আমরা কী ছিলাম আর এখন কী হয়েছি! বলা হয়, জনগণ তাদের প্রত্যাশিত সরকারই পেয়ে থাকে। আমরা যতই অস্বীকার করতে চাই না কেন, শাসনব্যবস্থা দেখেই বিদেশে একটি জাতির ভাবমূর্তি স্বীকৃত হয়।

আমরা তো ছিলাম একটা নম্র, ভদ্র ও শান্তিপ্রিয় জাতি। স্বচ্ছ নির্বাচন, জীবনের প্রতি সম্মান, ব্যক্তিস্বাধীনতা, মৌলিক ও মানবিক অধিকারÑ এসব গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অর্জনের জন্য দীর্ঘকাল ধরে সংগ্রাম করে এসেছি এবং আমরা দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে একসঙ্গে বসবাস করে এসেছি এবং যার যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবেই পালন করেছি।

অতিলোভ ও দুর্নীতির কারণে আমাদের অনেকেই দেশ ও দেশবাসীর প্রতি দেশপ্রেমসুলভ দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ হারিয়ে ফেলেছি। ফলে আমরা এমন এক অবস্থায় উপনীত হয়েছি যাকে জংলি জীবনের বিবেকহীন ও নিরাপত্তাহীন অবস্থা বলা চলে। সরকারের জন্য কারও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অর্থ হলো আইনের তোয়াক্কা না করা।

আইন প্রয়োগের নিশ্চয়তা নেই বলে খুন, গুম ও ধর্ষণ এখন দৈনন্দিন ঘটনা। কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ঢাকা গলফ ক্লাবের সন্নিকটে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করেছে। গত রবিবার ঢাকা শহরের বাড্ডায় ১৫ বছরের কম দুই মেয়েকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে। একই দিন সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ছোট বোনের সামনে তৃতীয় শ্রেণির নয় বছরের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ছোট বোনের সামনে বড় বোনকে ধর্ষণ করাকে শুধু অপরাধ বলাই যথেষ্ট নয়। গণধর্ষণ প্রায়ই হচ্ছে। আমাদের মধ্যে নিষ্ঠুরতা কত প্রকট হয়ে উঠেছে সেটাই আশাভঙ্গের বেদনা। ধর্ষণকারীদের সাহস পেতে অসুবিধা হচ্ছে না। অপরাধ দমনের দায়িত্ব কাদের তা জানার প্রয়োজন নেই।

মামলা দেওয়া যে অর্থহীন তাও জনগণের জানা। প্রথমত, পুলিশ সবার বিরুদ্ধে মামলা নিতে সাহস পাবে কিনা তা দেখতে হবে। অপরাধীদের অনেকে এত ক্ষমতাধর যে, মামলা দিলে তাদের হাতে গুম কিংবা খুন হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সর্বনাশ যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে। এ কারণে অপরাধীদের সাহস বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামসূত্রে প্রকাশ, মাসে গড়ে ৮৪ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ২০১৯ সালে কমপক্ষে ১ হাজার ৫টি শিশু ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের বছরের তুলনায় এ সংখ্যা ৭৬.০১% বেশি। গত বছর শিশু হত্যার ঘটনাও বেড়ে দাঁড়ায় ৪৪৮-এ, এ সংখ্যা বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। অবহেলার কারণে পুকুর বা নর্দমায় পড়ে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা নগণ্য নয়।

শিশু-কিশোরীদের ধর্ষণের এসব ঘটনা অভিভাবকদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে আমরাও ভাবছি কোথায় সরকার, কোথায় আইন-কানুন।

আইন প্রয়োগের ওপর জনগণের আস্থা থাকলে অনেক ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ তোলা যেত।

পুলিশ এখন সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গসংগঠন হয়ে পড়েছে। যেজন্য দুর্বৃত্তদের কাছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্তিত্ব তেমন কোনো অর্থ বহন করে না।

কয়েক মাস আগে বুয়েটের ছাত্র আবরারকে তার সহপাঠীরা নির্যাতন চালিয়ে মেরে ফেলে। পরে জানা গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও এরূপ টর্চার সেল আছে।

এসব ঘটনা থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, হত্যা, ধর্ষণ ও নিষ্ঠুরতা বাংলাদেশে কত সহজ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার কোনো চেষ্টা নেই। বাসচালকদের দোষ দিয়েই সরকারের দায়িত্ব শেষ। সরকারের ধারণা, কঠিন শাস্তির বিধান করলে অপরাধ কমে যাবে। মন্ত্রীদের প্রশাসনিক যোগ্যতার ব্যাপারে প্রশ্ন করার কেউ নেই।  নিজেদের পুলিশ, নিজেদের সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জনগণ কোনো সাহায্য পাওয়ার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। তারা যে জনগণের পুলিশ, জনগণের কর্মকর্তা তা দাবি করাই বোকামি। মামলা দিলেই জেল। কারণ, জামিন পাওয়ার আশায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত ছোটাছুটি করতে হয়। অপরাধ ছোট কি বড় তা বিবেচনার বিষয় নয়। জামিন না দেওয়াই আইনি ব্যবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে চলছে মিথ্যা মামলার ছড়াছড়ি।

রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও সহিংসতা, হত্যা ও গুমের ব্যাপারটি অতিসহজ রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ক্রসফায়ারে মৃত্যু হলে কোনো জবাবদিহির প্রশ্ন উঠছে না। কিছু একটা অভিযোগ দিলেই হলো। পুলিশি হেফাজতেও আসামির মৃত্যুর ঘটনা জাতি অসহায়ভাবে প্রত্যক্ষ করছে। সাধারণত এসব মৃত্যুর অনুকূলে বলে দিলেই হলো যে, তারা মাদক ব্যবসায়ী অথবা সন্ত্রাসী। আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে এ-জাতীয় মৃত্যু ঘটানো যে অবৈধ ও শাসনতন্ত্রবিরোধী, এ সম্পর্কে কারও কোনো দুশ্চিন্তা আছে বলে মনে হয় না। পুলিশের বড় বড় কর্তাব্যক্তির কেউ কেউ হয়তো বিবেকের তাড়নায় বলতে চান যে পুলিশ জনগণের।

পুলিশকে আইনের নিরপেক্ষ রক্ষক হিসেবে কাজ করতে না দেওয়ার জন্যই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় দুর্বৃত্তরা শক্তি পাচ্ছে। দেশে ভয়ভীতি ও আতঙ্কের রাজত্ব চালাতে চাইলে জনগণকে তো অসহায় রাখতেই হবে।

প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সরকার পরিচালনার বিষয়টিকে রাষ্ট্রীয় শক্তির নিষ্ঠুরতার বিষয় করে তোলা হয়েছে। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে ক্ষমতাসীনদের চরম শত্রু হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার হৃদয়হীনতা সংঘাতের ব্যাপকতা সমাজেও বিস্তারিত হচ্ছে। কোনো কোনো সমাজবিজ্ঞানী বলতে চাইবেন সমাজে মূল্যবোধের অভাব। তারা জানেন না রাজনীতি কীভাবে সমাজজীবনকে প্রভাবিত করে।

ভয়ভীতি, নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করে, বাক ও ব্যক্তিস্বাধীনতার বিলোপ করে রাষ্ট্র পরিচালনায় আমলাতান্ত্রিক পুলিশি পদ্ধতিকে আলিঙ্গন করা হয়েছে। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহায্যের জন্য জনগণ কার কাছে যাবে এমন নির্ভরযোগ্য কেউ নেই। কারণ, ক্ষমতাসীন লোকেরা নিজেরাই ব্যস্ত আছেন কীভাবে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হবেন। ব্যবসায়ী রাজনীতিতে নিঃস্বার্থ সেবার প্রশ্ন অবান্তর।

এরূপ ধারণা মোটেও অযৌক্তিক মনে হবে না যে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতে বসে কিছু লোক আমাদের জনগণের গণতন্ত্র অর্জনের মুক্তিযুদ্ধকে বানচাল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। আমাদের জনগণের কাছে ধর্মহীন ও নির্বাচনহীন বামপন্থি বৈপ্লবিক রাজনীতির কোনো স্থান ছিল না। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে জনগণের মুক্তিযুদ্ধ হয়ে গেল কিছু লোকের প্রথম বিপ্লব। একদলীয় বাকশাল শাসন হলো তাদের দ্বিতীয় বিপ্লব। জনগণের গণতান্ত্রিক সুশাসন প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিনের সংগ্রামকে অস্বীকার করার জন্য নতুন কৌশল পাওয়া গেল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ছয় দফাভিত্তিক জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি মুছে গেল। গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের অধিকারী আওয়ামী লীগ রূপান্তরিত হয়ে গেল গণতন্ত্রবিরোধী বামপন্থি বিপ্লবী রাজনৈতিক দলে।

গণতন্ত্রের কী অর্থ তা না বোঝার কারণে ক্ষমতাসীনদের কেউ কেউ ক্ষমতার জোরে গণতন্ত্রকামীদেরও গণতন্ত্রের শিক্ষা দিতে বিব্রতবোধ করছেন না। নির্বাচনে অবিশ্বাসী সরকারকে জোর করে নামানো ছাড়া অন্য কী পথ আছে তা বলে দিলে আমাদের সবার জন্য ভালো হতো। করোনাভাইরাসের মহামারী আমাদের দেশে না আসুক আল্লাহর কাছে তা-ই প্রার্থনা করছি। পুলিশি শাসন দিয়ে তো করোনাভাইরাস ঠেকানো যাবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে নাজুক অবস্থায় আছে তা সবারই জানা। উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মতো প্রস্তুতি নেওয়ার যোগ্যতা সরকারের আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ অনেকের। কোনো মন্ত্রণালয়ই যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে পারছে না।

আমাদের মতো নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় জাতিকে আর কত নিষ্ঠুরতার আষ্টেপৃষ্ঠে ঘিরে রাখবে এটাই প্রতিটি চিন্তাশীল বিবেকী মানুষকে দারুণ উৎকণ্ঠার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ভারতের সামরিক বাহিনীর সহায়তা নিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের বাধ্যবাধকতা আমাদের রাজনীতিতে অনেক অবাঞ্ছিত উপসর্গ সৃষ্টি করে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এমন অন্যায়-অবিচারে ভরপুর নিষ্ঠুরতা দেখতে হচ্ছে যা আগে দেখা যায়নি। বিচার বিভাগ এত অসহায় ছিল না। পুলিশি মামলা দিয়ে রাজনীতি করতে দেখা যায়নি। বামপন্থি রাজনীতি জনগণের কাছে একেবারেই গ্রহণীয় ছিল না। এখন দেশে চলছে তাদের বিপ্লবী রাজনীতি। যে রাজনীতির উৎস জনগণ নয়, বন্দুকের শক্তি।

গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালাতে গিয়েই তো জনগণ স্বাধীনতার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। নেতারাসহ জনগণকে অনেক জেল-জুলুম সহ্য করতে হয়েছে। তখনো তো জনগণকে ভোটাধিকারহীন করা হয়নি। তখন ব্যক্তির মৌলিক অধিকারসমূহ রক্ষায় বিচার বিভাগকে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালের অবস্থা তো ভিন্ন হবেই।

এ কথা সবাইকে স্বীকার করতে হবে যে, আওয়ামী লীগের যুদ্ধের প্রস্তুতি না থাকায় গণতন্ত্র হত্যার ষড়যন্ত্র ভারতে গিয়েই বামপন্থি রাজনৈতিক নেতারা শুরু করেন। তারা তখনই তাদের নিয়ে নির্বাচিত সরকারের স্থলে বৈপ্লবিক সরকার গঠনের দাবি তোলেন। তাদের যুক্তি হলো, তাদের সহযোগিতাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল শক্তি।

নিশ্চয়ই আমাদের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক স্বপ্নের মৃত্যু দেখার জন্য কিংবা নিজেদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ ও অনৈক্য সৃষ্টির ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করতে মুক্তিযুদ্ধের জন্য চরম ত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করেনি। আমাদের মধ্যে কোনো সাম্প্রদায়িকতা ছিল না। ভারত থেকে ফিরে আসা কারও কারও কাছে গণতন্ত্র নয়, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হয়ে গেল।

স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য জীবনভর সংগ্রাম করে আসা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এমনকি বঙ্গবন্ধুকেও নৃশংস হত্যার শিকার হতে হলো।

গণতন্ত্রবিরোধী নিষ্ঠুর, হিংসা-বিদ্বেষের বাংলাদেশ আমাদের পরিচয় নয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শত্রু হিসেবে দেখাও আমাদের রাজনীতি ছিল না। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রধানমন্ত্রী হয়ে সব রাজবন্দীকে মুক্তি দেন। স্বাধীন বাংলাদেশে এসে বঙ্গবন্ধুও অনেককে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। শত্রুতার রাজনীতিতে তিনিও বিশ্বাস করতেন না। রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে পরাজিত করার রাজনীতি ছিল আওয়ামী লীগের রাজনীতি। বন্দুকের শক্তি রাজনীতি হতে পারে না। চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আমরা বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিশ্চয়ই চাই। কিন্তু তাদের শাসনব্যবস্থা আমাদের জনগণের কাছে নিশ্চিতভাবেই গ্রহণীয় হবে না। সংঘাত-সংঘর্ষমুক্ত রাজনীতির আশা করা খুব কঠিন হয়েছে।

আমাদের রাজনীতিতে ধর্ম ও মানবতার গুরুত্ব থাকবেই। গুরুতর অসুস্থ বয়োবৃদ্ধ বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি যে অমানবিক নিষ্ঠুরতা দেখানো হচ্ছে তার কোনো প্রয়োজন ছিল না। সরকারের ডাক্তাররাই বলছেন যে তাঁর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া কোনো অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। কোর্টে জামিনের ব্যাপারে বাধা না দিলেই হয়।

নিজেদের কল্যাণে জনগণের ভোটে একটা জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন করতে না পারলে আশপাশের অশুভ শক্তির প্ররোচনায় ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিতেই থাকবে। খুন-খারাবি ও গুমের প্রক্রিয়া অধিকতর ভয়াবহ হবে। নিরাপত্তা কারও জন্য নিশ্চিত থাকবে না। আমাদের বর্তমান রাজনীতিতে দূরদর্শিতার কোনো গুরুত্ব নেই। জনগণ তাদের মুক্তিযুদ্ধের সাহসী ভূমিকা হারাতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধ তো জনগণের মুক্তিযুদ্ধ ছিল। সাধারণ মানুষই তো রক্ত দিয়েছে। জনগণ যে স্বাধীনতা অর্জন করেছে সে স্বাধীনতা রক্ষার সাহসও জনগণকেই দেখাতে হবে। জ্ঞান-বুদ্ধি ও মানবতাহীন বাংলাদেশ আমাদের দেশ হতে পারে না।

                লেখক : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা।