বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সুতার বদলে বালি

আসল কারণ উদ্ঘাটন হোক

চীন থেকে আমদানিকৃত দুটি সুতার কনটেইনার খুলে দুটিতেই বালু পাওয়া গেছে। চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের কনটেইনারে বালু বা মাটি পাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এটি রপ্তানিকারকের অপকর্ম কিনা তা বড় মাপের প্রশ্ন। তবে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কারও কারও ধারণা, অর্থ পাচারের জন্য আমদানিকারকের যোগসাজশে এমন ঘটনা ঘটেছে। তারা তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে করণীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। সহযোগী দৈনিকে কাস্টমস কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়- দুটি চালানের মোট ঘোষিত মূল্য ৪৯ হাজার ৬৯২ ইউএস ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৩ লাখ টাকা। পলিয়েস্টার সুতা আমদানিতে শুল্কহার ৫৯ শতাংশ। শুল্ক মিলিয়ে ৭০ লাখ টাকার মতো হবে চালানের মূল্য। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বিসিক শিল্প এলাকার মেসার্স সোয়ারা ফ্যাশন চীন থেকে দুই কনটেইনার পলিয়েস্টার সুতা আমদানির জন্য ঢাকার এক্সিম ব্যাংক থেকে ঋণপত্র খোলে। প্রথম ঋণপত্রে ২৫ হাজার ৫০৫ ডলার ঋণপত্রের মাধ্যমে চীন থেকে ২৩ হাজার ৪০ কেজি সুতা আমদানির ঘোষণা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ঋণপত্রে ২৪ হাজার ১৯২ ডলার মূল্যের ২৩ টন পলিয়েস্টার সুতা আমদানির কথা। দুটি চালানের বিল অব এন্ট্রি জমা পড়ে গত ২২ জানুয়ারি। দুটি চালানের রপ্তানিকারকও অভিন্ন, চীনের জিনতাই ইয়ামিঝি টেক্সটাইলস কোম্পানি। চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার পর আমদানিকারকের নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ২২ জানুয়ারি চালানের বিল অব এন্ট্রি চট্টগ্রাম কাস্টমসে জমা দেয়। কিন্তু গোপন সূত্রের তথ্য থাকায় চালানটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড়ের আগে বন্ধ করে দেয় কাস্টমস গোয়েন্দা দল এআইআর শাখা। পরে কনটেইনার খুলে কায়িক পরীক্ষার পর ভিতরে কেবল বস্তাভর্তি বালু পাওয়া যায়। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সোয়ারা ফ্যাশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের ধারণা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান চীন থেকে ভুল করে হয়তো সুতার বদলে বালুভর্তি কনটেইনার পাঠিয়েছে। অর্থ পাচারের অভিযোগ নাকচ করে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তারা ব্যাংক থেকে টাকা এখনো ছাড় দেয়নি, তাই অর্থ পাচারের প্রশ্ন ওঠে না। চীন থেকে সুতার বদলে কনটেইনার-ভর্তি বালু কেন এলোÑ তা যথাযথ তদন্তে উদ্ঘাটন হতে পারে। অর্থ পাচারের ঘটনা হলে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে যা যা করা দরকার সবকিছু করা হবে- আমরা এমনটি দেখতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর