েছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। গোবিন্দগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় ২০১৮ সালের সিলেবাসের একজন শিক্ষার্থী থাকলেও ১৩৩ জনকেই পুরনো প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়। প্রায় ৩০ মিনিট পরীক্ষা চলার পর ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহের বিষয়টি নজরে আসে। এরপর নতুন করে ২০২০ সালের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রেও ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসএসসি পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনা প্রমাণ করছে আমাদের শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেরই দায়িত্বশীলতার অভাব রয়েছে। স্বীকার করতেই হবে, কোনো মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটেছে এমনটিও ভাবা ঠিক হবে না। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়োজিত শিক্ষকরা সতর্ক হলে এমন ভুল সহজেই এড়ানো যেত। আমরা আশা করব, এসএসসির বাদবাকি পরীক্ষাগুলোয় এ ধরনের ভুল এড়ানো সম্ভব হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধেও অবলম্বন করা হবে সর্বাধিক সতর্কতা।

সর্বশেষ খবর