রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

আদা-রসুনের দাম বাড়ছে

করোনাভাইরাসে পণ্যবাজারে আগুন

করোনাভাইরাস দেশের নিত্যপণ্যের বাজারেও প্রভাব ফেলেছে। চীন থেকে আমদানি হওয়া আদা, রসুন, পিয়াজ ইত্যাদি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে করোনাভাইরাসের ভয়ে দুই দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায়। এমনিতেই এ মরণ ভাইরাসের প্রভাবে দেশের অর্থনীতি ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন। চীন থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তৈরি পোশাকসহ রপ্তানিনির্ভর বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে আদা ও রসুন চীন থেকে সরাসরি আমদানি করা হয়। অথচ এখন এসব পণ্যের এলসিও খোলা যাচ্ছে না। বাজারে আদা ও রসুনের দাম বেড়ে গেছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ শতাংশ। চীন থেকে আমদানিকৃত পিয়াজের দামও বেড়ে গেছে। প্রতি কেজি আমদানিকৃত পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১১০ টাকায়। চীন থেকে আমদানিকৃত কোনো পণ্যের দাম বাড়বে না বলে এক দিন আগে জানিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তার সে বক্তব্যকে অবজ্ঞা করে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে রসুনের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। আদার দামও বেড়েছে একইভাবে। বাজারে চীন থেকে আমদানিকৃত সব পণ্যের দাম বাড়তির দিকে। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে চীন থেকে আমদানি কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত রয়েছে। সরকার-সংশ্লিষ্টদের অভিমত, মানুষের জীবন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জীবন যদি না থাকে সবকিছুই অর্থহীন। এ কারণে ভোক্তাদের সাময়িক অসুবিধা হলেও বিষয়টি তাদের মেনে নিতে হবে। আমদানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিকল্প বাজার খোঁজা হচ্ছে। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে যে কোনো দেশ থেকে যে কোনো সময় পণ্য এনে বাজার সামাল দেওয়া সম্ভব। বিশেষ দেশের ওপর নির্ভরশীলতার খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। নিত্যপণ্যের বাজারে যত বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়–ক না কেন করোনাভাইরাসের কারণে চীন থেকে আপাতত পণ্য আমদানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী এবং যৌক্তিক। দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত না হলেও নিজেদের নিরাপদ ভাবার সুযোগ নেই। কারণ বিপুলসংখ্যক চীনা নাগরিক বাংলাদেশে কর্মরত, যারা দুই দেশে নিয়মিত যাতায়াত করেন। ব্যবসায়িক কারণেও দুই দেশে হাজার হাজার নাগরিকের যাতায়াত রয়েছে। এ অবস্থায় সতর্কতায় শিথিল হওয়ার কোনো অবকাশ থাকা উচিত নয়।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর