বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সালাম পারস্পরিক প্রীতিবন্ধন তৈরি করে

হাফেজ মুহা. মাছুম বিল্লাহ আজমী

সমস্ত প্রশংসা অল্লাহর জন্য, তিনি মানুষকে সৃষ্ট করেছেন এবং তাদের মধ্যে প্রীতিবন্ধন তৈরির পথ বাতলিয়ে দিয়েছেন। মুসলমানদের মধ্যে পরস্পরের ভালোবাসা বা ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের জন্য সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হলো ‘সালাম’। তাই রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অধিক পরিমাণে সালামের প্রচলন করতে বলেছেন- ‘যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পূর্ণ ইমান আনবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পূর্ণ ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা পরস্পরকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদের এমন এক জিনিসের সন্ধান দেব না, যা তোমরা প্রতিপালন করলে তোমাদের পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে? তা হলো তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন কর।’ মুসলিম। এ হাদিস দ্বারা বোঝা গেল, পরিপূর্ণ ইমানদার হতে হলে মুসলমানদের মধ্যে ভালোবাসা-মহব্বত থাকা পূর্বশর্ত। আর একে অন্যের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টির মাধ্যম হলো সালাম। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুসলিমদের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব অতিজরুরি হয়ে পড়ছে। সব মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ- সালাম দেওয়ার অভ্যাস করুন অবশ্যই খাঁটি মুসলিম হতে পারবেন এবং আল্লাহর করুণায় মন থেকে সব কুটিলতা দূর হবে। যে ব্যক্তি সালাম প্রদানের অভ্যাস করবে তার কোনো শত্রু থাকবে না। কারণ যে মানুষের কল্যাণ কামনা করে তাকে আল্লাহ ভালোবাসেন, আর যাকে আল্লাহ ভালোবাসেন তাকে সব মানুষ ভালোবাসে। বর্তমান সমাজে ঝগড়া-বিবাদ, খুন-খারাবি ও নানান জঘন্যতম কাজ ঘটছে, এর কারণ হলো আমরা সালাম আদান-প্রদান থেকে দূরে সরে গেছি। সালাম অর্থ শান্তি, আর সালাম যে প্রচলন করবে সে অন্যকে শান্তির জন্য দোয়া করছে- এভাবে সবাই সালাম প্রদান করলে একে অন্যের জন্য শান্তির দোয়া করা হয়। সালামের সবচেয়ে প্রতিফলিত দিক হলো এটি প্রদানের দ্বারা হিংসা, অহংকার, রিয়া ইত্যাদি থেকে মুক্ত থাকা যায়। তাই সবার উচিত সাক্ষাতে সালাম প্রদান যার ফলে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হবে। কোনো দ্বন্দ্ব ও অপসংস্কৃতি থেকে মুক্ত হবে আমাদের দেশ।

সর্বশেষ খবর