শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনাভাইরাস বিসংবাদ

সর্বাত্মক সতর্কতার বিকল্প নেই

করোনাভাইরাস ক্রমেই আবির্ভূত হচ্ছে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী অবয়বে। দুনিয়ার অন্যতম সেরা অর্থনীতির দেশ চীনের অর্থনীতি এখন হুমকির মুখে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কেউ আক্রান্ত না হলেও অর্থনীতিতে বিসংবাদ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস এখন ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার আরও পাঁচ দেশে। বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজারের কাছাকাছি। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৭৬৩। তার মধ্যে ২ হাজার ৭১৫ জনই মারা গেছেন চীনে। এ অবস্থায় টোকিও অলিম্পিকও বাতিল হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে অন্যান্য দেশেও চীনের মতোই মৃত্যুহার দেখতে হবে বলে মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন। চীনের পর এশিয়ায় এ ভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে মারাত্মক হয়ে উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১০০-এর বেশি। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে সেনা সদস্যদের মধ্যেও। এ ছাড়া ইউরোপের ইতালি হয়ে উঠেছে নভেল করোনাভাইরাস ছড়ানোর কেন্দ্র। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন সোয়া তিন শ মানুষ। ইউরোপের সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার পাশাপাশি আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়া ও লাতিন আমেরিকার ব্রাজিলে প্রথমবারের মতো নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এদের সবাই আক্রান্ত হয়েছেন ইতালি থেকে। গত কয়েক দিনে এ ভাইরাস যে গতিতে ছড়িয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রেও এ রোগের ব্যাপক বিস্তার অবশ্যম্ভাবী বলেই মনে করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস মানুষের দেহে এসেছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। এ রোগের কোনো প্রতিষেধকও মানুষের জানা নেই। এখন পর্যন্ত এ রোগে মৃত্যুহার রয়েছে ২ শতাংশের নিচে, যা সার্সের চেয়ে কম। করোনা-ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বাংলাদেশ যাতে আক্রান্ত না হয় তা নিশ্চিত করতে সতর্কতা বাড়াতে হবে। দেশে এ ভাইরাসের থাবা বিস্তার লাভ করলে পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতিও রাখা দরকার। জনমনে যাতে কোনোভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর