মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে জয়

সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকুক

জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে শক্তির বিচারে বাংলাদেশের জেতাই উচিত এবং এ ব্যাপারে কারোর তেমন সংশয়ও ছিল না। কিন্তু বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের পর পাঁচটি খেলায় হেরে যাওয়া বাংলাদেশের জয়ের ধারায় ফিরে আসার জন্য একটি বড় জয়ের প্রয়োজন ছিল। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফির জন্য জয়ের পাশাপাশি নিজেকে ফিরে পাওয়ার মতো কিছু অর্জনও ছিল জরুরি। সে ক্ষেত্রে শতভাগ সাফল্য অর্জিত হয়েছে সিলেটে ওয়ান ডে ম্যাচের প্রথম খেলায়। এ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ১৬৯ রানের বিশাল জয় লাভ করেছে টাইগাররা। অর্জিত হয়েছে দুটি সেঞ্চুরি। একটি লিটন দাসের হার না মানা ১২৬ রানের বদৌলতে। আরেকটি অধিনায়ক মাশরাফির। ক্রিকেট ইতিহাসের পঞ্চম অধিনায়ক হিসেবে তিনি ১০০ ওয়ানডে উইকেটের ফলকও ছুঁয়েছেন। সিলেটের প্রথম ম্যাচে ৩৫ রানে ২ উইকেট পাওয়া মাশরাফি প্রমাণ করেছেন তিনি এখনো ফুরিয়ে যাননি। টস জিতে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রবিবার প্রথম ব্যাট করে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ৩২১ রানের দলীয় রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। এর আগে টাইগারদের বড় ব্যবধানে জয়টি ছিল ১৬৩ রানের, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। আর জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রান ছিল ৩২০। রবিবার বাংলাদেশের ৩২১ রানের মধ্যে লিটন দাস ১২৬ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ১০৬ বলে ১৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে দুটি বিশাল ছক্কা মেরে তার এ অর্জন। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন মোহাম্মদ মিথুন। অলরাউন্ড পারফর্ম করেছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। বিশ্বকাপের পর প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমে ব্যাট হাতে ১৫ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস, বল হাতে ২২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত ছিলেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের ৩২১ রানের বিপরীতে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১৫২ রানে! বোলিং, ব্যাটিং কিংবা ফিল্ডিং কোনো বিভাগেই বাংলাদেশের কাছে পাত্তা পায়নি আফ্রিকার দলটি। এ জয়ের বদৌলতে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা

১৪ ম্যাচে ওয়ানডেতে জয় পেল বাংলাদেশ। আশা করা হচ্ছে, তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করতে

সক্ষম হবে টাইগাররা। জয়ের এ ধারা অব্যাহত রাখতে তারা আরও প্রত্যয়ী হবে- এমন প্রত্যাশা দেশবাসীর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর