শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ঢাকা-রোম যৌথ ঘোষণা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অবদান রাখুক

প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফর ও ঢাকা-রোম ৯ দফা যৌথ ঘোষণা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারে অবদান রাখবে বলে আশা জাগিয়েছে। সফরকালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে ইতালির সমর্থন বাংলাদেশের জন্য এক বড় অর্জন। আশা করা হচ্ছে, এর ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন আরও জোরদার হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের শীর্ষ ধর্মগুরু পোপের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী ভ্যাটিকান সিটিতে গিয়ে করেছেন কুশল বিনিময়। ঢাকা-রোম যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, উভয় পক্ষই রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে গত ২৩ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করেছেন। বৈঠকে জিউসেপ কোঁতে ইতালির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি এই জরুরি মানবিক অবস্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের আতিথেয়তার নীতি অব্যাহত রাখা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসাহ প্রদানে জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ইতালির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার কথা উল্লেখ করেন। যৌথ ঘোষণায় আরও বলা হয়, দুই নেতাই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে উন্নয়ন, শ্রম ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আরও নিবিড় সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। দুই নেতা ‘এভরিথিং বাট আর্মস’ অগ্রাধিকারমূলক শুল্কনীতির আওতায় ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতের আমন্ত্রণে গত মঙ্গলবার বিকালে চার দিনের সরকারি সফরে ইতালি পৌঁছেন। ইতালি বিশ্বের অন্যতম শিল্পোন্নত দেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নেও তাদের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফর দুই দেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে অবদান রাখবে। এ সফর বাংলাদেশে ইতালীয় বিনিয়োগের পথ খুলে দিলে তা হবে এক বড় অর্জন। বিশেষ করে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আতিথ্য দিতে গিয়ে বাংলাদেশ যে কঠিন সমস্যায় রয়েছে তার ইতিবাচক সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে- এমনটি প্রত্যাশিত। এ সফরের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মহামান্য পোপের বাড়তি সমর্থনের পথ

খুলে যাবে- আমরা এমনটিই প্রত্যাশা করতে চাই।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর