শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক

লাল ফিতার দৌরাত্ম্য বন্ধ হোক

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা আবারও হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। প্রকল্পটির অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) চায় প্রকল্পটি যেন জুনের মধ্যেই অনুমোদন করা হয়। কেবল তা হলেই তাদের পক্ষে আগামী অর্থবছর থেকে অর্থায়ন করা সম্ভব হবে। নতুবা প্রকল্প এক বছর বিলম্বিত হবে। স্মর্তব্য, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করতে শুরুতে এডিবির সঙ্গে সরকারের আলোচনা চলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চীনের অর্থায়নে জি টু জি ভিত্তিতে এ মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করতে ২০১৭ সালের অক্টোবরে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়। কথা ছিল ২০১৮ সালের শুরুতেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। কিন্তু চায়না হারবার এ প্রকল্পের যে ব্যয় প্রস্তাব করে তা সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রাক্কলনের চেয়ে প্রায় ৪২ শতাংশ বেশি। তাই তাদের প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়নি। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হলেও সুরাহা হয়নি। এক পর্যায়ে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে চার লেনের কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এজন্য ডিপিপিও তৈরি করা হয়। সেটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে সেখান থেকে আরও কিছু সংশোধনী চেয়ে ফেরত পাঠানো হয়। সড়ক বিভাগ তা সুবিন্যস্ত করে ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায়। কিন্তু প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে যাওয়ার পর তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী প্রকল্পটি অনেক ব্যয়বহুল উল্লেখ করে এজন্য বাইরের অর্থায়ন জোগাড় করা যায় কিনা দেখার আদেশ দেন। ঢাকা-সিলেট সড়কটি চার লেনে উন্নীত হলে ঢাকার সঙ্গে সিলেটের যাতায়াত সহজতর হবে। সড়ক সন্নিবেশিত এলাকাগুলোর উন্নয়ন তাতে জোরদার হবে। সিলেট অঞ্চলে বিদেশি ও প্রবাসীদের বিনিয়োগের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। দেশের অর্থনীতির জন্য প্রকল্পটি আশীর্বাদ হয়ে দেখা দেবে। ইতোমধ্যে সরকার এ প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ৮৫৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ আছে ৮৫১ কোটি টাকা। প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ ও আনুমানিক কাজ চলবে এ অর্থ দিয়ে। আমলাতান্ত্রিক লাল ফিতার জটিলতায় সময়মতো প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়নের কাজ শুরু না হলে প্রকল্প ব্যয় যেমন বেড়ে যাবে তেমন শ্লথ হবে দ্রুত উন্নয়নের সম্ভাবনা; যা কাম্য হওয়া উচিত নয়।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর