রবিবার, ১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
বিচিত্রতা

মাতৃতান্ত্রিক সমাজ

খাসিয়ারা মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার অধিকারী। খাসিয়া মেয়েরা অন্য গোত্রের পছন্দসই কোনো যুবককে বিয়ে করে ঘরজামাই করে রাখে। স্বগোত্রে বিয়ে নিষেধ। স্বগোত্রে কোনো ছেলেমেয়ে বিয়ে করলে তারা সম্পত্তির অধিকার হারায়, গ্রাম থেকে বহিষ্কৃত হয় এবং মৃত্যুর পর এদের কবর দেওয়া হয় না। অধিকাংশ বিয়েই হয় মেয়েদের অগ্রভূমিকায় পূর্বানুরাগের ভিত্তিতে। মেয়েটি ভালোবাসার পাত্রকে স্বগৃহে দাওয়াত করে। কখনো কখনো দু-চার দিন একসঙ্গে বসবাস করে। উভয়ের মধ্যে অনুকূল মতবিনিময়ের পর অভিভাবককে জানানো হয়। উভয় পক্ষের বৈঠকে বিয়ের দিন স্থির হয়। পুরুষ বরযাত্রীরা বরকে সাদা ধুতি, চাদর, পাগড়ি পরিয়ে কনের বাড়ি রওনা হয়। যাওয়ার সময় মাতৃস্থানীয় নারীরা ছেলেকে আশীর্বাদ করেন। কনেপক্ষ, অগ্রগামী হয়ে এদের অভ্যর্থনা করে নিয়ে যায়। খাসিয়া ধর্মগুরুর মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয়। নবদম্পতির জন্য ‘ধনে-জনে অদৈন্য’ প্রার্থনা করা হয়। তারপর সুস্বাদু আহার পর্ব অনুষ্ঠিত হয় এবং বরকে রেখে মধ্যরাতে বরযাত্রী বিদায় নেয়। এ সময় দেবতাকেও মদ ও শুঁটকি মাছ দিয়ে ‘ভোগ’ দেওয়া হয়। কনের ভাইবোনেরা বরের আপন ভাইবোনের মতো বিবেচিত। পূর্বানুরাগ ছাড়াও অভিভাবকদের আলোচনায় বিয়ে হয়ে থাকে। বিয়ের পর কন্যার মাতৃগৃহের পাশেই নবদম্পতির জন্য নতুন কুঁড়েঘর তৈরি করে দেওয়া হয়। তা সম্ভব না হলে মাতৃগৃহের পাশেই তারা বাস করে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর