মঙ্গলবার, ১০ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস

আতঙ্কিত নয়, সতর্ক থাকতে হবে

অবশেষে বাংলাদেশেও ছোবল হেনেছে করোনাভাইরাস। ইতিমধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত দুজন পুরুষ ও একজন নারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ দুজন ইতালি থেকে আসেন বাংলাদেশে। আক্রান্তদের দুজনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ, একজনের মাদারীপুর। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। আক্রান্ত একজনকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এবং দুজনকে উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে আলাদা কক্ষে কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুই ব্যক্তিকে সন্দেহজনক হিসেবে রাখা হয়েছে কোয়ারেনটাইন করে। ইতালি থেকে আসা দুজন ভিন্ন পরিবারের সদস্য। তবে তাদের একজন বাসায় আসার পর ওই বাসার এক নারী আক্রান্ত হয়েছেন। জ্বর ও কাশি নিয়ে এ তিন ব্যক্তি শনিবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করেন। এরপর ২৪ ঘণ্টা যাবৎ তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তারা পজিটিভ প্রমাণিত হন। রাজধানীর মহাখালীর আইইডিসিআর পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে তিনজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছেন। বলেছেন, তিনজন আক্রান্ত হওয়ার অর্থ এই নয় যে বাংলাদেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এজন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। তবে তিনি জনসমাগমের মধ্যে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন প্রত্যেকে মাস্ক পরে ঘুরে বেড়ানোর দরকার নেই। আক্রান্ত রোগী ও রোগীকে যিনি সেবা দেবেন তিনি মাস্ক পরবেন। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং শিষ্টাচার মেনে কাশি বা হাঁচি দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিশ্বায়নের এ যুগে দুনিয়ার কোথাও কোনো ভাইরাস থাবা বিস্তার করলে সতর্কতা সত্ত্বেও তা অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। বাংলাদেশও এমন অনাকাক্সিক্ষত পরিণতি এড়াতে পারেনি। তবে এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। করোনাভাইরাসে জীবনহানির আশঙ্কা

থাকে খুবই কম লোকের এবং এ পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন তার সিংহভাগই নিরাময় লাভ করেছেন। ফলে সতর্কতার পাশাপাশি ভয়কে জয় করাও সবার জন্য জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর