মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

নীল নদ

নীল নদ

আফ্রিকা একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। এখানে অনেক ধরনের  দুর্লভ জীবজন্তু ও রহস্যময় সব জায়গার সমাবেশ ঘটেছে। এখানে পৃথিবীর প্রায় সব ধরনের জীবজন্তুরই দর্শন মেলে। বন্যমহিষ, বন্যহাতি, শিম্পাঞ্জি, গরিলাসহ একাধিক জীবজন্তুর দেখা পাওয়া যায়। তুর্কানা নামক লেকের আশপাশে তো পৃথিবীর প্রায় ৫০ শতাংশ জলজন্তুর সন্ধান মেলে। পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপেও বেশকিছু ভয়ানক জীবজন্তু রয়েছে। আর এজন্যই তো বলা হয়, সাহারা মরুভূমি ছাড়া আফ্রিকা ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আমরা অনেকেই জানি, নীল নদ পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম তথা লম্বা একটি নদ। এ নদ আফ্রিকার বুকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভূমধ্যসাগরে গিয়ে পড়েছে। নদটি প্রায় ৬ হাজার ৭০০ কিলোমিটার লম্বা। আর আশ্চর্য মনে হলেও সত্যি, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম মরুভূমির মধ্য দিয়ে বয়ে গেলেও কোনো দিন এ নদের পানি শুকিয়ে যায় না। নীল নদ শুরু হয়েছে তানা লেক থেকে। এটি ইথিওপিয়ায় অবস্থিত। সাদা নীল নদ ও নীল নীল নদ দুটি একসঙ্গে মিশে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থাৎ দীর্ঘতম নদে পরিণত হয়েছে। উগান্ডা থেকে ইথিওপিয়া পর্যন্ত মোট নয়টি দেশের মধ্য দিয়ে নীল নদ প্রবাহিত হয়েছে। সেগুলো হলো- ইথিওপিয়া, জায়ারে, কেনিয়া, উগান্ডা, তানজানিয়া, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, সুদান ও মিসর। এখানে দুটি তৃণভোজী প্রাণীরও দেখা মেলে। একটি হলো জলহস্তী, অন্যটি গন্ডার। প্রাচীন মিসরের বাসিন্দারা এ জলহস্তীকে ভীষণ শ্রদ্ধা করতেন। এখানে অনেক জীবজন্তু আছে যারা নীল নদ ও আশপাশে বাস করে। এর মধ্যে অবশ্য অধিকাংশই সরীসৃপ। তবে সবচেয়ে সাধারণ ও পরিচিত সরীসৃপ প্রাণী হলো কুমির। এখানকার কুমিরগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কুমিরদের মধ্যে অন্যতম। এখানেই শেষ নয়, এসব জায়গায় প্রায় ৩০ প্রজাতির সাপও দেখা যায়। এর অর্ধেকের বেশি বিষধর সাপ। আরেকটি তথ্য- নীল নদের নীল প্যারচ মাছ খাবার হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।

               আফতাব চৌধুরী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর