শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনাভাইরাস সতর্কতা

হেলাফেলা যেন না হয়

করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে কেউ আক্রান্ত না হলেও তা বিষনিঃশ্বাস ফেলছে জাতির ঘাড়ে। বিদেশে অবস্থানরত বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি এই ভয়াল ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে প্রতিবেশী ভারত ও ধারেকাছের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ অঞ্চলের ১১টি দেশের মধ্যে পাঁচটি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষ মিলেছে। অন্য তিনটি দেশ হলো নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের বাকি দেশগুলো করোনাভাইরাস মুক্ত থাকলেও তাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। করোনাভাইরাসের আশঙ্কা ঠেকাতে বিদেশ ভ্রমণকারী তিন ব্যক্তিকে দেশে সরকারের কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। তারা ওই ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা নিশ্চিত হতে তাদের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হলেও নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত যে শতাধিক ব্যক্তিকে পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের কারও মধ্যেই এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেছেন, নতুন করোনাভাইরাস যেহেতু বিশ্বব্যাপী উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তাই এটি নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। এ ভাইরাস প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ ও ব্যবস্থাপনায় অসতর্কতা থাকলে তা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে। এজন্য জনসচেতনতাই হবে এ ভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। করোনাভাইরাসে বাংলাদেশ ভূখ-ের কেউ আক্রান্ত না হলেও ইতিমধ্যে তার প্রতিক্রিয়ায় নানামুখী বিপর্যয় এসেছে। দেশের অর্থনীতিতে এর ভয়াবহ বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়েছে। দেশে কোনো কারণে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে অর্থনীতিতে বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে উঠবে। দেশের রপ্তানি আয়ে ধস নামবে। করোনাভাইরাসের বিপদ ঠেকাতে প্রথম দিকে শুধু চীনা নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশের সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলেও এখন দেশে প্রবেশকারী সবার জন্য তা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এটি যাতে নিছক রুটিন ওয়ার্ক না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অর্থাৎ কোনো অবস্থায় যাতে আক্রান্ত কেউ দেশে আসতে না পারে তা নিশ্চিত করা দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর